ঝড়ে গাছ পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক দুই ঘণ্টা বন্ধ
গত বুধবার রাতের ঝড়ে ফেনীতে কয়েক হাজার কাঁচা বাড়িঘর ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে। গাছ ভেঙে সড়কের ওপর পড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। একই কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের রেলযোগাযোগও দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে।
ঝড়ে খাগড়াছড়িতে অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও রায়পুরে ১২টি জেলেনৌকা নিখোঁজ রয়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ফেনী: ঝড়ে সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার কয়েক হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘর ও গাছের চাপায় ১৭ জন আহত হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ জেলার প্রায় সব কটি সড়কের ওপর গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে গতকাল সকালে মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফেনী রেলস্টেশনের মাস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, রেলপথের ফেনী ও কালিদহ স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে গাছ ভেঙে পড়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের রেলযোগাযোগ সকাল ছয়টা থেকে আটটা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি আবদুল মোতালেব জানান, সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলায় ঝড়ে শ খানেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে ভোররাত চারটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
ফেনীর পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ জানান, গাছ ভেঙে পড়ার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গতকাল সকাল ছয়টা থেকে আটটা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। নোয়াখালী ও সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কের ওপর থেকে গাছ সরানোর পর বেলা দুইটা থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
খাগড়াছড়ি: ঝড় ও বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ি সদরের বহু স্থানে বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছে এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অতিক্রম চাকমা বলেন, সারা রাত বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে খাগড়াছড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা বিদ্যুতের লাইন চেক করতে বেরিয়েছেন। চট্টগ্রামের হাটাজারী থেকে খাগড়াছড়িতে আসা এক শ কিলোমিটার দীর্ঘ বিদ্যুতের লাইন চেক করতে সময়ের প্রয়োজন।
রামগতি (লক্ষ্মীপুর): মেঘনা নদীর মোহনায় সন্দ্বীপ চ্যানেলে বুধবার গভীর রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে রামগতি মাছঘাটের ১১টি ট্রলারসহ ১৫৪ জন জেলে নিখোঁজ হন। নিখোঁজ জেলেদের অনেকেই গতকাল হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন চরে উঠতে সক্ষম হলেও পাঁচজনের খবর পাওয়া যায়নি। রামগতি মাছঘাটের ব্যবসায়ী দুলাল ব্যাপারি জানান, ঝড়ে ৭০ জেলেসহ তাঁর আড়তের মালেক মাঝি, মফিজ মাঝি, খোকন মাঝি ও রুহুল আমিন মাঝির ট্রলার নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে মালেক মাঝি ও রুহুল আমিন মাঝির ট্রলারের চার জেলেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর): মেঘনা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে চারটি মাছ ধরার নৌকা নিমজ্জিত হয়। বিকেল পর্যন্ত তিনটি নৌকা উদ্ধার করা গেছে। রায়পুর খাসেরহাট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মোস্তফা ব্যাপারি জানান, বুধবার রাতে নাইয়াপাড়ার জেলেরা ৬০-৭০টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে মেঘনা নদীতে যান। প্রতিটি নৌকায় ১০-১৮ জন করে জেলে ছিলেন। গতকাল ভোররাত চারটার দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে চারটি জেলেনৌকা নিখোঁজ হয়।
ফেনী: ঝড়ে সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার কয়েক হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘর ও গাছের চাপায় ১৭ জন আহত হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ জেলার প্রায় সব কটি সড়কের ওপর গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে গতকাল সকালে মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফেনী রেলস্টেশনের মাস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, রেলপথের ফেনী ও কালিদহ স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে গাছ ভেঙে পড়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের রেলযোগাযোগ সকাল ছয়টা থেকে আটটা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি আবদুল মোতালেব জানান, সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলায় ঝড়ে শ খানেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে ভোররাত চারটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
ফেনীর পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ জানান, গাছ ভেঙে পড়ার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গতকাল সকাল ছয়টা থেকে আটটা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। নোয়াখালী ও সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কের ওপর থেকে গাছ সরানোর পর বেলা দুইটা থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
খাগড়াছড়ি: ঝড় ও বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ি সদরের বহু স্থানে বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছে এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অতিক্রম চাকমা বলেন, সারা রাত বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে খাগড়াছড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা বিদ্যুতের লাইন চেক করতে বেরিয়েছেন। চট্টগ্রামের হাটাজারী থেকে খাগড়াছড়িতে আসা এক শ কিলোমিটার দীর্ঘ বিদ্যুতের লাইন চেক করতে সময়ের প্রয়োজন।
রামগতি (লক্ষ্মীপুর): মেঘনা নদীর মোহনায় সন্দ্বীপ চ্যানেলে বুধবার গভীর রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে রামগতি মাছঘাটের ১১টি ট্রলারসহ ১৫৪ জন জেলে নিখোঁজ হন। নিখোঁজ জেলেদের অনেকেই গতকাল হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন চরে উঠতে সক্ষম হলেও পাঁচজনের খবর পাওয়া যায়নি। রামগতি মাছঘাটের ব্যবসায়ী দুলাল ব্যাপারি জানান, ঝড়ে ৭০ জেলেসহ তাঁর আড়তের মালেক মাঝি, মফিজ মাঝি, খোকন মাঝি ও রুহুল আমিন মাঝির ট্রলার নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে মালেক মাঝি ও রুহুল আমিন মাঝির ট্রলারের চার জেলেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর): মেঘনা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে চারটি মাছ ধরার নৌকা নিমজ্জিত হয়। বিকেল পর্যন্ত তিনটি নৌকা উদ্ধার করা গেছে। রায়পুর খাসেরহাট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মোস্তফা ব্যাপারি জানান, বুধবার রাতে নাইয়াপাড়ার জেলেরা ৬০-৭০টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে মেঘনা নদীতে যান। প্রতিটি নৌকায় ১০-১৮ জন করে জেলে ছিলেন। গতকাল ভোররাত চারটার দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে চারটি জেলেনৌকা নিখোঁজ হয়।
No comments