জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা-আদালতে খালেদা জিয়া, শুনানির নতুন তারিখ ২৪ জানুয়ারি
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সাদা রঙের একটি পাজেরো গাড়িতে করে গতকাল দুপুর ১টায় খালেদা জিয়া ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত অঙ্গনে উপস্থিত হন। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ওই আদালত ভবনের ষষ্ঠ তলায় ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন তিনি। তাঁকে সাক্ষীর কাঠগড়ার পাশে একটি চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়। ১টা ১০ মিনিটে বিচারক মো. মোজাম্মেল হোসেইন এজলাসে বসেন। ওই সময় খালেদা জিয়া বিচারকের সম্মানে উঠে দাঁড়ান।
অ্যাডভোকট মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি শুরুর আগে খালেদা জিয়াকে চেয়ারে বসতে দেওয়ার অনুমতি চাইলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
শুনানির শুরুতে আদালতে মওদুদ আহমদ বলেন, 'আপনি (বিচারক) তাঁকে আদালতে হাজির হতে বলেছিলেন, তিনি আপনার আদেশ মতো আদালতে হাজির হয়েছেন।' অভিযোগ গঠনের শুনানি মুলতবি রাখার আবেদনের শুনানিতে তিনি বলেন, মামলাটির কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল, যা ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট খারিজ করেন। হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়েছে, যার শুনানির জন্য গত ৮ অক্টোবর ধার্য থাকলেও তা হয়নি। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
মওদুদ আহমদ আরো বলেন, 'দুদকের এই আইনটি আমি তৈরি করেছিলাম। প্রাইভেট ট্রাস্টের ওপর এই আইনে ক্রিমিনাল কেস হতে পারে না। আপিল বিভাগে শুনানিতে এ বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে। আপিল বিভাগ থেকে আমরা একটি আদেশ নিয়ে আসি। তাই আপনি (বিচারক) আগামী ১০ জানুয়ারির পর একটি দিন ধার্য করুন।'
ওই সময় বিচারক বলেন, 'কোনো স্থগিতাদেশ ছাড়া আমি কি এভাবে শুনানি মুলতবি রাখতে পারি?'
মওদুদ আহমদ বলেন, 'আইনগতভাবে না পারলেও উচ্চ আদালতের সম্মানার্থে আপনি মুলতবি রাখতে পারেন।'
বিচারক ওই সময় দুদকের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনতে চাইলে পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, 'আজ (বৃহস্পতিবার) অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য আছে। মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে প্রায় তিন বছর ধরে ঝুলে আছে। আমাদের সৌভাগ্য, তিনি (খালেদা জিয়া) আদালতে আমাদের মাঝে এসেছেন। তিনি সব সময় ব্যস্ত থাকেন। তাঁকে সব সময় পাওয়া যায় না। উচ্চ আদালতের কোনো স্থগিতাদেশ নেই, তাই আমরা শুনানি শুরু করি।'
শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
শুনানির সময় অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজ্জা বাদল, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বোরহান উদ্দিন, মহসিন মিয়া, খোরশেদ আলম, গোলাম মোস্তফা খান, জাকির হোসেন ভুঁইয়া, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, মোহাম্মদ আলী, শাম্মী আক্তার, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, নুরুল ইসলাম বাবুল, মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ পাঁচ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছিল পুরান ঢাকার আদালতপাড়া।
গতকাল সকাল থেকেই মোড়ে মোড়ে পুলিশি পাহারা বসানো হয়। বাড়ানো হয় অতিরিক্ত গোয়েন্দা নজরদারি। সম্ভাব্য সব ধরনের নাশকতা এড়াতে তল্লাশি চালানো হয় বিভিন্ন প্রবেশপথে।
অন্যদিকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা দফায় মিছিল করেছে। এসব মিছিল থেকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ধরনের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
তারেক রহমান দেশের বাইরে থাকায় তাঁর পক্ষে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া হাজিরা দাখিল করেন। এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। গতকাল তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
অ্যাডভোকট মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি শুরুর আগে খালেদা জিয়াকে চেয়ারে বসতে দেওয়ার অনুমতি চাইলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
শুনানির শুরুতে আদালতে মওদুদ আহমদ বলেন, 'আপনি (বিচারক) তাঁকে আদালতে হাজির হতে বলেছিলেন, তিনি আপনার আদেশ মতো আদালতে হাজির হয়েছেন।' অভিযোগ গঠনের শুনানি মুলতবি রাখার আবেদনের শুনানিতে তিনি বলেন, মামলাটির কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল, যা ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট খারিজ করেন। হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়েছে, যার শুনানির জন্য গত ৮ অক্টোবর ধার্য থাকলেও তা হয়নি। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
মওদুদ আহমদ আরো বলেন, 'দুদকের এই আইনটি আমি তৈরি করেছিলাম। প্রাইভেট ট্রাস্টের ওপর এই আইনে ক্রিমিনাল কেস হতে পারে না। আপিল বিভাগে শুনানিতে এ বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে। আপিল বিভাগ থেকে আমরা একটি আদেশ নিয়ে আসি। তাই আপনি (বিচারক) আগামী ১০ জানুয়ারির পর একটি দিন ধার্য করুন।'
ওই সময় বিচারক বলেন, 'কোনো স্থগিতাদেশ ছাড়া আমি কি এভাবে শুনানি মুলতবি রাখতে পারি?'
মওদুদ আহমদ বলেন, 'আইনগতভাবে না পারলেও উচ্চ আদালতের সম্মানার্থে আপনি মুলতবি রাখতে পারেন।'
বিচারক ওই সময় দুদকের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনতে চাইলে পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, 'আজ (বৃহস্পতিবার) অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য আছে। মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে প্রায় তিন বছর ধরে ঝুলে আছে। আমাদের সৌভাগ্য, তিনি (খালেদা জিয়া) আদালতে আমাদের মাঝে এসেছেন। তিনি সব সময় ব্যস্ত থাকেন। তাঁকে সব সময় পাওয়া যায় না। উচ্চ আদালতের কোনো স্থগিতাদেশ নেই, তাই আমরা শুনানি শুরু করি।'
শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
শুনানির সময় অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজ্জা বাদল, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বোরহান উদ্দিন, মহসিন মিয়া, খোরশেদ আলম, গোলাম মোস্তফা খান, জাকির হোসেন ভুঁইয়া, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, মোহাম্মদ আলী, শাম্মী আক্তার, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, নুরুল ইসলাম বাবুল, মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ পাঁচ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছিল পুরান ঢাকার আদালতপাড়া।
গতকাল সকাল থেকেই মোড়ে মোড়ে পুলিশি পাহারা বসানো হয়। বাড়ানো হয় অতিরিক্ত গোয়েন্দা নজরদারি। সম্ভাব্য সব ধরনের নাশকতা এড়াতে তল্লাশি চালানো হয় বিভিন্ন প্রবেশপথে।
অন্যদিকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা দফায় মিছিল করেছে। এসব মিছিল থেকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ধরনের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
তারেক রহমান দেশের বাইরে থাকায় তাঁর পক্ষে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া হাজিরা দাখিল করেন। এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। গতকাল তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
No comments