অভিনন্দন বারাক ওবামা-দৃঢ় হোক বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক
অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান হলো। কয়েক মাস ধরে বিশ্বজুড়ে সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল যে মার্কিন মুল্লুকের নির্বাচনী যজ্ঞ, তা গত মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও ডেমোক্র্যাটদের জয় হয়েছে। আরো চার বছরের জন্য হোয়াইট হাউসের অধিকর্তা পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বারাক ওবামা।
প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি হেরে যাওয়ার পর ওবামাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ওবামা অভিনন্দিত করেছেন ভোটারদের। ওবামার এই বিজয় মোটেই অপ্রত্যাশিত ছিল না; বরং প্রত্যাশিত জয় পেয়েই দ্বিতীয় দফায় আরো চার বছর হোয়াইট হাউসে থাকার অধিকার পেলেন তিনি। বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন যেন ঘটেছে মার্কিনিদের ভোটে ওবামার বিজয়ে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিশ্বজুড়েই আগ্রহ ও উত্তেজনা খুবই স্বাভাবিক। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে বিশ্বব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন নেতৃত্ব নিয়ে বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। বিশ্ব-বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র এখন কেবল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশই নয়, বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তিও। সংগত কারণেই এ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ডা বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি ও কূটনীতি তথা আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ককে দারুণভাবে প্রভাবিত করে। এ ছাড়া দেশটির পররাষ্ট্রনীতির ওপর তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও কূটনীতির গতি-প্রকৃতিও অনেকখানি নির্ভর করে। ধরেই নেওয়া হয়, ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী নির্বাচিত হলে বিশ্বে তুলনামূলকভাবে অধিক শান্তি বিরাজ করবে। কমে যাবে যুদ্ধ-বিগ্রহ। এবারও যেমন ধারণা করা হচ্ছে ডেমোক্র্যাট বারাক ওবামার বিজয়ে আরব বিশ্বে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও আফগানিস্তানের সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটবে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন তথা আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর সৈন্যদের প্রতিশ্রুত প্রত্যাহার ২০১৪ সালে সম্পন্ন হবে। লিবিয়া, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে বইবে শান্তির সুবাতাস। ইরান হয়তো শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলি আক্রমণের শিকার হবে না। ওবামার বিজয়ে আশা করা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব দেশের সঙ্গে মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় করতে সচেষ্ট হবে।
নির্বাচনের প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যে শতাব্দীর প্রলয়ংকরি ঝড় স্যান্ডির ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে দুই প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করে দিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয় তাঁদের কাছে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার চেয়ে জাতীয় স্বার্থ বড় বিষয়। সবার ওপর জাতীয় স্বার্থ- এটাই হচ্ছে মার্কিন গণতন্ত্রের বড় বৈশিষ্ট্য। সে দেশে খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং হাসিমুখে গণরায় মেনে নিয়ে বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষ ও গণমাধ্যমের ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। তাই এ নির্বাচন থেকে আমাদের দেশের রাজনীতিকদের উদার হওয়া এবং গণরায় মানার শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা আশা করব, বারাক ওবামার বিজয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো উন্নত ও দৃঢ় হবে। বাণিজ্যিক ও সহযোগিতার পরিধি বিস্তৃত হবে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের একযোগে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুদেশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বড় রপ্তানি গন্তব্যও যুক্তরাষ্ট্র।
গৌরবময় এই পুনর্বিজয়ে বারাক ওবামা ও মার্কিন জনগণকে অভিনন্দন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিশ্বজুড়েই আগ্রহ ও উত্তেজনা খুবই স্বাভাবিক। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে বিশ্বব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন নেতৃত্ব নিয়ে বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। বিশ্ব-বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র এখন কেবল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশই নয়, বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তিও। সংগত কারণেই এ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ডা বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি ও কূটনীতি তথা আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ককে দারুণভাবে প্রভাবিত করে। এ ছাড়া দেশটির পররাষ্ট্রনীতির ওপর তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও কূটনীতির গতি-প্রকৃতিও অনেকখানি নির্ভর করে। ধরেই নেওয়া হয়, ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী নির্বাচিত হলে বিশ্বে তুলনামূলকভাবে অধিক শান্তি বিরাজ করবে। কমে যাবে যুদ্ধ-বিগ্রহ। এবারও যেমন ধারণা করা হচ্ছে ডেমোক্র্যাট বারাক ওবামার বিজয়ে আরব বিশ্বে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও আফগানিস্তানের সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটবে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন তথা আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর সৈন্যদের প্রতিশ্রুত প্রত্যাহার ২০১৪ সালে সম্পন্ন হবে। লিবিয়া, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে বইবে শান্তির সুবাতাস। ইরান হয়তো শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলি আক্রমণের শিকার হবে না। ওবামার বিজয়ে আশা করা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব দেশের সঙ্গে মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় করতে সচেষ্ট হবে।
নির্বাচনের প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যে শতাব্দীর প্রলয়ংকরি ঝড় স্যান্ডির ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে দুই প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করে দিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয় তাঁদের কাছে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার চেয়ে জাতীয় স্বার্থ বড় বিষয়। সবার ওপর জাতীয় স্বার্থ- এটাই হচ্ছে মার্কিন গণতন্ত্রের বড় বৈশিষ্ট্য। সে দেশে খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং হাসিমুখে গণরায় মেনে নিয়ে বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষ ও গণমাধ্যমের ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। তাই এ নির্বাচন থেকে আমাদের দেশের রাজনীতিকদের উদার হওয়া এবং গণরায় মানার শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা আশা করব, বারাক ওবামার বিজয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো উন্নত ও দৃঢ় হবে। বাণিজ্যিক ও সহযোগিতার পরিধি বিস্তৃত হবে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের একযোগে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুদেশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বড় রপ্তানি গন্তব্যও যুক্তরাষ্ট্র।
গৌরবময় এই পুনর্বিজয়ে বারাক ওবামা ও মার্কিন জনগণকে অভিনন্দন।
No comments