প্রতিশোধ নিলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকত না: প্রধানম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে যা করেছে, সেসবের প্রতিশোধ নিলে তাদের অস্তিত্ব থাকত না। গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার উদ্বোধনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের আমলে অনেক টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পত্রিকা চালাতে পারে কে? যাঁরা অনেক ব্যবসা-ট্যাবসা করেন। তাঁদের অনেক চাহিদা। আমরা অনেক সময় সব চাহিদা পূরণ করতে পারি না। তখন তাঁরা বেজার হন।’
প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি টেলিভিশনের প্রচারিত টক শোর সমালোচনা করে বলেন, ‘টক শো নামের মধ্যরাতের শো হয়। মধ্যরাতে ঘুম কামাই করে কারা? আগে জানতাম, মধ্যরাতে সিঁধ কাটতে যায়। এখন টক শোতে যায় আমাদের গলা কাটতে।’ তিনি বলেন, টক শোতে এমন অনেকের কাছ থেকে কথা শুনতে হয়, যাঁরা উপদেষ্টা হয়ে একটা নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
রামুর ঘটনায় সেখানকার বিরোধীদলীয় সাংসদ জড়িত থাকার বিষয়টি আবারও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সাংসদ সেখানে যান রাত সাড়ে ১১টায়। তাঁর সঙ্গে গাড়ি আর মোটরসাইকেল ছিল। তারপর তিনি বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন এবং তখনই সব পুড়ছিল। আওয়ামী লীগের লোকজন, পুলিশ, বিজিবি সংখ্যালঘুদের পাশে থেকে হামলা বন্ধের জন্য কাজ করছিল।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। শিক্ষায় পাসের হার ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা নিজে লেখাপড়া করেননি। এ জন্য অন্যরা লেখাপড়া শিখুক, সেটা তিনি চান না।
উদ্বোধনী বক্তৃতা শেষে জেলা নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা আলাউদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.