মূল্যায়ন- ওবামা: আশার সংগ্রাম এখনো চলছে by বার্নার-অঁরি লেভি
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছিল, ততই বিশ্বজুড়ে ওবামাকে নিয়ে পরিহাসের বন্যা বইছিল। বলা হয়েছে, ‘স্বপ্নহারা ওবামা’, তাঁর ‘বিলুপ্ত আকর্ষণ’; এমনকি বলা হয়েছে, ‘আশার আততায়ী’র মতো কথা। কিন্তু মোটেই অস্বীকার করা যাবে না, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট তাঁর প্রথম চার বছরে তিন-তিনটি বিপ্লব শুরু করেছিলেন। ৬ নভেম্বরের নির্বাচনে জিতে তিনি আবার হোয়াইট হাউসে ফিরে এলেন।
প্রথমেই আসবে ওবামার স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির কথা। অসম্পূর্ণ হলেও একে মোটেই মামুলি ব্যাপার বলা যায় না। রিপাবলিকানদের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে চালানো যুদ্ধের উত্তাপের মধ্যে, নিজ দলের কারও কারও অসহযোগিতার মুখে স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির কিছু কিছু দিক তিনি বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন। কিছুটা পিছু হটেছেন, কিন্তু হাল ছাড়েননি। এ এক বিরাট লড়াই এবং এই লড়াইয়ে অবশেষে তিনি জিতেছেন। ছিদ্রান্বেষী, দুর্মুখ আর হতাশাবাদীরা যা-ই বলুক, সমস্যা সমাধানে তিনি পিছপা হননি। আমেরিকান স্বপ্ন থেকে বাদ পড়া পাঁচ কোটি মানুষের অসুস্থ হওয়া, বৃদ্ধ হওয়া এবং মর্যাদাময় পরিবেশে মৃত্যুবরণের অধিকার তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এসব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়াকে তিনি অধিকারের মর্যাদা দিয়েছেন, যা কিনা হ্যারি এস ট্রুম্যান, জন এফ কেনেডি ও বিল ক্লিনটন করতে চাইলেও সফল হতে পারেননি। কেননা, ওবামা তাঁর তরুণী মাকে দেখেছেন এমন এক স্বাস্থ্যব্যবস্থার শিকার হতে, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি; কোনো সহায়তা করেনি। ইতিহাস ওবামাকেয়ারকে উল্লেখযোগ্য বিজয় হিসেবে মনে রাখবে।
দ্বিতীয়ত, অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক-সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়ে ওবামা অর্থনৈতিক জমিনের বিপ্লবীকরণ করেছেন। যদিও এই বিপ্লব আগেরটির মতোই অসম্পূর্ণ। বাস্তববাদী হিসেবে, মধ্যপন্থী হিসেবে একেবারে নিজস্ব কায়দায় সংকটের মোকাবিলা করেছেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি আপসে বিশ্বাস করেন এবং তিনি এটা করেছেন সে রকম একসময়, যখন ঝড়ের মুখে বিশ্বের নেতারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বসেছিলেন। কোনো উপায় না পেয়ে, কোনো দিকনির্দেশনা বের করতে না পেরে তাঁরা তখন অর্থনীতির জাহাজকে সম্পূর্ণ ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাঁরা মনে করেছিলেন, যেকোনো সিদ্ধান্তই এ রকম সময়ে বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসবে। কিন্তু ওবামা ভালোভাবেই জাহাজটিকে চালিয়ে নিয়ে গেছেন বলে সেই বিপর্যয়ের স্মৃতি আমরা এখন ভুলতে পেরেছি। তিনি আবার ওয়াল স্ট্রিটকে এগিয়ে যাওয়ার সিঁড়িতে উঠিয়েছেন।
