ক বি তা- রামু এলিজি by আ বু ল মো মে ন
রামুতে পুড়েছে মন্দির, তার সাথে কাঠের প্রাচীন কারুকাজ,
পুড়ে ছাই হলো মূল্যবান পুঁথি, প্রত্ননিদর্শন, শান্তির সমাজ।
তছনছ করে গেছে ওরা পবিত্রতা—ভেঙে লুটে প্রেতনৃত্য
চালিয়েছে যারা বৌদ্ধ জনপদে।
পুড়ে ছাই হলো মূল্যবান পুঁথি, প্রত্ননিদর্শন, শান্তির সমাজ।
তছনছ করে গেছে ওরা পবিত্রতা—ভেঙে লুটে প্রেতনৃত্য
চালিয়েছে যারা বৌদ্ধ জনপদে।
রামুর মন্দিরে, প্রতিবেশী লোকালয়ে পোড়া-অবশেষ জুড়ে
হিংসার দগদগে ক্ষত। অবসন্ন পল্লিতে আসন্ন শীত মুড়ে
জাঁকিয়ে বসেছে ক্রোধ—উন্মত্ত অধীর। শিশু ও বৃদ্ধের মুখে
মুদ্রিত হয়েছে ভয়, দৃষ্টিতে জমাট বেঁধেছে গাঢ় অনিশ্চয়।
মন্দিরে পল্লিতে রামু উখিয়ার পোড়া-চত্বরে আজ ভাসে অবিশ্বাস।
ভয়ার্ত নারীর মুখে কথা নেই, থমকে আছে বিব্রত ইতিহাস;
ভিক্ষুর প্রশান্ত অবয়ব জুড়ে বিদায়ী সূর্যের রঙে
ফুটে আছে সভ্যতার অভিমান, নীরব ক্রন্দন।
রামুর ভস্মীভূত মন্দির কড়া নাড়ে, পোড়া কাঠ,
ছাই ও অঙ্গার—কবন্ধ সমাজ তবু খোলে না কপাট,
সাড়া দিতে অপারগ—তবু ভয় তবু অনিশ্চিতি দেখে
ম্রিয়মাণ বিষণ্ন বিবেক মুখ ঢাকে অপমানে, লজ্জায়।
মুখ-কালো করে হতোদ্যম পড়ে আছে নিঃসাড়
বৌদ্ধপল্লি রামু, দূরে সবুজ উখিয়া—যেন দগ্ধ গ্রাম ও বিহার
আকাশের কাছে ফরিয়াদি। ইতিহাস সাক্ষী তাদের,
সাক্ষী মানবতা, সভ্যতার সুদীর্ঘ সখ্য তারা ভোলেনি এখনো।
বুদ্ধ কি অবরুদ্ধ ইতিহাসে? মন্দিরে বিহারে বন্দী নিঃসঙ্গ বিগ্রহে?
কেবল কি নানা মূর্তি রূপে ভক্তের দেবতা তিনি—থাকেন না প্রতিরোধে, দ্রোহে?
ধর্ম হয়ে, বর-বরাভয় রূপে আছেন কেবল অনুগত বৌদ্ধ জনতার মনে?
তিনি তো দর্শন, জীবনের মর্মজ্ঞান, তিনি তো সভ্যতার পক্ষপাতহীন শিখা।
রামুর আগুন জ্বলে হিংসার আগুনে, মূর্খ তাকে রূপ দেয় উন্মাদ ক্রোধে,
মন্দির পুড়েছে তাতে, ঘরবাড়ি, সংসার, বন্ধুতা বিশ্বাস পুড়ে আগুন লেগেছে বোধে।
ধ্বংসের মাঝে তবু জাগরূক দেখেছি বুদ্ধকে, মুদিতায় অপ্রমত্ত অবিচল, একা,
তিনিই আশ্রয়, তথাগত তিনি, করুণার দানে এখনো পাঠান বার্তা তাঁর
ধীরোদাত্ত কণ্ঠে—অহিংসা পরম ধর্ম...
হিংসার দগদগে ক্ষত। অবসন্ন পল্লিতে আসন্ন শীত মুড়ে
জাঁকিয়ে বসেছে ক্রোধ—উন্মত্ত অধীর। শিশু ও বৃদ্ধের মুখে
মুদ্রিত হয়েছে ভয়, দৃষ্টিতে জমাট বেঁধেছে গাঢ় অনিশ্চয়।
মন্দিরে পল্লিতে রামু উখিয়ার পোড়া-চত্বরে আজ ভাসে অবিশ্বাস।
ভয়ার্ত নারীর মুখে কথা নেই, থমকে আছে বিব্রত ইতিহাস;
ভিক্ষুর প্রশান্ত অবয়ব জুড়ে বিদায়ী সূর্যের রঙে
ফুটে আছে সভ্যতার অভিমান, নীরব ক্রন্দন।
রামুর ভস্মীভূত মন্দির কড়া নাড়ে, পোড়া কাঠ,
ছাই ও অঙ্গার—কবন্ধ সমাজ তবু খোলে না কপাট,
সাড়া দিতে অপারগ—তবু ভয় তবু অনিশ্চিতি দেখে
ম্রিয়মাণ বিষণ্ন বিবেক মুখ ঢাকে অপমানে, লজ্জায়।
মুখ-কালো করে হতোদ্যম পড়ে আছে নিঃসাড়
বৌদ্ধপল্লি রামু, দূরে সবুজ উখিয়া—যেন দগ্ধ গ্রাম ও বিহার
আকাশের কাছে ফরিয়াদি। ইতিহাস সাক্ষী তাদের,
সাক্ষী মানবতা, সভ্যতার সুদীর্ঘ সখ্য তারা ভোলেনি এখনো।
বুদ্ধ কি অবরুদ্ধ ইতিহাসে? মন্দিরে বিহারে বন্দী নিঃসঙ্গ বিগ্রহে?
কেবল কি নানা মূর্তি রূপে ভক্তের দেবতা তিনি—থাকেন না প্রতিরোধে, দ্রোহে?
ধর্ম হয়ে, বর-বরাভয় রূপে আছেন কেবল অনুগত বৌদ্ধ জনতার মনে?
তিনি তো দর্শন, জীবনের মর্মজ্ঞান, তিনি তো সভ্যতার পক্ষপাতহীন শিখা।
রামুর আগুন জ্বলে হিংসার আগুনে, মূর্খ তাকে রূপ দেয় উন্মাদ ক্রোধে,
মন্দির পুড়েছে তাতে, ঘরবাড়ি, সংসার, বন্ধুতা বিশ্বাস পুড়ে আগুন লেগেছে বোধে।
ধ্বংসের মাঝে তবু জাগরূক দেখেছি বুদ্ধকে, মুদিতায় অপ্রমত্ত অবিচল, একা,
তিনিই আশ্রয়, তথাগত তিনি, করুণার দানে এখনো পাঠান বার্তা তাঁর
ধীরোদাত্ত কণ্ঠে—অহিংসা পরম ধর্ম...
No comments