অমিতাভ-রেখা: রহস্যের মায়া-অঞ্জনমাখা কিংবদন্তির প্রেম
ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় জুটির নাম বললে বোধ হয় মনে সবার আগে আসবে অমিতাভ-রেখার নাম। পর্দায় তাঁদের রসায়ন দেখে অভিভূত হয়েছেন অগণিত চলচ্চিত্রপ্রেমী দর্শক। পর্দার বাইরে বাস্তব জীবনেও এ জুটির প্রেম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তাঁদের প্রেমের বিষয়টি কম-বেশি সবার জানা থাকলেও, আজও রহস্যের চাদরে জড়ানো এই প্রেম। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দো আনজানে’ ছবিতে প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে অভিনয় করেন অমিতাভ বচ্চন ও রেখা। প্রচলিত আছে, একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রেখার প্রেমে পড়ে যান বিবাহিত অমিতাভ এবং দিন দিন তাঁদের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। অমিতাভের সঙ্গে রেখার প্রেমের খবর চাউর হওয়ার তিন বছর আগে বলিউডের আরেক অভিনেত্রী জয়া ভাদুড়িকে বিয়ে করেছিলেন অমিতাভ।
জনসমক্ষে নিজেদের প্রেমের সম্পর্কটি কখনো স্বীকার না করলেও, একের পর এক ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়েছেন অমিতাভ-রেখা। এ জুটির ছবি মুক্তি পেলেই প্রেক্ষাগৃহে দর্শকরা হুমড়ি খেয়ে পড়তেন। বাস্তব জীবনে তাঁদের রহস্যময় প্রেমের কারণেও সম্ভবত দর্শকের ভেতর এ জুটিকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ছিল। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নির্মাতারাও এই জুটির প্রেমনির্ভর ছবি বানিয়েছেন এবং সফলতার মুখ দেখেছেন।
অমিতাভ-রেখা জুটির সর্বশেষ ছবি ‘সিলসিলা’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮১ সালে। অমিতাভ, রেখা ও জয়ার ত্রিভুজ প্রেমের বিষয়বস্তু নিয়ে ছবিটি তৈরি করেছিলেন নির্মাতা যশ চোপড়া। অত্যন্ত সচেতনভাবে ছবির চরিত্র বা পাত্র-পাত্রীর ক্ষেত্রে যশ চোপড়া নির্বাচন করেছিলেন অমিতাভ, রেখা ও জয়া বচ্চনকে। আজও হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে মাইলফলক হয়ে আছে ‘সিলসিলা’। ছবিটি মুক্তির পর আর কখনোই একসঙ্গে অভিনয় করেননি অমিতাভ-রেখা। এমনকি আর কোনো অনুষ্ঠানেও একসঙ্গে হাজির হতে দেখা যায়নি একসময়ের পর্দা কাঁপানো এই জুটিকে।
‘দো আনজানে’ (১৯৭৬), ‘আলাপ’ (১৯৭৭), ‘ঈমান ধরম (১৯৭৭), ‘খুন পাসিনা’ (১৯৭৭), ‘গঙ্গা কি সুগন্ধ’ (১৯৭৮), ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’ (১৯৭৮), ‘মিস্টার নটবরলাল’ (১৯৭৯), ‘সোহাগ’ (১৯৭৯), ‘রাম বলরাম’ (১৯৮০) ও ‘সিলসিলা’ (১৯৮১) ছবিগুলোতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন অমিতাভ ও রেখা। দু-একটি বাদে তাঁদের অভিনীত প্রায় সব ছবিই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে।
শরীরের মেদ ঝরিয়ে ‘দো আনজানে’ ছবির মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুনরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন রেখা। ভালোবাসা, বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতিশোধের বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে প্রথমবারের মতো রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি বাস্তব জীবনেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অমিতাভ ও রেখা। পরের বছর মুক্তি পায় এই জুটির ‘আলাপ’ ছবিটি। প্রচলিত আছে, ছবিটির শুটিংয়ের ফাঁকে রেখার এক বন্ধুর বাংলোতে সময় কাটাতেন তাঁরা। সে বছরই মুক্তি পায় এই জুটির ‘ঈমান ধরম’ ছবিটি। বক্স অফিসে ছবিটির ভরাডুবি ঘটলেও, অমিতাভ-রেখার বাস্তব প্রেমের গল্প তখন সবার মুখে মুখে।
১৯৭৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘গঙ্গা কি সুগন্ধ’ ছবির শুটিং চলাকালে ছবির দলের এক সদস্যের সঙ্গে হাতাহাতি হয় অমিতাভের। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, রেখার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করায় ছবির দলের ওই সদস্যের গায়ে হাত তুলেছিলেন সে সময়ের ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ অমিতাভ।
১৯৮০ সালে অমিতাভ-রেখা অভিনীত ‘রাম বলরাম’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর তাঁদের প্রেম নিয়ে অহরহ নানা কাহিনি ডালপালা মেলতে থাকে। এমন খবরও রটেছিল, সে সময় নাকি মাঝেমধ্যেই ছবির সেট থেকে উধাও হয়ে যেতেন তাঁরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেখাকে জয়া বচ্চন সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনো অবস্থাতেই স্বামীকে ছেড়ে যাবেন না তিনি।
১৯৮১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সিলসিলা’ ছবিতে অমিতাভ-রেখার রসায়ন দেখে বিমোহিত হয়ে যান দর্শকরা। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে এরপর আর কখনোই একসঙ্গে পর্দায় হাজির হননি অমিতাভ-রেখা। তবে কিছুদিন আগে রেখা ভারতের রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার সময় অমিতাভ আবারও তাঁর সঙ্গে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভালো গল্প ও চিত্রনাট্য পেলে এবং আমাদের দুজনেরই যদি তা পছন্দ হয়, তাহলে অবশ্যই একসঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিনয় করব আমরা।’