সতর্কতার সঙ্গে হলেও দৃঢ়ভাবে ওবামা আর্থিক বিধিব্যবস্থার মধ্যে কিছু জরুরি নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ৮০০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পুনরুদ্ধার ও পুনর্বিনিয়োগ আইন এবং এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৪৪৭ বিলিয়ন ডলারের কর্মসংস্থান আইন প্রণয়ন করেন তিনি। মানবেতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা তাঁর হাতেই বাস্তবায়িত হয়। আমরা জানি, যে বিপর্যয় এড়ানো যায়, তার কথা ইতিহাস বলে না। ওবামার এসব সিদ্ধান্ত ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার এখন কোন চরমে গিয়ে পৌঁছাত, তা কি কল্পনা করা একেবারেই কঠিন? যুক্তরাষ্ট্রের মোটরগাড়ি শিল্পকে সাময়িকভাবে হলেও কার্যত জাতীয়করণ করা ছাড়া, টেকসই জ্বালানি প্রযুক্তির উন্নয়নে বিপুল আকারের ঋণ কর্মসূচি ছাড়া, ১৯৩০ সাল থেকে অবহেলিত থাকা অবকাঠামোয় বিনিয়োগ ছাড়া আজ যুক্তরাষ্ট্রই বা কোথায় থাকত এবং দুনিয়ারই বা কী হাল হতো? সোজা কথায়, ওবামার এই নতুন ‘নয়া বন্দোবস্ত’ (নিউ ডিল) ছাড়া বিপর্যয়টা কি এড়ানো যেত? এ প্রসঙ্গে মনে চলে আসবে প্রথম ‘নিউ ডিল’-এর কারিগর ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের নাম, সঙ্গে আসবে সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং গ্রেট সোসাইটি বইয়ের রচয়িতা লিন্ডন জনসনেরও নাম। যে মানুষটিকে সব সময়ই হতাশাজনক, দ্বিধাগ্রস্ত, এমনকি কাপুরুষোচিত বলে চিত্রিত করা হয়েছে, সেই মানুষটির এই অবদান মোটেই উপেক্ষা করা যায় না।
শেষত কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ওবামা সফলতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির গতিমুখ বদলে দিতে পেরেছেন। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তাঁর দেশের ভাবমূর্তিও তিনি বদলে দিয়েছেন। এ ব্যাপারেও তাঁর সফলতা চূড়ান্ত নয়। গুয়ানতানামো কারাগার বন্ধ করে দেওয়ার উপযুক্ত রাজনৈতিক হাতিয়ার তিনি তৈরি করতে পারেননি। কারও একার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি যেমন বদলানো সম্ভব নয়, তেমনি সম্ভব নয় যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতাকেও কাবু করা। কিন্তু কায়রোতে দেওয়া ঐতিহাসিক বক্তৃতার পরের সময়গুলো মনে আনুন এবং নরমপন্থী মুসলমানদের দিকে তাঁর হাত বাড়ানোর পরের ঘটনাবলির কথা বিবেচনায় আনুন। একই সঙ্গে ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং আফগানিস্তানের তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জোরদার করার কথাও হিসাবে রাখুন। তারপর, বিন লাদেনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো এবং তাঁকে হত্যা করতে পারা কিংবা তাঁর পূর্বসূরিরা পাকিস্তানের সঙ্গে যে উদ্ভট (অস্বাভাবিকও বলা যায়) জোট বেঁধেছিল, তা থেকে সরে আসার কথাও মনে রাখুন। বারাক ওবামা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে চোখ বুজে ভিড়ের মধ্যে গুলি করার নীতি, পাশ্চাত্যের সঙ্গে বাদবাকি দুনিয়ার শত্রুতার নীতি থেকে বের হয়ে এসেছেন।
আর সভ্যতার সংঘর্ষের কথা! তিনি আরও সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল নিয়েছেন। তাঁর কর্মপন্থা ছিল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক। তিনি অন্ধকারের বিপক্ষে আলোকিত ইসলামের সঙ্গে মৈত্রী বেঁধেছেন এবং ন্যায্য যুদ্ধের ধারণার কবল থেকে মানবিক ইসলামকে রক্ষা করেছেন। ওবামা যুক্তরাষ্ট্রকে গোটা দুনিয়ার শত্রু নব্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চেয়েছেন। বিশেষত, মুক্তিকামী আরব ও মুসলমানদের শত্রুদের সঙ্গে তিনি আপস করেননি।
