কেন আগাম নির্বাচন চান নেতানিয়াহু?
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত মঙ্গলবার আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু কেন?
গতকাল বৃহস্পতিবার সে দেশের হারেৎজ প্রত্রিকায় প্রকাশিত দুটি জনমত জরিপের ফলে দেখা যায়, নেতানিয়াহু ও ডানপন্থী ধর্মীয় দলগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সে দেশের হারেৎজ প্রত্রিকায় প্রকাশিত দুটি জনমত জরিপের ফলে দেখা যায়, নেতানিয়াহু ও ডানপন্থী ধর্মীয় দলগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
গত সপ্তাহেই নেতানিয়াহু জোটনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আর তখনই স্পষ্ট হয়ে ওঠে, আগামী বাজেটে তাঁদের সমর্থন পাবেন না তিনি। অথচ এ বছরের শেষ দিকে অবশ্যই বাজেট পাস করতে হবে।
বাজেটে কয়েক দফা কঠোর সংকোচনের প্রস্তাব আছে। আলট্রা-অর্থোডক্স শাস এবং ইউনাইটেড তোরাহ জুডাইজমের মতো ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের আশঙ্কা, এ বাজেট পাস করা হলে তারা ভোটার হারাবে। কারণ, রাষ্ট্রের নানা সুবিধার ওপর নির্ভরশীল বড় পরিবার, গরিব ও বয়স্ক ব্যক্তিরা তাদের প্রতি বিমুখ হবে। নেতানিয়াহু তাঁর টেলিভিশন বিবৃতিতে বলেছেন, যত শিগগির সম্ভব ভোটের আয়োজন করলেই ইসরায়েলের জন্য মঙ্গল। তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে তিনি। এর পেছনে যুক্তি দেখিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, এতে দেশের অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তায় ভোগার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
প্রতিদ্বন্দ্বীরা দুর্বল: আগাম নির্বাচন ঘোষণার নেপথ্যে আরও অনেক কারণ রয়েছে। এর একটি হলো সাম্প্রতিক জরিপের ফল। এতে দেখা যায়, নেতানিয়াহুর ডানপন্থী লিকুদ পার্টি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে। পরবর্তী সরকার গঠনে নেতৃত্ব দিতে পারবে।
হারেৎজর সম্পাদক আলুফ বেন মন্তব্য করেছেন, তাঁর (নেতানিয়াহুর) প্রতিদ্বন্দ্বীরা দুর্বল ও অগুরুত্বপূর্ণ এবং তাঁর নীতির বিকল্প কিছু তুলে ধরতে পারেননি। এসব কারণে নেতানিয়াহু অপরিহার্য অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। যাঁর আপাতত কোনো বিকল্প নেই।
আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন হলে অন্য দলগুলো গুছিয়ে ওঠার খুব একটা সুযোগ পাবে না। লেবার দলের নেতা শেলি ইয়াছিমোভিচ কিংবা মধ্যপন্থী কাদিমা দলের নেতা শাউল মোফাজের হাতে সময় খুব অল্পই থাকবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, নেতানিয়াহুর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন এহুদ ওলমার্ট। যদিও তিনি বর্তমানে কোনো দলের প্রেসিডেন্ট নন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদকে দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০০৯ সালে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। কিন্তু এখন তিনি ওই অভিযোগ থেকে মুক্ত। অন্য একটি ঘুষের মামলার শুনানিতে হাজির হতে হবে। এর পরও পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন তিনি। মনে করা হয়, কাদিমা দলের সঙ্গে যুক্ত এহুদই পারেন মধ্য-বামজোট গড়ে তুলতে। নেতানিয়াহুর হিসাব-নিকাশে হয়তো এটাও আছে। হবে হয়তো, এ জন্যই আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন। যত শিগগির ভোট হবে, তাঁর দিক থেকে ততই ভালো। বিরোধীরা জোট গড়ার সময় কম পাবে।
ইরান প্রসঙ্গ: ইরান যাতে পারমাণবিক বোমা বানাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের অবরোধ আরোপের জোর চেষ্টা চালান তিনি। তাঁর এ প্রচেষ্টা বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এই জনপ্রিয়তাকেই কাজে লাগাতে চাচ্ছেন। বিবিসি।
বাজেটে কয়েক দফা কঠোর সংকোচনের প্রস্তাব আছে। আলট্রা-অর্থোডক্স শাস এবং ইউনাইটেড তোরাহ জুডাইজমের মতো ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের আশঙ্কা, এ বাজেট পাস করা হলে তারা ভোটার হারাবে। কারণ, রাষ্ট্রের নানা সুবিধার ওপর নির্ভরশীল বড় পরিবার, গরিব ও বয়স্ক ব্যক্তিরা তাদের প্রতি বিমুখ হবে। নেতানিয়াহু তাঁর টেলিভিশন বিবৃতিতে বলেছেন, যত শিগগির সম্ভব ভোটের আয়োজন করলেই ইসরায়েলের জন্য মঙ্গল। তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে তিনি। এর পেছনে যুক্তি দেখিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, এতে দেশের অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তায় ভোগার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
প্রতিদ্বন্দ্বীরা দুর্বল: আগাম নির্বাচন ঘোষণার নেপথ্যে আরও অনেক কারণ রয়েছে। এর একটি হলো সাম্প্রতিক জরিপের ফল। এতে দেখা যায়, নেতানিয়াহুর ডানপন্থী লিকুদ পার্টি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে। পরবর্তী সরকার গঠনে নেতৃত্ব দিতে পারবে।
হারেৎজর সম্পাদক আলুফ বেন মন্তব্য করেছেন, তাঁর (নেতানিয়াহুর) প্রতিদ্বন্দ্বীরা দুর্বল ও অগুরুত্বপূর্ণ এবং তাঁর নীতির বিকল্প কিছু তুলে ধরতে পারেননি। এসব কারণে নেতানিয়াহু অপরিহার্য অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। যাঁর আপাতত কোনো বিকল্প নেই।
আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন হলে অন্য দলগুলো গুছিয়ে ওঠার খুব একটা সুযোগ পাবে না। লেবার দলের নেতা শেলি ইয়াছিমোভিচ কিংবা মধ্যপন্থী কাদিমা দলের নেতা শাউল মোফাজের হাতে সময় খুব অল্পই থাকবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, নেতানিয়াহুর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন এহুদ ওলমার্ট। যদিও তিনি বর্তমানে কোনো দলের প্রেসিডেন্ট নন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদকে দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০০৯ সালে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। কিন্তু এখন তিনি ওই অভিযোগ থেকে মুক্ত। অন্য একটি ঘুষের মামলার শুনানিতে হাজির হতে হবে। এর পরও পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন তিনি। মনে করা হয়, কাদিমা দলের সঙ্গে যুক্ত এহুদই পারেন মধ্য-বামজোট গড়ে তুলতে। নেতানিয়াহুর হিসাব-নিকাশে হয়তো এটাও আছে। হবে হয়তো, এ জন্যই আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন। যত শিগগির ভোট হবে, তাঁর দিক থেকে ততই ভালো। বিরোধীরা জোট গড়ার সময় কম পাবে।
ইরান প্রসঙ্গ: ইরান যাতে পারমাণবিক বোমা বানাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের অবরোধ আরোপের জোর চেষ্টা চালান তিনি। তাঁর এ প্রচেষ্টা বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এই জনপ্রিয়তাকেই কাজে লাগাতে চাচ্ছেন। বিবিসি।
No comments