স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি সাংবাদিকরা-সাগর-রুনির খুনি ভাড়াটে হলে নির্দেশদাতা কে?
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চারজন ভাড়াটে খুনি- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ মন্তব্যে অস্পষ্টতা ও নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কার নির্দেশে খুন করল ভাড়াটে খুনিরা বা নেপথ্যে কে জড়িত- এ ধরনের নানা প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক নেতারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের আট মাস পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক শোকসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের চারটি জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এ শোকসভার আয়োজন করে। সভায় জানানো হয়, সাগর-রুনির আসল হত্যাকারীদের বের করতে এবং এ মামলার দ্রুত বিচারের দাবিতে আগামী ১৫ অক্টোবর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিএফইউজের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, 'নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সাগর-রুনির সন্দেহভাজন হত্যাকারী গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনের মধ্যে চারজন ভাড়াটে খুনি। প্রশ্ন হলো, তাদের কে ভাড়া করেছে? কার নির্দেশে খুন করল ভাড়াটে খুনিরা? কী কারণে তাঁদের হত্যা করা হলো? নেপথ্যে কে জড়িত- তা খুঁজে বের করতে হবে।
বিএফইউজের আরেক অংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। সাগর-রুনির বাসায় এত সম্পদ নেই যে সংঘবদ্ধভাবে চুরি-ডাকাতি হয়েছে। যদি চুরি-ডাকাতি করতে যায়, তাহলে বাসায় অন্যান্য জিনিস থাকতে শুধু ল্যাপটপ নিয়ে যাওয়া হলো কেন?
বিএফইউজের মহাসচিব আবদুল জলিল ভুঁইয়া বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল সমগ্র জাতি তা জানতে চায়। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যেন আরেকটি 'জজ মিয়া' অধ্যায় না হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত না করে কোনো নাটক সাজালে সাংবাদিক সমাজ তা মেনে নেবে না।
ডিআরইউয়ের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, 'আমরা সাগর-রুনির প্রকৃত হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার চাই। সব সাংবাদিক হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তি চাই।'
ডিইউজে সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, শুধু সাংবাদিক সমাজ নয়, দেশের ১৬ কোটি মানুষ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল তা জানতে চায়। ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ বলেন, যদি আসল খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সভায় আরো বক্তব্য দেন ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিউদ্দিন, মাছরাঙা টেলিভিশনের প্ল্যানিং এডিটর রাশেদ আহমেদ, নারী সাংবাদিক সংঘের সভাপতি নাসিমুন আরা প্রমুখ।
সাংবাদিকদের চারটি জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এ শোকসভার আয়োজন করে। সভায় জানানো হয়, সাগর-রুনির আসল হত্যাকারীদের বের করতে এবং এ মামলার দ্রুত বিচারের দাবিতে আগামী ১৫ অক্টোবর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিএফইউজের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, 'নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সাগর-রুনির সন্দেহভাজন হত্যাকারী গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনের মধ্যে চারজন ভাড়াটে খুনি। প্রশ্ন হলো, তাদের কে ভাড়া করেছে? কার নির্দেশে খুন করল ভাড়াটে খুনিরা? কী কারণে তাঁদের হত্যা করা হলো? নেপথ্যে কে জড়িত- তা খুঁজে বের করতে হবে।
বিএফইউজের আরেক অংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। সাগর-রুনির বাসায় এত সম্পদ নেই যে সংঘবদ্ধভাবে চুরি-ডাকাতি হয়েছে। যদি চুরি-ডাকাতি করতে যায়, তাহলে বাসায় অন্যান্য জিনিস থাকতে শুধু ল্যাপটপ নিয়ে যাওয়া হলো কেন?
বিএফইউজের মহাসচিব আবদুল জলিল ভুঁইয়া বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল সমগ্র জাতি তা জানতে চায়। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যেন আরেকটি 'জজ মিয়া' অধ্যায় না হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত না করে কোনো নাটক সাজালে সাংবাদিক সমাজ তা মেনে নেবে না।
ডিআরইউয়ের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, 'আমরা সাগর-রুনির প্রকৃত হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার চাই। সব সাংবাদিক হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তি চাই।'
ডিইউজে সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, শুধু সাংবাদিক সমাজ নয়, দেশের ১৬ কোটি মানুষ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল তা জানতে চায়। ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ বলেন, যদি আসল খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সভায় আরো বক্তব্য দেন ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিউদ্দিন, মাছরাঙা টেলিভিশনের প্ল্যানিং এডিটর রাশেদ আহমেদ, নারী সাংবাদিক সংঘের সভাপতি নাসিমুন আরা প্রমুখ।
No comments