কোটি কোটি মেয়ে শিক্ষাবঞ্চিত
বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মেয়েশিশু শিক্ষার সুযোগ থেকে এখনো বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। ফলে তারা কষ্টকর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছে এবং স্থায়ী দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিবেদনে গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নামের শিশু দারিদ্র্য বিমোচনবিষয়ক সংস্থাটি ‘কারণ আমি একজন মেয়ে: বিশ্বে মেয়েদের অবস্থা ২০১২’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, বিশ্বে আনুমানিক সাত কোটি ৫০ লাখ মেয়েশিশু শ্রেণীকক্ষভিত্তিক শিক্ষার আওতার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। এটি মানবাধিকারের বড় লঙ্ঘন এবং তারুণ্যের সম্ভাবনার বিপুল অপচয়।
বিশ্বজুড়ে মেয়েদের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তবে প্ল্যানের প্রতিবেদনে ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সী তিন কোটি ৯০ লাখ মেয়ের অবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যারা তরুণী হওয়ার আগেই বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিগেল চ্যাপম্যান বলেন, একজন শিক্ষিত মেয়ের ওপর সহিংসতার ঝুঁকি কম। তাকে শৈশব পেরোনোর আগেই বিয়ে বা সন্তান ধারণে বাধ্য করার সুযোগ কম। এ ছাড়া প্রাপ্ত বয়সে তাঁর শিক্ষিত ও স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তার উপার্জনক্ষমতা বাড়ে এবং পরিবার, সমাজ ও দেশের ভালোর জন্য সে ওই উপার্জন বিনিয়োগ করতে পারে। শিক্ষিত মেয়েরা অন্যের জীবন রক্ষা ও ভবিষ্যৎ পরিবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সব শিশুর জন্য অন্তত নয় বছরের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং তাদের মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্ল্যান। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, তবে বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে হবে মেয়েশিশুদের প্রতি। এ জন্য অর্থায়ন বাড়াতে হবে এবং বাল্যবিবাহ ও মেয়েশিশুর ওপর সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। মূলত এ দুটি কারণেই মেয়েশিশুদের ঝরে পড়ার হার বর্তমানে বেশি। এএফপি।
বিশ্বজুড়ে মেয়েদের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তবে প্ল্যানের প্রতিবেদনে ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সী তিন কোটি ৯০ লাখ মেয়ের অবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যারা তরুণী হওয়ার আগেই বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিগেল চ্যাপম্যান বলেন, একজন শিক্ষিত মেয়ের ওপর সহিংসতার ঝুঁকি কম। তাকে শৈশব পেরোনোর আগেই বিয়ে বা সন্তান ধারণে বাধ্য করার সুযোগ কম। এ ছাড়া প্রাপ্ত বয়সে তাঁর শিক্ষিত ও স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তার উপার্জনক্ষমতা বাড়ে এবং পরিবার, সমাজ ও দেশের ভালোর জন্য সে ওই উপার্জন বিনিয়োগ করতে পারে। শিক্ষিত মেয়েরা অন্যের জীবন রক্ষা ও ভবিষ্যৎ পরিবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সব শিশুর জন্য অন্তত নয় বছরের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং তাদের মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্ল্যান। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, তবে বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে হবে মেয়েশিশুদের প্রতি। এ জন্য অর্থায়ন বাড়াতে হবে এবং বাল্যবিবাহ ও মেয়েশিশুর ওপর সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। মূলত এ দুটি কারণেই মেয়েশিশুদের ঝরে পড়ার হার বর্তমানে বেশি। এএফপি।
No comments