'হিংলিশ' শেখায় মন ব্রিটিশ কূটনীতিকদের

'হিংলিশ'_হিন্দি ও ইংরেজির মিশেলে তৈরি 'শঙ্কর' এই ভাষারই জয়-জয়কার এখন ভারতে। কী বলিউডি সিনেমায়, কী টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনে। ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেলগুলোতেও বাড়ছে এই মিশ্র ভাষার দাপট। তবে এমন সময়ই 'শুদ্ধ' হিন্দুস্তানি ভাষা রপ্ত করার কথা ভাবছেন ব্রিটিশ নীতিনির্ধারকরা।


সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর প্রদেশ, বিহারসহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন বহু ক্ষমতাবান রাজনীতিক ও কোটিপতি ব্যবসায়ী। হয় তাঁরা ইংরেজিতে কথা বলেন না অথবা বললেও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সঠিক ভাব প্রকাশের জন্য হিন্দি শব্দ বা শব্দগুচ্ছের আশ্রয় নেন। এ চিন্তা থেকেই হিন্দি শেখার ওপর জোর দিচ্ছেন ব্রিটিশ কূটনীতিকরা।
ব্রিটেনের এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে ঔপনিবেশিক আমলের রেওয়াজই যেন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সে সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানিতে নিয়োগ পাওয়া তরুণ কর্মকর্তাদের প্রথমেই ভারতীয় ভাষা শিখতে হতো। 'নেটিভ' ভারতীয় রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীরা যে খুব বেশি ইংরেজি ভাষাপ্রেমী নয়_ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ভারতীয় ভাষা শেখার মধ্য দিয়ে সেই সত্যটিও প্রকাশ পেত।
২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইংরেজি ও হিন্দি শব্দগুলো একে অন্যের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। যেমন কমোরবন্ধ (কামারব্যান্ড), পায়জায়া, শ্যাম্পু, বাংলো ইত্যাদি। কিন্তু কখনোই দুই ভাষার মিশ্রণে 'জগাখিচুড়ি' তৈরি হয়নি। এ পরিস্থিতি ব্রিটিশ সরকারের ভাষা নিয়ে নতুন নীতি প্রণয়নে প্রভাব ফেলেছে। নয়াদিলি্লর ব্রিটিশ দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, 'ভারতের সঙ্গে আমরা টেকসই ও গভীর সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী। সেক্ষেত্রে কূটনীতিকদের হিন্দি এবং অন্যান্য স্থানীয় ভাষায় দক্ষতা অর্জনের ব্যাপারটি দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।'
এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন হিন্দি ও উর্দু ভাষার পণ্ডিত গিলিয়ান রাইট। তিনি বিশ্বাস করেন, স্থানীয় ভাষা না শিখে ভারতকে পুরোপুরি অনুধাবন করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। সূত্র : টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.