বিরোধী দলের নিরীহ কর্মসূচিতে স্বস্তিতে শঙ্কায় আ. লীগ by পাভেল হায়দার চৌধুরী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের দুই মাসের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণায় স্বস্তির পাশাপাশি শঙ্কায়ও রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নমনীয় ধরনের কর্মসূচি দিলেও তা পালন করার সময় বিএনপি কোনো অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালানোর পরিকল্পনা করছে কি না তা নিয়ে শঙ্কিত
আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁরা মনে করেন, 'নিরীহ' কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিগত সময়ে অনেক ঘটনার জন্ম দিয়েছে বিএনপি। এর বড় উদাহরণ গত বছর ১৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনার নামে তাণ্ডব চালানোর ঘটনা। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে তাঁদের এ মনোভাব পাওয়া গেছে।
অবশ্য শঙ্কা ভুলে থাকতে চায় আওয়ামী লীগ। তাই বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচি যেন গণতান্ত্রিক হয়, এ আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বিরোধী দলের 'নরম' রাজনৈতিক কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিএনপির কর্মসূচিকে আপাত নিরীহ মনে হলেও বিএনপি অন্তর্ঘাতমূলক কিছু করবে কি না তা ভাবছে আওয়ামী লীগ। মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনার নামে তাণ্ডবলীলা চালানোর মতো কিছু করলে সরকার জানমালের নিরাপত্তার প্রয়োজনে সমুচিত জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ তাদের কর্মসূচিকে অন্যভাবে দেখতে চায় না। তাই তারা কী করবে সেটার ওপর নির্ভর করছে কেমনভাবে মোকাবিলা করা হবে। গণতান্ত্রিক কর্মসূচি হলে সংঘাত হয় না, হবেও না। ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচির নামে সংঘাত সংঘর্ষ এড়াতে দলীয় নেতা-কর্মী ও প্রশাসনকে অবহিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার দাবি, বিএনপি বাস্তবতা উপলব্ধি করেই এমন কর্মসূচি দিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে, জনগণ তাদের হটকারী দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেনি। বিএনপি এ কারণেই নরম কর্মসূচি দিয়ে দাবি করেছে- শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা, ঈদুল আজহা, জনদুর্ভোগ ইত্যাদি বিবেচনা করেই কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার বাড়ি, তারেক-কোকোর জন্য আন্দোলন-অবরোধের সময় তাদের মাথায় কি জনদুর্ভোগের কথা ছিল না? তবে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বীকার করেছেন, তাঁরা বিরোধী দলের এ কর্মসূচিতে স্বস্তিতে আছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিএনপির কর্মসূচি দুর্বল হোক আর সবল হোক, চলতি বছরও রাজনৈতিক মাঠ দখলে রাখতে দেওয়া হবে না বিএনপিকে। এসব কর্মসূচির নামে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক মাঠ দখলে রাখার চেষ্টা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। দলীয় ও সরকারিভাবে তা প্রতিহত করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, বিএনপির যে লম্ফঝম্ফ, কর্মকাণ্ড তা দিয়ে আন্দোলন হয় না। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ আন্দোলনকে ভয় পায় না। বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক 'পর্বতের মূষিক প্রসব'। বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সরকারদলীয় একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা এমন মতামত প্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগ সূত্রে আরো জানা গেছে, বিএনপি আন্দোলনের নামে গণতান্ত্রিক আচরণের বাইরে গেলে কঠোর জবাব দেবে সরকার। গণসংযোগ কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খল আচরণ করলে বা এর কোনো আলামত দেখা গেলে তাও করতে দেবে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অবশ্য শঙ্কা ভুলে থাকতে চায় আওয়ামী লীগ। তাই বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচি যেন গণতান্ত্রিক হয়, এ আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বিরোধী দলের 'নরম' রাজনৈতিক কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিএনপির কর্মসূচিকে আপাত নিরীহ মনে হলেও বিএনপি অন্তর্ঘাতমূলক কিছু করবে কি না তা ভাবছে আওয়ামী লীগ। মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনার নামে তাণ্ডবলীলা চালানোর মতো কিছু করলে সরকার জানমালের নিরাপত্তার প্রয়োজনে সমুচিত জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ তাদের কর্মসূচিকে অন্যভাবে দেখতে চায় না। তাই তারা কী করবে সেটার ওপর নির্ভর করছে কেমনভাবে মোকাবিলা করা হবে। গণতান্ত্রিক কর্মসূচি হলে সংঘাত হয় না, হবেও না। ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচির নামে সংঘাত সংঘর্ষ এড়াতে দলীয় নেতা-কর্মী ও প্রশাসনকে অবহিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার দাবি, বিএনপি বাস্তবতা উপলব্ধি করেই এমন কর্মসূচি দিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে, জনগণ তাদের হটকারী দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেনি। বিএনপি এ কারণেই নরম কর্মসূচি দিয়ে দাবি করেছে- শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা, ঈদুল আজহা, জনদুর্ভোগ ইত্যাদি বিবেচনা করেই কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার বাড়ি, তারেক-কোকোর জন্য আন্দোলন-অবরোধের সময় তাদের মাথায় কি জনদুর্ভোগের কথা ছিল না? তবে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বীকার করেছেন, তাঁরা বিরোধী দলের এ কর্মসূচিতে স্বস্তিতে আছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিএনপির কর্মসূচি দুর্বল হোক আর সবল হোক, চলতি বছরও রাজনৈতিক মাঠ দখলে রাখতে দেওয়া হবে না বিএনপিকে। এসব কর্মসূচির নামে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক মাঠ দখলে রাখার চেষ্টা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। দলীয় ও সরকারিভাবে তা প্রতিহত করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, বিএনপির যে লম্ফঝম্ফ, কর্মকাণ্ড তা দিয়ে আন্দোলন হয় না। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ আন্দোলনকে ভয় পায় না। বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক 'পর্বতের মূষিক প্রসব'। বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সরকারদলীয় একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা এমন মতামত প্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগ সূত্রে আরো জানা গেছে, বিএনপি আন্দোলনের নামে গণতান্ত্রিক আচরণের বাইরে গেলে কঠোর জবাব দেবে সরকার। গণসংযোগ কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খল আচরণ করলে বা এর কোনো আলামত দেখা গেলে তাও করতে দেবে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
No comments