প্রশাসক দিয়ে ডেসটিনি চালু রাখবে সরকার
প্রশাসক নিয়োগ করে ডেসটিনি গ্রুপ সচল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গ্রুপটির সঙ্গে লাখ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত। তাদের স্বার্থের সুরক্ষা দেওয়াসহ গ্রুপের সম্পত্তি রক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব মো. গোলাম হোসেন।
তিনি বলেন, এ জন্য প্রয়োজনে আইন সংশোধন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একজন প্রশাসক ও তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য একাধিক সহকারী প্রশাসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। ওই প্রশাসক ডেসটিনি গ্রুপের বৈধ ও দৃশ্যমান ব্যবসা পরিচালনা করবেন। এর ফলে ডেসটিনি গ্রুপের সম্পত্তি বেহাত হওয়া থেকেও রক্ষা পাবে।
আইন মন্ত্রণালয় ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রশাসক নিয়োগ দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ডেসটিনি গ্রুপের কার্যক্রম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োজিত থাকবেন বলে বাণিজ্যসচিব জানান।
তিনি বলেন, 'বিদ্যমান কম্পানি আইনের ১৯৩-১৯৪ ধারায় কোনো কম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ নেই, আছে পরিদর্শক নিয়োগের কথা। সে জন্যই আগামী রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রশাসক নিয়োগ কিভাবে দেওয়া যায়, সেই ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করবে। আলোচনায় পথ না বের হলে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে।'
বাণিজ্যসচিব বলেন, 'প্রশাসকের কাজ হবে ডেসটিনির প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখা। ব্যাংক হিসাবেও লেনদেন করবেন প্রশাসক। ডেসটিনি গ্রুপ প্রতারক হলেও এর ৪০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লাখ লাখ মানুষ জড়িত। অনেক সাধারণ মানুষ সরল বিশ্বাসে কমিশনের লোভে ডেসটিনিতে গেছে। ডেসটিনির নিজস্ব পণ্য বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু তা তাদের নেই। নিজেদের পরিচালকদের কিছু পণ্য উচ্চমূল্যে বিক্রি করে কমিশনের নামে টাকাগুলো ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছে। প্রশাসকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিরীক্ষা কর্মকাণ্ডও পরিচালিত হবে বলে জানান গোলাম হোসেন। একই সঙ্গে প্রশাসক ডেসটিনি গ্রুপের সম্পত্তি চিহ্নিত করবেন। ওই সব সম্পত্তি গ্রুপটির পরিবেশকদের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে।'
এদিকে যৌথ মূলধনী কম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) রেজিস্ট্রারকে প্রধান করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট আন্তমন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গত সোমবার পাওয়ার পর কী করা যায় তার একটি খসড়া তৈরি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল সেই খসড়াটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সন্ধ্যায় আধা ঘণ্টার মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করেন বাণিজ্যসচিব।
সরকারের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করে বাণিজ্যসচিব আরো জানান, ডেসটিনি গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম সারা দেশে জালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। তাই বিশেষজ্ঞ ছাড়া এত জটিল বিষয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত সম্ভব নয়। সে জন্যই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কোনো কম্পানিকে দিয়ে ডেসটিনির সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড জন্মলগ্ন থেকে বিশদভাবে নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। একই নিরীক্ষা ফার্ম দিয়ে ডেসটিনির সব কম্পানির সম্পদ ও দায়দেনার একটি খতিয়ান তৈরি করা হবে।
আইন মন্ত্রণালয় ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রশাসক নিয়োগ দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ডেসটিনি গ্রুপের কার্যক্রম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োজিত থাকবেন বলে বাণিজ্যসচিব জানান।
তিনি বলেন, 'বিদ্যমান কম্পানি আইনের ১৯৩-১৯৪ ধারায় কোনো কম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ নেই, আছে পরিদর্শক নিয়োগের কথা। সে জন্যই আগামী রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রশাসক নিয়োগ কিভাবে দেওয়া যায়, সেই ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করবে। আলোচনায় পথ না বের হলে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে।'
বাণিজ্যসচিব বলেন, 'প্রশাসকের কাজ হবে ডেসটিনির প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখা। ব্যাংক হিসাবেও লেনদেন করবেন প্রশাসক। ডেসটিনি গ্রুপ প্রতারক হলেও এর ৪০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লাখ লাখ মানুষ জড়িত। অনেক সাধারণ মানুষ সরল বিশ্বাসে কমিশনের লোভে ডেসটিনিতে গেছে। ডেসটিনির নিজস্ব পণ্য বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু তা তাদের নেই। নিজেদের পরিচালকদের কিছু পণ্য উচ্চমূল্যে বিক্রি করে কমিশনের নামে টাকাগুলো ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছে। প্রশাসকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিরীক্ষা কর্মকাণ্ডও পরিচালিত হবে বলে জানান গোলাম হোসেন। একই সঙ্গে প্রশাসক ডেসটিনি গ্রুপের সম্পত্তি চিহ্নিত করবেন। ওই সব সম্পত্তি গ্রুপটির পরিবেশকদের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে।'
এদিকে যৌথ মূলধনী কম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) রেজিস্ট্রারকে প্রধান করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট আন্তমন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গত সোমবার পাওয়ার পর কী করা যায় তার একটি খসড়া তৈরি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল সেই খসড়াটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সন্ধ্যায় আধা ঘণ্টার মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করেন বাণিজ্যসচিব।
সরকারের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করে বাণিজ্যসচিব আরো জানান, ডেসটিনি গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম সারা দেশে জালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। তাই বিশেষজ্ঞ ছাড়া এত জটিল বিষয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত সম্ভব নয়। সে জন্যই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কোনো কম্পানিকে দিয়ে ডেসটিনির সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড জন্মলগ্ন থেকে বিশদভাবে নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। একই নিরীক্ষা ফার্ম দিয়ে ডেসটিনির সব কম্পানির সম্পদ ও দায়দেনার একটি খতিয়ান তৈরি করা হবে।
No comments