পক্ষপাতমূলক আচরণ আইনের শাসনের পরিপন্থী- কাকে সেবা দিচ্ছে পুলিশ?
দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর আচরণ ও ভূমিকা বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। প্রথমত, তাদের ওপর রাষ্ট্র যে দায়িত্ব অর্পণ করেছে, সে দায়িত্ব পালন করতে তারা সক্ষম কি না? দ্বিতীয়ত, তারা সে দায়িত্ব পালন করতে চাইলেও ক্ষমতাসীন দলের কাছ থেকে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে কি না?
প্রতিটি সরকারই পুলিশ বাহিনীকে দলীয় ও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে থাকে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বর্তমান সরকার দলীয়করণের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য দিয়ে ক্ষমতায় এলেও তাদের আমলে দলীয়করণের দাপট বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে।
সাম্প্রতিককালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে পরস্পরবিরোধী আচরণের কারণে পুলিশ বাহিনী সমালোচিত হচ্ছে। ২ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের সামনে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনটির কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে মিছিল করলেও তারা নির্বিকার থাকে। কিন্তু গত বুধবার প্রগতিশীল ছাত্রজোট ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে। গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পাতার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ছাত্রজোটের একজন কর্মীর ওপর তিনজন পুলিশ সদস্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অথচ এক দিন আগে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের কর্মীদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালায়। ক্ষেত্রবিশেষে পুলিশের বাড়াবাড়ি এবং ক্ষেত্রবিশেষে নীরবতা আইনের শাসনের পরিপন্থী। আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে পরিবর্তন আনা হয়। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নতুন মন্ত্রী এলেও পুলিশের আচরণে পরিবর্তন আসেনি। বরং বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ ঠেকাতে পুলিশকে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠতে দেখা গেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। ২ অক্টোবরের ঘটনাকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ‘অ্যাকসিডেন্ট’ হিসেবে অভিহিত করলেও সেই ‘অ্যাকসিডেন্ট’ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নেই। সেদিন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দিয়েছে, তারা অপরিচিত কেউ নয়। তাদের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অদ্যাবধি কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ি দেখা যাচ্ছে কেবল প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের ওপর। ছাত্রলীগ ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সফল হতে অবশ্যই সততা, নিষ্ঠা ও পক্ষপাতহীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে যারা অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে যেসব পুলিশ সদস্য বিরোধী দলের মিছিল-সমাবেশ পণ্ড করার নামে বাড়াবাড়ি করছেন, তাঁদের বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সত্যিই তাঁরা আত্মরক্ষার জন্য এসব করছেন, না ক্ষমতাসীনদের খুশি করতে? পুলিশ বাহিনীকে দেশের সব মানুষের সেবক হতে হবে, শুধু ক্ষমতাসীনদের সেবক হলে চলবে না।
সাম্প্রতিককালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে পরস্পরবিরোধী আচরণের কারণে পুলিশ বাহিনী সমালোচিত হচ্ছে। ২ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের সামনে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনটির কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে মিছিল করলেও তারা নির্বিকার থাকে। কিন্তু গত বুধবার প্রগতিশীল ছাত্রজোট ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে। গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পাতার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ছাত্রজোটের একজন কর্মীর ওপর তিনজন পুলিশ সদস্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অথচ এক দিন আগে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের কর্মীদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালায়। ক্ষেত্রবিশেষে পুলিশের বাড়াবাড়ি এবং ক্ষেত্রবিশেষে নীরবতা আইনের শাসনের পরিপন্থী। আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে পরিবর্তন আনা হয়। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নতুন মন্ত্রী এলেও পুলিশের আচরণে পরিবর্তন আসেনি। বরং বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ ঠেকাতে পুলিশকে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠতে দেখা গেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। ২ অক্টোবরের ঘটনাকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ‘অ্যাকসিডেন্ট’ হিসেবে অভিহিত করলেও সেই ‘অ্যাকসিডেন্ট’ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নেই। সেদিন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দিয়েছে, তারা অপরিচিত কেউ নয়। তাদের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অদ্যাবধি কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ি দেখা যাচ্ছে কেবল প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের ওপর। ছাত্রলীগ ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সফল হতে অবশ্যই সততা, নিষ্ঠা ও পক্ষপাতহীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে যারা অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে যেসব পুলিশ সদস্য বিরোধী দলের মিছিল-সমাবেশ পণ্ড করার নামে বাড়াবাড়ি করছেন, তাঁদের বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সত্যিই তাঁরা আত্মরক্ষার জন্য এসব করছেন, না ক্ষমতাসীনদের খুশি করতে? পুলিশ বাহিনীকে দেশের সব মানুষের সেবক হতে হবে, শুধু ক্ষমতাসীনদের সেবক হলে চলবে না।
No comments