সেই ওহাইয়োতে জিতেই ওবামা প্রেসিডেন্ট
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে 'যুদ্ধক্ষেত্রে' পরিণত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ যুদ্ধের দুই সেনাপতি ডেমোক্রেটিক প্রার্থী বারাক ওবামা ও রিপাবলিকান মিট রমনি। নির্বাচনের ফল নির্ধারণে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো (সুইং স্টেট) বিশেষ করে ওহাইয়োর ভূমিকাটা বরাবরই বেশ বড়। এ রাজ্যে জিতলে প্রেসিডেন্ট হওয়া প্রায় নিশ্চিত- এমন ধারণা বহুদিন ধরেই প্রচলিত।
অবশ্য তেমন কথাই বলে ইতিহাসও। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সেই ওহাইয়োসহ বেশির ভাগ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে জিতে জয়ের মালা পরেছেন ওবামা। ওহাইয়ো ছাড়াও দোদুল্যমান হিসেবে পরিচিত আরো আটটি রাজ্য- কলোরাডো, ফ্লোরিডা, আইওয়া, নেভাডা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, ভার্জিনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও উইসকনসিন। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানা হয় ওহাইয়োকেই। ওহাইয়েতে হেরেও সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন জন এফ কেনেডি। ১৯৬০ সালের পর থেকে ওহাইয়োতে না জিতে আর কেউ প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি।
এবারের নির্বাচনের আগে বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, ওহাইয়োতে যে প্রার্থী জয় নিশ্চিত করতে পারবেন, তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এ অঙ্গরাজ্যে জয়ের মাধ্যমে বিশ্লেষকদের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য প্রমাণ করলেন ওবামা। নির্বাচনের আগে ভোটারদের মন জয় করতে বারবারই দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো চষে বেড়িয়েছেন তিনি। নির্বাচনের আগের দিন ওহাইয়োতে তাঁর ছুটে যাওয়াই প্রমাণ করে এই অঙ্গরাজ্যকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলেন তিনি। তবে এর ফলও তিনি পেয়েছেন হাতে-হাতেই।
কলোরাডোর ৯টি, আইওয়ার ছয়টি, নেভাডার ছয়টি, নিউ হ্যাম্পশায়ারের চারটি, ওহাইয়োর ১৮টি, ভার্জিনিয়ার ১৩টি এবং উইসকনসিনের ১০টি ইলেকটোরাল কলেজের ভোট পড়েছে ওবামার বাক্সে। আর রিপাবলিকান মিট রমনির বাক্সে পড়েছে ফ্লোরিডার ২৯টি ও নর্থ ক্যারোলাইনার ১৫টি ইলেকটোরাল ভোট। দোদুল্যমান ৯টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া আর ওহাইয়োতে দুই প্রার্থীর মধ্যে হয়েছে তীব্র লড়াই। এ ছাড়া রমনি যে অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ছিলেন সেই ম্যাসাচুসেটস, এমনকি তাঁর (রমনি) জন্মস্থান মিশিগানেও জয়ী হয়েছেন ওবামা।
ওহাইয়োতে ওবামার জয় পাওয়ার অন্যতম কারণ শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ভোটার মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়া। এবার তাঁদের বেশির ভাগই ভোট দিয়েছেন ওবামাকে।
সারা দেশে ২০০৮ সালের তুলনায় এবারের নির্বাচনে ওবামার পক্ষে নারী ভোটারদের সমর্থন ৫ শতাংশ কমে ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে সেটা আবার পুষিয়ে গেছে পুরুষ ভোটারদের সমর্থন ৫ শতাংশ বেড়ে ২১ শতাংশে দাঁড়ানোয়। আর ওহাইয়োর শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ভোটারদের মধ্যে এই বাড়তি সমর্থনের কারণে জয়ী হতে পেরেছেন ওবামা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ২৫টিতে জিতেছেন আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মিট রমনি জিতেছেন ২৪টিতে। সূত্র : ইউএস টুডে, হিন্দুস্তান টাইমস।
এবারের নির্বাচনের আগে বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, ওহাইয়োতে যে প্রার্থী জয় নিশ্চিত করতে পারবেন, তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এ অঙ্গরাজ্যে জয়ের মাধ্যমে বিশ্লেষকদের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য প্রমাণ করলেন ওবামা। নির্বাচনের আগে ভোটারদের মন জয় করতে বারবারই দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো চষে বেড়িয়েছেন তিনি। নির্বাচনের আগের দিন ওহাইয়োতে তাঁর ছুটে যাওয়াই প্রমাণ করে এই অঙ্গরাজ্যকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলেন তিনি। তবে এর ফলও তিনি পেয়েছেন হাতে-হাতেই।
কলোরাডোর ৯টি, আইওয়ার ছয়টি, নেভাডার ছয়টি, নিউ হ্যাম্পশায়ারের চারটি, ওহাইয়োর ১৮টি, ভার্জিনিয়ার ১৩টি এবং উইসকনসিনের ১০টি ইলেকটোরাল কলেজের ভোট পড়েছে ওবামার বাক্সে। আর রিপাবলিকান মিট রমনির বাক্সে পড়েছে ফ্লোরিডার ২৯টি ও নর্থ ক্যারোলাইনার ১৫টি ইলেকটোরাল ভোট। দোদুল্যমান ৯টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া আর ওহাইয়োতে দুই প্রার্থীর মধ্যে হয়েছে তীব্র লড়াই। এ ছাড়া রমনি যে অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ছিলেন সেই ম্যাসাচুসেটস, এমনকি তাঁর (রমনি) জন্মস্থান মিশিগানেও জয়ী হয়েছেন ওবামা।
ওহাইয়োতে ওবামার জয় পাওয়ার অন্যতম কারণ শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ভোটার মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়া। এবার তাঁদের বেশির ভাগই ভোট দিয়েছেন ওবামাকে।
সারা দেশে ২০০৮ সালের তুলনায় এবারের নির্বাচনে ওবামার পক্ষে নারী ভোটারদের সমর্থন ৫ শতাংশ কমে ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে সেটা আবার পুষিয়ে গেছে পুরুষ ভোটারদের সমর্থন ৫ শতাংশ বেড়ে ২১ শতাংশে দাঁড়ানোয়। আর ওহাইয়োর শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ভোটারদের মধ্যে এই বাড়তি সমর্থনের কারণে জয়ী হতে পেরেছেন ওবামা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ২৫টিতে জিতেছেন আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মিট রমনি জিতেছেন ২৪টিতে। সূত্র : ইউএস টুডে, হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments