ঢাকায় ফ্রান্সিসকো গয়্যা by সঞ্জয় ঘোষ
ফ্রান্সিসকো গয়্যা_ নামটি সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। তাঁকে পৃথিবীর প্রাচীন শিল্পগুরুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে গণ্য করা হয়। এবং আধুুনিক চিত্রধারার অন্যতম পথিকৃৎ এই স্পেনীয় চিত্রশিল্পী। যার চিত্রকর্মের অসাধারণত্ব যুগে যুগে মুগ্ধ করে যাচ্ছে দুনিয়ার তাবৎ শিল্পানুরাগীদের।
তার ছাপচিত্রকর্মও সমানভাবে বিখ্যাত গুণে, মানে, করণকৌশলে এবং দক্ষতায়। গয়্যার বহুমাত্রিক চিত্রকর্ম, ড্রইং এবং এনগ্রেভিংগুলোতে প্রতিফলিত হয়েছে সমসাময়িক ইতিহাসের উৎক্ষেপগুলো। তাঁর কাজ ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিল উনিশ এবং বিশ শতকের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পীদের।
জগদ্বিখ্যাত এই শিল্পীর কাজ সামনাসামনি দেখার অভিজ্ঞতাও অসাধারণ। আর এবার এ সুযোগটি পেয়েছেন বাংলাদেশের শিল্পানুরাগীরা সরাসরি স্পেনের রয়্যাল একাডেমী অব ফাইন আর্টস অব সান ফার্নান্দোর সংগ্রহ থেকে ঢাকার বেঙ্গল গ্যালারিতে। বাংলাদেশের স্প্যানিশ দূতাবাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্প্যানিশ ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের ইনডিটেক্স চেয়ারের যৌথ উদ্যোগে বেঙ্গল গ্যালারিতে আয়োজন করা হয়েছে তাঁর শিল্পকর্মের প্রদর্শনী। গয়্যার নির্বাচিত এনগ্রেভিং চিত্র নিয়ে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে তার প্রথমদিকের চারটি এনগ্রেভিং সিরিজের বেশ কিছু কাজ 'এনগ্রেভিং- ফ্রান্সিসকো গয়্যা' শিরোনামের এ প্রদর্শনীতে। বিখ্যাত এ শিল্পীর দুর্দান্ত সব ছাপাইকর্ম সামনে থেকে দেখার অভিজ্ঞতা এক কথায় বোঝাতে গেলে শুধু 'মারাত্মক' শব্দটিই শ্রেয় মনে হতে পারে। ছাপাইকর্মে রেখা তৈরির এমন জাদুদক্ষতা সত্যিই তাক লেগে যাবার মতো।
স্পেনের জাদুঘরে সংরক্ষিত গয়্যার মৌলিক এই প্রিন্টগুলো নিয়ে এমন প্রদর্শনী আয়োজনের পেছনে ছিল ঢাকার স্পেনীয় রাষ্ট্রদূতের আন্তরিক হস্তক্ষেপ। যা দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে দারুণ এক শিল্প-সেতুর মতো কাজ করবে। মূলত যে সেতুর নাম-ই ফ্রান্সিসকো গয়্যা। গয়্যা স্পেনের বারোক শিল্পী দিয়াগো ভেলাজকুয়েজের মতোই ছিলেন রাজদরবারের শিল্পী। তিনি যখন রাজ দরবার থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন তাঁর সৃষ্টি শিল্পদক্ষতাকে ছাপিয়ে হয়ে উঠেছিল গভীর এবং আরও বেশি জীবনঘনিষ্ঠ।
বারোক, একটা শিল্প-আমলের নাম। সপ্তদশ শতকে যে আমলে শিল্প চর্চিত হচ্ছিল সহজ অনুবাদযোগ্য একটা ভাবধারার মধ্য দিয়ে। চিত্র ও ভাস্কর্যকলাসহ শিল্পের প্রায় সবগুলো মাধ্যমই সহজবোধ্য আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু নিয়ে বিকশিত হচ্ছিল ইতালিতে শুরু হওয়া বারোক শিল্প-আমলে। এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে ছিল_ এর বিশেষায়িত গতি-প্রাধান্য, বর্ণনাধর্মীতা, স্বচ্ছতা, জাঁকজমকপূর্ণতা এবং উদ্দীপনা। এই বারোক শিল্প-আমলের অন্যতম শিল্পী হলেন দিয়াগো ভেলাজকুয়েজ। এ ব্যক্তিতাবাদী শিল্পীর শিল্পকৌশলকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে, গয়্যা প্রথমদিকে যে সমস্ত কাজ করেছিলেন, তা সহ পরবর্তী সিরিজগুলোর কাজের নিদর্শন স্থান পেয়েছে বেঙ্গল গ্যালারির এ প্রদর্শনীতে।
গয়্যার শ্রেষ্ঠ কাজগুলো সৃষ্টি হয়েছে মূলত রাজ দরবার থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকেই। স্পেনে ফরাসি আক্রমণের নৃসংশতা শিল্পী গয়্যার কাজে বিশেষভাবে উঠে এসেছিল। এ কারণে গয়্যা, শিল্পবিশ্বে সহিংসতা দৃশ্যের জন্যও সমধিক পরিচিত। তাঁর 'লস ডিজাসট্রেস দ্য লা গের্রা' [দ্য ডিজাস্টার অফ ওয়ার, ১৮১০-১৪] সিরিজের ছাপচিত্রগুলো নেপোলিয়নিক আক্রমণের ভয়াবহতাকে তুলে ধরে। যে সিরিজের কাজগুলোও স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে। বাকি তিনটি সিরিজ হলো_ 'লস ক্যাপ্রিচোজ', যা প্রতীক-আশ্রয়ী অদ্ভুত কল্পচিত্রের মাধ্যমে স্প্যানিশ সমাজের দোষ-ত্রুটিকে চিত্রায়িত করেছে; 'লা তাওরোমাকিয়া', যা অযৌক্তিক কাণ্ডজ্ঞানহীন সমাজের হতাশা থেকে মুক্তির জন্য একটি অভয়াশ্রম স্বরূপ এবং চতুর্থটি হলো 'লস দিসপারেতেস'_ যা তার পরাবাস্তব স্বপ্নের দলিল। এ চারটি সিরিজের প্রায় শতাধিক এনগ্রেভিং চিত্র দর্শকদের দাঁড় করিয়ে দেয় শিল্পী গয়্যার অসামান্য শিল্প-নৈপুণ্যের সামনে। বিস্মিত হতে হয় ছাপচিত্রে তাঁর রেখা তৈরির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম দক্ষতা দেখে। ফ্রান্সিসকো গয়্যাকে অনেক সময়ই 'আধুনিকদের মধ্যে প্রথম' বলা হয়ে থাকে। তাঁর সময়ে তাঁর আপসহীন অঙ্কনশৈলী উনিশ শতকের বাস্তববাদের সূত্রপাত ঘটিয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিল্পীদের দৃষ্টি ঐতিহ্যের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।
বেঙ্গল গ্যালারির এ প্রদর্শনীতে গয়্যার চারটি সিরিজের এনগ্রেভিং, ছাপাই ছবি, কাঠ কিংবা ধাতবপাতে রেখা তৈরির বিস্ময়কর নিদর্শনের সঙ্গে দর্শকরা ছাপচিত্রে আলো-ছায়া নির্মাণের দক্ষতায় মুগ্ধ হবেন। সেই সঙ্গে গয়্যাকে আবিষ্কার করবেন একজন স্প্যানিশ হয়ে স্প্যানিশদের সাহসী সমালোচনায় নিজ শিল্পদক্ষতাকে দৃঢ়ভাবে কাজে লাগানো শিল্পী হিসেবে। তাঁর কোনো এনগ্রেভিংয়ে দেখা যাবে তৎকালীন স্প্যানিশ সমাজ জীবনের রুঢ় বাস্তবতাকে তিনি কটাক্ষ করছেন। কোনোটাতে বিদ্রূপাত্মক ভঙ্গিতে অনিয়মের চিত্র। স্প্যানিশদের অত্যাচার ও সহিংসতার ঘটনাচিত্র গয়্যার সূক্ষ্ম এবং সুদৃঢ় ছাপাইরেখার জাদুতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যেন বাস্তবের চেয়ে ভিন্ন এক সত্য দৃষ্টি নিয়ে। হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র গয়্যার ছাপচিত্রে শিল্প-নৈপুণ্যকে ছাপিয়ে অমানবিকতার বিরুদ্ধে শিল্প-বিদ্রোহ হয়ে হাজির হয়। আর সমাজ জীবনের নোংরামি ও কুসংস্কার প্রতীকনির্ভর কল্পচিত্রের মাধ্যমে ভেসে ওঠে চোখে ও চিন্তায়। আর এর সবকিছুই একজন মৌলিক শিল্পীর সাবলীল শিল্পমানস ও দক্ষতায় আমাদের সামনে শিল্পের দায় ও প্রকৃত শিল্পীর প্রতিরূপ হয়ে ধরা দেয়। শিল্পের সৌন্দর্যের পাশাপাশি ক্ষমতার দিকটিকেও প্রধান করে তোলে। প্রদর্শনীটি চলবে এ মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত। হ
জগদ্বিখ্যাত এই শিল্পীর কাজ সামনাসামনি দেখার অভিজ্ঞতাও অসাধারণ। আর এবার এ সুযোগটি পেয়েছেন বাংলাদেশের শিল্পানুরাগীরা সরাসরি স্পেনের রয়্যাল একাডেমী অব ফাইন আর্টস অব সান ফার্নান্দোর সংগ্রহ থেকে ঢাকার বেঙ্গল গ্যালারিতে। বাংলাদেশের স্প্যানিশ দূতাবাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্প্যানিশ ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের ইনডিটেক্স চেয়ারের যৌথ উদ্যোগে বেঙ্গল গ্যালারিতে আয়োজন করা হয়েছে তাঁর শিল্পকর্মের প্রদর্শনী। গয়্যার নির্বাচিত এনগ্রেভিং চিত্র নিয়ে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে তার প্রথমদিকের চারটি এনগ্রেভিং সিরিজের বেশ কিছু কাজ 'এনগ্রেভিং- ফ্রান্সিসকো গয়্যা' শিরোনামের এ প্রদর্শনীতে। বিখ্যাত এ শিল্পীর দুর্দান্ত সব ছাপাইকর্ম সামনে থেকে দেখার অভিজ্ঞতা এক কথায় বোঝাতে গেলে শুধু 'মারাত্মক' শব্দটিই শ্রেয় মনে হতে পারে। ছাপাইকর্মে রেখা তৈরির এমন জাদুদক্ষতা সত্যিই তাক লেগে যাবার মতো।
স্পেনের জাদুঘরে সংরক্ষিত গয়্যার মৌলিক এই প্রিন্টগুলো নিয়ে এমন প্রদর্শনী আয়োজনের পেছনে ছিল ঢাকার স্পেনীয় রাষ্ট্রদূতের আন্তরিক হস্তক্ষেপ। যা দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে দারুণ এক শিল্প-সেতুর মতো কাজ করবে। মূলত যে সেতুর নাম-ই ফ্রান্সিসকো গয়্যা। গয়্যা স্পেনের বারোক শিল্পী দিয়াগো ভেলাজকুয়েজের মতোই ছিলেন রাজদরবারের শিল্পী। তিনি যখন রাজ দরবার থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন তাঁর সৃষ্টি শিল্পদক্ষতাকে ছাপিয়ে হয়ে উঠেছিল গভীর এবং আরও বেশি জীবনঘনিষ্ঠ।
বারোক, একটা শিল্প-আমলের নাম। সপ্তদশ শতকে যে আমলে শিল্প চর্চিত হচ্ছিল সহজ অনুবাদযোগ্য একটা ভাবধারার মধ্য দিয়ে। চিত্র ও ভাস্কর্যকলাসহ শিল্পের প্রায় সবগুলো মাধ্যমই সহজবোধ্য আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু নিয়ে বিকশিত হচ্ছিল ইতালিতে শুরু হওয়া বারোক শিল্প-আমলে। এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে ছিল_ এর বিশেষায়িত গতি-প্রাধান্য, বর্ণনাধর্মীতা, স্বচ্ছতা, জাঁকজমকপূর্ণতা এবং উদ্দীপনা। এই বারোক শিল্প-আমলের অন্যতম শিল্পী হলেন দিয়াগো ভেলাজকুয়েজ। এ ব্যক্তিতাবাদী শিল্পীর শিল্পকৌশলকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে, গয়্যা প্রথমদিকে যে সমস্ত কাজ করেছিলেন, তা সহ পরবর্তী সিরিজগুলোর কাজের নিদর্শন স্থান পেয়েছে বেঙ্গল গ্যালারির এ প্রদর্শনীতে।
গয়্যার শ্রেষ্ঠ কাজগুলো সৃষ্টি হয়েছে মূলত রাজ দরবার থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকেই। স্পেনে ফরাসি আক্রমণের নৃসংশতা শিল্পী গয়্যার কাজে বিশেষভাবে উঠে এসেছিল। এ কারণে গয়্যা, শিল্পবিশ্বে সহিংসতা দৃশ্যের জন্যও সমধিক পরিচিত। তাঁর 'লস ডিজাসট্রেস দ্য লা গের্রা' [দ্য ডিজাস্টার অফ ওয়ার, ১৮১০-১৪] সিরিজের ছাপচিত্রগুলো নেপোলিয়নিক আক্রমণের ভয়াবহতাকে তুলে ধরে। যে সিরিজের কাজগুলোও স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে। বাকি তিনটি সিরিজ হলো_ 'লস ক্যাপ্রিচোজ', যা প্রতীক-আশ্রয়ী অদ্ভুত কল্পচিত্রের মাধ্যমে স্প্যানিশ সমাজের দোষ-ত্রুটিকে চিত্রায়িত করেছে; 'লা তাওরোমাকিয়া', যা অযৌক্তিক কাণ্ডজ্ঞানহীন সমাজের হতাশা থেকে মুক্তির জন্য একটি অভয়াশ্রম স্বরূপ এবং চতুর্থটি হলো 'লস দিসপারেতেস'_ যা তার পরাবাস্তব স্বপ্নের দলিল। এ চারটি সিরিজের প্রায় শতাধিক এনগ্রেভিং চিত্র দর্শকদের দাঁড় করিয়ে দেয় শিল্পী গয়্যার অসামান্য শিল্প-নৈপুণ্যের সামনে। বিস্মিত হতে হয় ছাপচিত্রে তাঁর রেখা তৈরির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম দক্ষতা দেখে। ফ্রান্সিসকো গয়্যাকে অনেক সময়ই 'আধুনিকদের মধ্যে প্রথম' বলা হয়ে থাকে। তাঁর সময়ে তাঁর আপসহীন অঙ্কনশৈলী উনিশ শতকের বাস্তববাদের সূত্রপাত ঘটিয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিল্পীদের দৃষ্টি ঐতিহ্যের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।
বেঙ্গল গ্যালারির এ প্রদর্শনীতে গয়্যার চারটি সিরিজের এনগ্রেভিং, ছাপাই ছবি, কাঠ কিংবা ধাতবপাতে রেখা তৈরির বিস্ময়কর নিদর্শনের সঙ্গে দর্শকরা ছাপচিত্রে আলো-ছায়া নির্মাণের দক্ষতায় মুগ্ধ হবেন। সেই সঙ্গে গয়্যাকে আবিষ্কার করবেন একজন স্প্যানিশ হয়ে স্প্যানিশদের সাহসী সমালোচনায় নিজ শিল্পদক্ষতাকে দৃঢ়ভাবে কাজে লাগানো শিল্পী হিসেবে। তাঁর কোনো এনগ্রেভিংয়ে দেখা যাবে তৎকালীন স্প্যানিশ সমাজ জীবনের রুঢ় বাস্তবতাকে তিনি কটাক্ষ করছেন। কোনোটাতে বিদ্রূপাত্মক ভঙ্গিতে অনিয়মের চিত্র। স্প্যানিশদের অত্যাচার ও সহিংসতার ঘটনাচিত্র গয়্যার সূক্ষ্ম এবং সুদৃঢ় ছাপাইরেখার জাদুতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যেন বাস্তবের চেয়ে ভিন্ন এক সত্য দৃষ্টি নিয়ে। হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র গয়্যার ছাপচিত্রে শিল্প-নৈপুণ্যকে ছাপিয়ে অমানবিকতার বিরুদ্ধে শিল্প-বিদ্রোহ হয়ে হাজির হয়। আর সমাজ জীবনের নোংরামি ও কুসংস্কার প্রতীকনির্ভর কল্পচিত্রের মাধ্যমে ভেসে ওঠে চোখে ও চিন্তায়। আর এর সবকিছুই একজন মৌলিক শিল্পীর সাবলীল শিল্পমানস ও দক্ষতায় আমাদের সামনে শিল্পের দায় ও প্রকৃত শিল্পীর প্রতিরূপ হয়ে ধরা দেয়। শিল্পের সৌন্দর্যের পাশাপাশি ক্ষমতার দিকটিকেও প্রধান করে তোলে। প্রদর্শনীটি চলবে এ মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত। হ
No comments