মোটা দাগে বলা যায়, ওবামা তাঁর প্রতিশ্রুতির তছরুপ করেননি একেবারে। গোড়া থেকেই ওবামা বলে আসছিলেন, তাঁর ঘোষিত কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে হলে আরেক দফা সুযোগ প্রয়োজন। অসম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণ করায় মার্কিনদের উচিত তাঁকে আরেক দফা সুযোগ দেওয়া। অবশেষে সেই সুযোগ তিনি পেয়েছেন।
প্রথম দফায় নির্বাচিত হওয়ারও চার বছর আগে, ২০০৪ সালে আমি এই মানুষটির অসাধারণ গন্তব্যের গতি অনুভব করেছিলাম। আমি তাঁর নাম দিয়েছিলাম কালো কেনেডি। এই ভাবনার জন্য পরে আমাকে অনুশোচনা করতে হয়নি, আমি হতাশও নই। এখনো তাঁর কাছে আশা করা যায়, আগেরচেয়ে আরও শক্তিশালী সেই আশা। সেই আশার সংগ্রাম এখনো চলছে।
খালিজ টাইমস থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে বাংলায় রূপান্তরিত
ফরাসি ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন স্টিভেন বি কেনেডি
বার্নার-অঁরি লেভি: ফরাসি লেখক ও চিন্তক।
দ্বিতীয়ত, অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক-সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়ে ওবামা অর্থনৈতিক জমিনের বিপ্লবীকরণ করেছেন। যদিও এই বিপ্লব আগেরটির মতোই অসম্পূর্ণ। বাস্তববাদী হিসেবে, মধ্যপন্থী হিসেবে একেবারে নিজস্ব কায়দায় সংকটের মোকাবিলা করেছেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি আপসে বিশ্বাস করেন এবং তিনি এটা করেছেন সে রকম একসময়, যখন ঝড়ের মুখে বিশ্বের নেতারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বসেছিলেন। কোনো উপায় না পেয়ে, কোনো দিকনির্দেশনা বের করতে না পেরে তাঁরা তখন অর্থনীতির জাহাজকে সম্পূর্ণ ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাঁরা মনে করেছিলেন, যেকোনো সিদ্ধান্তই এ রকম সময়ে বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসবে। কিন্তু ওবামা ভালোভাবেই জাহাজটিকে চালিয়ে নিয়ে গেছেন বলে সেই বিপর্যয়ের স্মৃতি আমরা এখন ভুলতে পেরেছি। তিনি আবার ওয়াল স্ট্রিটকে এগিয়ে যাওয়ার সিঁড়িতে উঠিয়েছেন।
সতর্কতার সঙ্গে হলেও দৃঢ়ভাবে ওবামা আর্থিক বিধিব্যবস্থার মধ্যে কিছু জরুরি নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ৮০০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পুনরুদ্ধার ও পুনর্বিনিয়োগ আইন এবং এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৪৪৭ বিলিয়ন ডলারের কর্মসংস্থান আইন প্রণয়ন করেন তিনি। মানবেতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা তাঁর হাতেই বাস্তবায়িত হয়। আমরা জানি, যে বিপর্যয় এড়ানো যায়, তার কথা ইতিহাস বলে না। ওবামার এসব সিদ্ধান্ত ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার এখন কোন চরমে গিয়ে পৌঁছাত, তা কি কল্পনা করা একেবারেই কঠিন? যুক্তরাষ্ট্রের মোটরগাড়ি শিল্পকে সাময়িকভাবে হলেও কার্যত জাতীয়করণ করা ছাড়া, টেকসই জ্বালানি প্রযুক্তির উন্নয়নে বিপুল আকারের ঋণ কর্মসূচি ছাড়া, ১৯৩০ সাল থেকে অবহেলিত থাকা অবকাঠামোয় বিনিয়োগ ছাড়া আজ যুক্তরাষ্ট্রই বা কোথায় থাকত এবং দুনিয়ারই বা কী হাল হতো? সোজা কথায়, ওবামার এই নতুন ‘নয়া বন্দোবস্ত’ (নিউ ডিল) ছাড়া বিপর্যয়টা কি এড়ানো যেত? এ প্রসঙ্গে মনে চলে আসবে প্রথম ‘নিউ ডিল’-এর কারিগর ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের নাম, সঙ্গে আসবে সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং গ্রেট সোসাইটি বইয়ের রচয়িতা লিন্ডন জনসনেরও নাম। যে মানুষটিকে সব সময়ই হতাশাজনক, দ্বিধাগ্রস্ত, এমনকি কাপুরুষোচিত বলে চিত্রিত করা হয়েছে, সেই মানুষটির এই অবদান মোটেই উপেক্ষা করা যায় না।
