কেমন হবে ওবামার বৈশ্বিক নীতি?
নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন জরিপে বহির্বিশ্বে প্রতিদ্বন্দ্বী মিট রমনির চেয়ে জনপ্রিয় ছিলেন বারাক ওবামা। এটা তাঁর পররাষ্ট্রনীতির কৃতিত্বই বলা যায়। দ্বিতীয় মেয়াদে কেমন হতে পারে ওবামার পররাষ্ট্রনীতি? বিবিসি অবলম্বনে তা তুলে ধরা হলো: ইউরোপ: ওবামার জয়ের খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে ইউরোপের দেশগুলো।
নির্বাচনের আগেই ইউরোপে রমনির চেয়ে জনপ্রিয় ছিলেন ওবামা। ওবামার এ জনপ্রিয়তার একটি অন্যতম কারণ ইউরোপের কয়েকটি দেশের চরম ঋণসংকট। আর এ ঋণসংকট কাটিয়ে উঠতে ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। রমনি নির্বাচিত হলে এ সংকট নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা করতে হতো ইইউকে, যা চায়নি ইউরোপের দেশগুলোর সংগঠন ইইউ।
ঋণসংকট ছাড়া আরও কয়েকটি ইস্যুতে একই অবস্থানে থেকে কাজ করছে ইইউ ও ওবামা প্রশাসন।
চীন: এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় অন্যতম একটি ইস্যু ছিল চীন। দুই প্রার্থীরই অভিযোগ, চীন অন্যায্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করছে। আসলে অর্থনৈতিক ইস্যুতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ দুই দেশের বেশ টানাপোড়েন চলছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওবামার এশিয়াকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার নীতিতে বেইজিং বেশ উদ্বিগ্ন। বেইজিংয়ের কোনো কোনো নেতার মতে, ওবামার এশিয়া নীতি আসলে চীনের শক্তিশালী হয়ে ওঠা ঠেকানোরই ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েন আরও বৃদ্ধির আভাস দেয়।
আফগানিস্তান: আফগানিস্তানের জনগণ দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের অপেক্ষায় আছে। ওবামা ২০১৪ সালের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আফগান ইস্যুতে রমনির সঙ্গে তাঁর খুব বেশি মতপার্থক্য না থাকলেও সেনা প্রত্যাহার নিয়ে রমনির অবস্থান কিছুটা ভিন্ন ছিল।
ওবামার জয়ে আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হওয়ার বিষয়টি আপাতত নিশ্চিত হলো।
ইরান: সারা বিশ্বের মতো ইরানেরও চোখ ছিল মার্কিন নির্বাচনের দিকে। ইরানের অনেকের আশঙ্কা ছিল, রমনি নির্বাচিত হলে দেশটিতে হামলা আসন্ন হবে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরাও তেমনটাই বলছিলেন। ওবামার জয়ে আপাতত তাঁরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন। তবে ইরানের রাজনীতিবিদদের মতে, ওবামার জয়ে খুব বেশি স্বস্তির কিছু নেই। কারণ, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে—এ ব্যাপারে তেমন সংশয় নেই। ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত রাখতে ওবামা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে শিগগিরই সামরিক হামলার বিপক্ষে।
পাকিস্তান: পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী ঐতিহ্যগতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিপাবলিকান নেতাকে দেখতে চায়। কারণ, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টরা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর চেয়ে নাগরিক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
ওবামার প্রথম মেয়াদে পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর অন্যতম কারণ, পাকিস্তানকে না জানিয়ে ইসলামাবাদের অদূরে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা। এসব কারণে পাকিস্তানের এমন ধারণাও হয় যে যুক্তরাষ্ট্র আর ইসলামাবাদকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। তবে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হলে ওয়াশিংটনের কাছে ইসলামাবাদের গুরুত্ব বাড়বে।
আফ্রিকা: ওবামা প্রথম মেয়াদে মাত্র একবার আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল সফর করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ওবামা মালি থেকে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত বিদ্রোহীদের নির্মূল করা এবং জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া ও সোমালিয়ায় সহিংসতা পুরোপুরি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েই এগিয়ে যাবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
মধ্যপ্রাচ্য: বিশ্লেষকদের মতে, দ্বিতীয় মেয়াদে ওবামা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের আরও বেশি সহায়তার নীতি গ্রহণ করতে পারেন।
ঋণসংকট ছাড়া আরও কয়েকটি ইস্যুতে একই অবস্থানে থেকে কাজ করছে ইইউ ও ওবামা প্রশাসন।
চীন: এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় অন্যতম একটি ইস্যু ছিল চীন। দুই প্রার্থীরই অভিযোগ, চীন অন্যায্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করছে। আসলে অর্থনৈতিক ইস্যুতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ দুই দেশের বেশ টানাপোড়েন চলছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওবামার এশিয়াকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার নীতিতে বেইজিং বেশ উদ্বিগ্ন। বেইজিংয়ের কোনো কোনো নেতার মতে, ওবামার এশিয়া নীতি আসলে চীনের শক্তিশালী হয়ে ওঠা ঠেকানোরই ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েন আরও বৃদ্ধির আভাস দেয়।
আফগানিস্তান: আফগানিস্তানের জনগণ দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের অপেক্ষায় আছে। ওবামা ২০১৪ সালের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আফগান ইস্যুতে রমনির সঙ্গে তাঁর খুব বেশি মতপার্থক্য না থাকলেও সেনা প্রত্যাহার নিয়ে রমনির অবস্থান কিছুটা ভিন্ন ছিল।
ওবামার জয়ে আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হওয়ার বিষয়টি আপাতত নিশ্চিত হলো।
ইরান: সারা বিশ্বের মতো ইরানেরও চোখ ছিল মার্কিন নির্বাচনের দিকে। ইরানের অনেকের আশঙ্কা ছিল, রমনি নির্বাচিত হলে দেশটিতে হামলা আসন্ন হবে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরাও তেমনটাই বলছিলেন। ওবামার জয়ে আপাতত তাঁরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন। তবে ইরানের রাজনীতিবিদদের মতে, ওবামার জয়ে খুব বেশি স্বস্তির কিছু নেই। কারণ, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে—এ ব্যাপারে তেমন সংশয় নেই। ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত রাখতে ওবামা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে শিগগিরই সামরিক হামলার বিপক্ষে।
পাকিস্তান: পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী ঐতিহ্যগতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিপাবলিকান নেতাকে দেখতে চায়। কারণ, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টরা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর চেয়ে নাগরিক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
ওবামার প্রথম মেয়াদে পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর অন্যতম কারণ, পাকিস্তানকে না জানিয়ে ইসলামাবাদের অদূরে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা। এসব কারণে পাকিস্তানের এমন ধারণাও হয় যে যুক্তরাষ্ট্র আর ইসলামাবাদকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। তবে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হলে ওয়াশিংটনের কাছে ইসলামাবাদের গুরুত্ব বাড়বে।
আফ্রিকা: ওবামা প্রথম মেয়াদে মাত্র একবার আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল সফর করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ওবামা মালি থেকে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত বিদ্রোহীদের নির্মূল করা এবং জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া ও সোমালিয়ায় সহিংসতা পুরোপুরি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েই এগিয়ে যাবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
মধ্যপ্রাচ্য: বিশ্লেষকদের মতে, দ্বিতীয় মেয়াদে ওবামা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের আরও বেশি সহায়তার নীতি গ্রহণ করতে পারেন।
No comments