গাছভরা চমক
গাছভরা কী থাকে? ফুল থাকে, ফল থাকে। এ কথা সবাই জানে। কিন্তু গাছপালায় যে মজার মজার চমক রয়েছে, সে খোঁজ রাখে কয়জন? মাটিতে শিকড় আঁকড়ে গাছ খাড়া থাকে বলে বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, জীবনধারণের রসদ যা কিছু, মাটি থেকেই আহরণ করে গাছ।
কিন্তু বাস্তবে ৯০ শতাংশ পুষ্টিই গাছ আহরণ করে বাতাস থেকে। মাটি থেকে মাত্র ১০ শতাংশ পুষ্টি জোগায় তারা।
বয়স বেড়ে বুড়ো হয়ে গাছ মারা যাওয়ার ঘটনা বিরল। এরা সাধারণত মরে পোকামাকড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন রোগের কারণেও গাছ মরে; তার ওপর মানুষের কাটাকুটি তো আছেই। দুনিয়ার সব গাছগাছালির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ব্রিসলকোন পাইন ও অতিকায় সিকোইয়াগাছ সবচেয়ে দীর্ঘজীবী হয়ে থাকে। এসব গাছের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন গাছগুলোর বয়স চার থেকে পাঁচ হাজার বছর। চিরসবুজ এই গাছের কাঠ লাল বলে এ নাম জুটেছে। এসব গাছ লম্বায় ৪০০ ফুটের কাছাকাছি হতে পারে। বেড় হতে পারে ৮০ ফুটের মতো। এই গাছের গুঁড়ি ফুটো করে তৈরি চওড়া পথও রয়েছে। এতে যে পরিমাণ কাঠ রয়েছে, এর মোট ওজন হতে পারে দুই হাজার ৭৫৬ টন।
সবচেয়ে দ্রুত বাড়ে বাঁশগাছ। একটি বাঁশগাছ এক দিনে ৩৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। গাছ কিন্তু কথাও বলে। অবশ্য তা অন্যভাবে। যখন কোনো উইলোগাছ পোকামাকড়ে আক্রান্ত হয়, তখন এটি ভেতর থেকে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ বের করে। এটি হচ্ছে বিপৎসংকেত। ধারে-কাছের অন্য উইলোগাছগুলো এই সংকেত টের পেয়ে সতর্ক হয়ে যায়। এসব গাছ তখন বেশি করে কষ বের করে এমন অবস্থা তৈরি করে, পোকামাকড় গাছের পাতা খেতে পারে না।
গাছের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে, তারা তাপ ও ক্ষতিকর কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে এই পৃথিবীকে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা করছে। এক একর পরিমাণ জমিতে যে পরিমাণ ম্যাপলগাছ জন্মে, তা থেকে জলকণা আকারে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার গ্যালন বৃষ্টির পানি পাওয়া সম্ভব।
একটি গাড়ি ২৬ হাজার মাইল পাড়ি দিতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যে পরিমাণ কার্বনজনিত গ্যাস নির্গমন করে, গড় উচ্চতার একটি গাছ বছরে একই পরিমাণ ওই ক্ষতিকর গ্যাস শোষণ করে। গড় আয়ুর একটি গাছ তার জীবদ্দশায় এক টন পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে পারে। এতে এটি পরিষ্কার—গাছ আমাদের কতটা উপকারী বন্ধু।
শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
সূত্র: সায়েন্সকিডস ডট কম ও ওয়েবসাইট
বয়স বেড়ে বুড়ো হয়ে গাছ মারা যাওয়ার ঘটনা বিরল। এরা সাধারণত মরে পোকামাকড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন রোগের কারণেও গাছ মরে; তার ওপর মানুষের কাটাকুটি তো আছেই। দুনিয়ার সব গাছগাছালির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ব্রিসলকোন পাইন ও অতিকায় সিকোইয়াগাছ সবচেয়ে দীর্ঘজীবী হয়ে থাকে। এসব গাছের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন গাছগুলোর বয়স চার থেকে পাঁচ হাজার বছর। চিরসবুজ এই গাছের কাঠ লাল বলে এ নাম জুটেছে। এসব গাছ লম্বায় ৪০০ ফুটের কাছাকাছি হতে পারে। বেড় হতে পারে ৮০ ফুটের মতো। এই গাছের গুঁড়ি ফুটো করে তৈরি চওড়া পথও রয়েছে। এতে যে পরিমাণ কাঠ রয়েছে, এর মোট ওজন হতে পারে দুই হাজার ৭৫৬ টন।
সবচেয়ে দ্রুত বাড়ে বাঁশগাছ। একটি বাঁশগাছ এক দিনে ৩৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। গাছ কিন্তু কথাও বলে। অবশ্য তা অন্যভাবে। যখন কোনো উইলোগাছ পোকামাকড়ে আক্রান্ত হয়, তখন এটি ভেতর থেকে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ বের করে। এটি হচ্ছে বিপৎসংকেত। ধারে-কাছের অন্য উইলোগাছগুলো এই সংকেত টের পেয়ে সতর্ক হয়ে যায়। এসব গাছ তখন বেশি করে কষ বের করে এমন অবস্থা তৈরি করে, পোকামাকড় গাছের পাতা খেতে পারে না।
গাছের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে, তারা তাপ ও ক্ষতিকর কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে এই পৃথিবীকে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা করছে। এক একর পরিমাণ জমিতে যে পরিমাণ ম্যাপলগাছ জন্মে, তা থেকে জলকণা আকারে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার গ্যালন বৃষ্টির পানি পাওয়া সম্ভব।
একটি গাড়ি ২৬ হাজার মাইল পাড়ি দিতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যে পরিমাণ কার্বনজনিত গ্যাস নির্গমন করে, গড় উচ্চতার একটি গাছ বছরে একই পরিমাণ ওই ক্ষতিকর গ্যাস শোষণ করে। গড় আয়ুর একটি গাছ তার জীবদ্দশায় এক টন পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে পারে। এতে এটি পরিষ্কার—গাছ আমাদের কতটা উপকারী বন্ধু।
শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
সূত্র: সায়েন্সকিডস ডট কম ও ওয়েবসাইট
No comments