নিঃসন্দেহে আবারও এই জুটিকে পর্দায় দেখা গেলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন তাঁদের অগণিত ভক্ত। অন্তত ভক্তদের মুখের দিকে তাকিয়ে আবার একসঙ্গে পর্দায় ফিরে আসবেন অমিতাভ ও রেখা—এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
জনসমক্ষে নিজেদের প্রেমের সম্পর্কটি কখনো স্বীকার না করলেও, একের পর এক ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়েছেন অমিতাভ-রেখা। এ জুটির ছবি মুক্তি পেলেই প্রেক্ষাগৃহে দর্শকরা হুমড়ি খেয়ে পড়তেন। বাস্তব জীবনে তাঁদের রহস্যময় প্রেমের কারণেও সম্ভবত দর্শকের ভেতর এ জুটিকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ছিল। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নির্মাতারাও এই জুটির প্রেমনির্ভর ছবি বানিয়েছেন এবং সফলতার মুখ দেখেছেন।
অমিতাভ-রেখা জুটির সর্বশেষ ছবি ‘সিলসিলা’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮১ সালে। অমিতাভ, রেখা ও জয়ার ত্রিভুজ প্রেমের বিষয়বস্তু নিয়ে ছবিটি তৈরি করেছিলেন নির্মাতা যশ চোপড়া। অত্যন্ত সচেতনভাবে ছবির চরিত্র বা পাত্র-পাত্রীর ক্ষেত্রে যশ চোপড়া নির্বাচন করেছিলেন অমিতাভ, রেখা ও জয়া বচ্চনকে। আজও হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে মাইলফলক হয়ে আছে ‘সিলসিলা’। ছবিটি মুক্তির পর আর কখনোই একসঙ্গে অভিনয় করেননি অমিতাভ-রেখা। এমনকি আর কোনো অনুষ্ঠানেও একসঙ্গে হাজির হতে দেখা যায়নি একসময়ের পর্দা কাঁপানো এই জুটিকে।
‘দো আনজানে’ (১৯৭৬), ‘আলাপ’ (১৯৭৭), ‘ঈমান ধরম (১৯৭৭), ‘খুন পাসিনা’ (১৯৭৭), ‘গঙ্গা কি সুগন্ধ’ (১৯৭৮), ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’ (১৯৭৮), ‘মিস্টার নটবরলাল’ (১৯৭৯), ‘সোহাগ’ (১৯৭৯), ‘রাম বলরাম’ (১৯৮০) ও ‘সিলসিলা’ (১৯৮১) ছবিগুলোতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন অমিতাভ ও রেখা। দু-একটি বাদে তাঁদের অভিনীত প্রায় সব ছবিই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে।
শরীরের মেদ ঝরিয়ে ‘দো আনজানে’ ছবির মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুনরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন রেখা। ভালোবাসা, বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতিশোধের বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে প্রথমবারের মতো রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি বাস্তব জীবনেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অমিতাভ ও রেখা। পরের বছর মুক্তি পায় এই জুটির ‘আলাপ’ ছবিটি। প্রচলিত আছে, ছবিটির শুটিংয়ের ফাঁকে রেখার এক বন্ধুর বাংলোতে সময় কাটাতেন তাঁরা। সে বছরই মুক্তি পায় এই জুটির ‘ঈমান ধরম’ ছবিটি। বক্স অফিসে ছবিটির ভরাডুবি ঘটলেও, অমিতাভ-রেখার বাস্তব প্রেমের গল্প তখন সবার মুখে মুখে।
১৯৭৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘গঙ্গা কি সুগন্ধ’ ছবির শুটিং চলাকালে ছবির দলের এক সদস্যের সঙ্গে হাতাহাতি হয় অমিতাভের। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, রেখার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করায় ছবির দলের ওই সদস্যের গায়ে হাত তুলেছিলেন সে সময়ের ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ অমিতাভ।
১৯৮০ সালে অমিতাভ-রেখা অভিনীত ‘রাম বলরাম’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর তাঁদের প্রেম নিয়ে অহরহ নানা কাহিনি ডালপালা মেলতে থাকে। এমন খবরও রটেছিল, সে সময় নাকি মাঝেমধ্যেই ছবির সেট থেকে উধাও হয়ে যেতেন তাঁরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেখাকে জয়া বচ্চন সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনো অবস্থাতেই স্বামীকে ছেড়ে যাবেন না তিনি।
১৯৮১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সিলসিলা’ ছবিতে অমিতাভ-রেখার রসায়ন দেখে বিমোহিত হয়ে যান দর্শকরা। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে এরপর আর কখনোই একসঙ্গে পর্দায় হাজির হননি অমিতাভ-রেখা। তবে কিছুদিন আগে রেখা ভারতের রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার সময় অমিতাভ আবারও তাঁর সঙ্গে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভালো গল্প ও চিত্রনাট্য পেলে এবং আমাদের দুজনেরই যদি তা পছন্দ হয়, তাহলে অবশ্যই একসঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিনয় করব আমরা।’
নিঃসন্দেহে আবারও এই জুটিকে পর্দায় দেখা গেলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন তাঁদের অগণিত ভক্ত। অন্তত ভক্তদের মুখের দিকে তাকিয়ে আবার একসঙ্গে পর্দায় ফিরে আসবেন অমিতাভ ও রেখা—এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
No comments