প্রথম বিতর্কে বড় বেশি শিষ্ট ছিলাম: ওবামা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, মিট রমনির সঙ্গে ডেনভারে প্রথম দফা বিতর্কের সময় তিনি ‘বড় বেশি শিষ্ট’ ছিলেন। গত বুধবার ওবামা এ কথা বলেন। তবে তিনি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে গভীর আস্থা ব্যক্ত করেন।আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী রমনির সঙ্গে গত সপ্তাহে ডেনভারে প্রথম দফা বিতর্কে পরাজিত হন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ওবামা।
বিতর্কের পর রমনির জনপ্রিয়তা বাড়ে, যা এখনো অব্যাহত আছে। বিষয়টি জনমত জরিপে উঠে আসে। বিশ্লেষকেরাও তা বলে আসছেন। এবার ওবামাও পরোক্ষভাবে স্বীকার করলেন। ওই বিতর্কের বিষয়ে ওবামা বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, আমি অতিরিক্ত রকমের শিষ্ট ছিলাম। যাই হোক, ৬ নভেম্বর ভোটে জয়ের ব্যাপারে আমার সমর্থকদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’ টম জয়েনার রেডিও শোতে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবামা বলেন, ‘মাঝেমধ্যে কথা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কথার পুনরাবৃত্তি হয়। তবে সুসংবাদ হলো, এটা প্রথম দফায় হয়েছে। পরের বিতর্কে আরেকটু তৎপরতা দেখা যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘ভোটের আর মাত্র চার সপ্তাহ আছে। এই সময়ের মধ্যে আমরা তাঁদের (ভোটারদের) কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেব।’
ওহাইওর নারী ভোটাররা: নির্বাচনে জয়ের পাল্লা ভারী করতে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের নারী ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অথচ তাঁদের অনেকেই এখনো স্থির করে উঠতে পারেননি, তাঁরা ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সংস্কার, নাকি নারীবাদী নীতির ওপর জোর দেবেন।
ওবামা বলেছেন, নারীর অধিকার সমুন্নত রাখবেন তিনি। অন্যদিকে ১৯৭৩ সালে গর্ভপাতের পক্ষে রায় উল্টে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
বুধবার ওহাইওর ডেলাওয়্যার শহরের টাউনহলে বক্তব্য দেন রমনি। এর আগে জোলিন ডোনেল (৪৭) নামের এক নারী এএফপিকে বলেন, ‘আমি মনে করি না (রমনি) অনেক বিষয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ঠিক হবে।’
ডোনেল বলেন, ‘আমি এখনো দোলাচলে আছি। দেয়ালের ওপর বসে রয়েছি। ওবামা আবার নির্বাচিত হলে দেশের অর্থনীতির আরও অবনতি হবে। আশা করি, রমনি হয়তো আরও সংস্কার আনবেন। আমাদের মাথায় করের পাহাড় চাপছে। ওবামা নতুন কর্ম সৃষ্টিতেও ব্যর্থ হয়েছেন, এটা সত্য। তবে আমার ভোটজয়ে রমনি কী প্রতিশ্রুতি দেন দেখতে চাই।’
জুলি ফউলার (৪২) নামের এক স্কুলশিক্ষিকা বলেন, কাকে ভোট দেবেন এখনো ঠিক করেননি। তবে নারীনীতির বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন তিনি। মধ্য আয়ের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে রমনি কী প্রতিশ্রুতি দেন, তা-ও খতিয়ে দেখতে চান।
টাউনহলে বক্তব্য দেওয়ার সময় রমনি বলেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, এখানে সমবেতদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাই বেশি। এখানে আমরা বিজয় পেতে যাচ্ছি। কারণ নারীরা আমাদের পাশে আছেন। তাঁরা আমাকে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সহায়তা দেবেন।’ এই অঙ্গরাজ্যে বিজয়কে খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। এএফপি।
ওবামা বলেন, ‘মাঝেমধ্যে কথা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কথার পুনরাবৃত্তি হয়। তবে সুসংবাদ হলো, এটা প্রথম দফায় হয়েছে। পরের বিতর্কে আরেকটু তৎপরতা দেখা যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘ভোটের আর মাত্র চার সপ্তাহ আছে। এই সময়ের মধ্যে আমরা তাঁদের (ভোটারদের) কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেব।’
ওহাইওর নারী ভোটাররা: নির্বাচনে জয়ের পাল্লা ভারী করতে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের নারী ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অথচ তাঁদের অনেকেই এখনো স্থির করে উঠতে পারেননি, তাঁরা ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সংস্কার, নাকি নারীবাদী নীতির ওপর জোর দেবেন।
ওবামা বলেছেন, নারীর অধিকার সমুন্নত রাখবেন তিনি। অন্যদিকে ১৯৭৩ সালে গর্ভপাতের পক্ষে রায় উল্টে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
বুধবার ওহাইওর ডেলাওয়্যার শহরের টাউনহলে বক্তব্য দেন রমনি। এর আগে জোলিন ডোনেল (৪৭) নামের এক নারী এএফপিকে বলেন, ‘আমি মনে করি না (রমনি) অনেক বিষয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ঠিক হবে।’
ডোনেল বলেন, ‘আমি এখনো দোলাচলে আছি। দেয়ালের ওপর বসে রয়েছি। ওবামা আবার নির্বাচিত হলে দেশের অর্থনীতির আরও অবনতি হবে। আশা করি, রমনি হয়তো আরও সংস্কার আনবেন। আমাদের মাথায় করের পাহাড় চাপছে। ওবামা নতুন কর্ম সৃষ্টিতেও ব্যর্থ হয়েছেন, এটা সত্য। তবে আমার ভোটজয়ে রমনি কী প্রতিশ্রুতি দেন দেখতে চাই।’
জুলি ফউলার (৪২) নামের এক স্কুলশিক্ষিকা বলেন, কাকে ভোট দেবেন এখনো ঠিক করেননি। তবে নারীনীতির বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন তিনি। মধ্য আয়ের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে রমনি কী প্রতিশ্রুতি দেন, তা-ও খতিয়ে দেখতে চান।
টাউনহলে বক্তব্য দেওয়ার সময় রমনি বলেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, এখানে সমবেতদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাই বেশি। এখানে আমরা বিজয় পেতে যাচ্ছি। কারণ নারীরা আমাদের পাশে আছেন। তাঁরা আমাকে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সহায়তা দেবেন।’ এই অঙ্গরাজ্যে বিজয়কে খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। এএফপি।
No comments