শেষত কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ওবামা সফলতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির গতিমুখ বদলে দিতে পেরেছেন। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তাঁর দেশের ভাবমূর্তিও তিনি বদলে দিয়েছেন। এ ব্যাপারেও তাঁর সফলতা চূড়ান্ত নয়। গুয়ানতানামো কারাগার বন্ধ করে দেওয়ার উপযুক্ত রাজনৈতিক হাতিয়ার তিনি তৈরি করতে পারেননি। কারও একার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি যেমন বদলানো সম্ভব নয়, তেমনি সম্ভব নয় যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতাকেও কাবু করা। কিন্তু কায়রোতে দেওয়া ঐতিহাসিক বক্তৃতার পরের সময়গুলো মনে আনুন এবং নরমপন্থী মুসলমানদের দিকে তাঁর হাত বাড়ানোর পরের ঘটনাবলির কথা বিবেচনায় আনুন। একই সঙ্গে ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং আফগানিস্তানের তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জোরদার করার কথাও হিসাবে রাখুন। তারপর, বিন লাদেনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো এবং তাঁকে হত্যা করতে পারা কিংবা তাঁর পূর্বসূরিরা পাকিস্তানের সঙ্গে যে উদ্ভট (অস্বাভাবিকও বলা যায়) জোট বেঁধেছিল, তা থেকে সরে আসার কথাও মনে রাখুন। বারাক ওবামা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে চোখ বুজে ভিড়ের মধ্যে গুলি করার নীতি, পাশ্চাত্যের সঙ্গে বাদবাকি দুনিয়ার শত্রুতার নীতি থেকে বের হয়ে এসেছেন।
আর সভ্যতার সংঘর্ষের কথা! তিনি আরও সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল নিয়েছেন। তাঁর কর্মপন্থা ছিল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক। তিনি অন্ধকারের বিপক্ষে আলোকিত ইসলামের সঙ্গে মৈত্রী বেঁধেছেন এবং ন্যায্য যুদ্ধের ধারণার কবল থেকে মানবিক ইসলামকে রক্ষা করেছেন। ওবামা যুক্তরাষ্ট্রকে গোটা দুনিয়ার শত্রু নব্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চেয়েছেন। বিশেষত, মুক্তিকামী আরব ও মুসলমানদের শত্রুদের সঙ্গে তিনি আপস করেননি।
মোটা দাগে বলা যায়, ওবামা তাঁর প্রতিশ্রুতির তছরুপ করেননি একেবারে। গোড়া থেকেই ওবামা বলে আসছিলেন, তাঁর ঘোষিত কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে হলে আরেক দফা সুযোগ প্রয়োজন। অসম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণ করায় মার্কিনদের উচিত তাঁকে আরেক দফা সুযোগ দেওয়া। অবশেষে সেই সুযোগ তিনি পেয়েছেন।
প্রথম দফায় নির্বাচিত হওয়ারও চার বছর আগে, ২০০৪ সালে আমি এই মানুষটির অসাধারণ গন্তব্যের গতি অনুভব করেছিলাম। আমি তাঁর নাম দিয়েছিলাম কালো কেনেডি। এই ভাবনার জন্য পরে আমাকে অনুশোচনা করতে হয়নি, আমি হতাশও নই। এখনো তাঁর কাছে আশা করা যায়, আগেরচেয়ে আরও শক্তিশালী সেই আশা। সেই আশার সংগ্রাম এখনো চলছে।
খালিজ টাইমস থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে বাংলায় রূপান্তরিত
ফরাসি ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন স্টিভেন বি কেনেডি
বার্নার-অঁরি লেভি: ফরাসি লেখক ও চিন্তক।
No comments