নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকার চাইলে বিএনপি আলোচনায় রাজি ॥ ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অস্পষ্ট। আর অস্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে তিনি জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন। অন্তর্বর্তী সরকারে কারা থাকবে, কিভাবে তা গঠন হবে, এতে নির্বাচিত না অনির্বাচিতরা থাকবে এসব কিছু তিনি ব্যাখ্যা করেননি।
তাই প্রধানমন্ত্রী কি ধরণের অন্তর্বর্তী সরকার চান আগে তা পরিষ্কার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকার চাইলে বিএনপি আলোচনায় প্রস্তুত। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা মনে করছি গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার চলমান আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। মামলা দিয়ে এ সরকার বিরোধী দলকে আন্দোলন ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, যার সর্বশেষ প্রমাণ হরতালে গাড়ি পোড়ানোর মিথ্যা মামলায় চার্জগঠন। বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ গঠন করে নির্দলীয় সরকারের আন্দোলন থেকে বিরত রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সব নেতাকে গ্রেফতার করলেও এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন থামবে না। সাজানো ও মিথ্যা মামলা দায়েরের উদ্যোগ কখনও শুভ ফল বয়ে আনবে না। আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে সরকারের দেয়া সকল মামলা মোকাবেলা করা হবে বলে তিনি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার এখন দেউলিয়া হয়ে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার চালাচ্ছে। এ ছাড়া মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। গাড়ি পোড়ানোর বা ককটেল বিস্ফোরণের মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের প্রতি দ্বিমুখী আচরণ করছে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাই বলুন না কেন আগামী নির্বাচনে ভিন্ন পন্থায় কিছু করার চেষ্টা করলে সরকার ভুল করবে।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে অন্তর্বর্তী সরকারে শরিক হতে বিএনপিকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যাই বলুক, আগামী নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনেই। আমরা কোন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না এবং সে ধরণের নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এখন শুধু বিএনপি নয়, সারাদেশের মানুষের দাবি। বিদেশীরাও বাংলাদেশের জনগণের এ দাবির সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলে বিএনপি সবসময়ই আলোচনায় রাজি আছে। আমাদের দাবি নির্বাচনকালে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার থাকবে এবং তাদের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। যা ইতোমধ্যে দলের চেয়ারপার্সন বলে দিয়েছেন। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ঈদের পর দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচন হলে মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরে আসবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে। এর ফলে যে সরকার আসবে জনগণের জন্য কাজ করবে। তিনি বলেন, একদিকে প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে আমাদের আহ্বান জানাচ্ছেন, আর অন্যদিকে বলছেন সংসদে এসে বিরোধী দলকে এ বিষয়ে প্রস্তাব দিতে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, দরজা-জানালা আপনারা বন্ধ করেছেন অথচ এখন আমাদের এসব খুলে দিতে বলছেন। গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে আপনাদেরই বন্ধ দরজা খুলে দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার একদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে থাকা সাড়ে ৭ হাজার মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা মনে করছি গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার চলমান আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। মামলা দিয়ে এ সরকার বিরোধী দলকে আন্দোলন ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, যার সর্বশেষ প্রমাণ হরতালে গাড়ি পোড়ানোর মিথ্যা মামলায় চার্জগঠন। বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ গঠন করে নির্দলীয় সরকারের আন্দোলন থেকে বিরত রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সব নেতাকে গ্রেফতার করলেও এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন থামবে না। সাজানো ও মিথ্যা মামলা দায়েরের উদ্যোগ কখনও শুভ ফল বয়ে আনবে না। আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে সরকারের দেয়া সকল মামলা মোকাবেলা করা হবে বলে তিনি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার এখন দেউলিয়া হয়ে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার চালাচ্ছে। এ ছাড়া মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। গাড়ি পোড়ানোর বা ককটেল বিস্ফোরণের মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের প্রতি দ্বিমুখী আচরণ করছে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাই বলুন না কেন আগামী নির্বাচনে ভিন্ন পন্থায় কিছু করার চেষ্টা করলে সরকার ভুল করবে।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে অন্তর্বর্তী সরকারে শরিক হতে বিএনপিকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যাই বলুক, আগামী নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনেই। আমরা কোন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না এবং সে ধরণের নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এখন শুধু বিএনপি নয়, সারাদেশের মানুষের দাবি। বিদেশীরাও বাংলাদেশের জনগণের এ দাবির সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলে বিএনপি সবসময়ই আলোচনায় রাজি আছে। আমাদের দাবি নির্বাচনকালে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার থাকবে এবং তাদের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। যা ইতোমধ্যে দলের চেয়ারপার্সন বলে দিয়েছেন। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ঈদের পর দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচন হলে মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরে আসবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে। এর ফলে যে সরকার আসবে জনগণের জন্য কাজ করবে। তিনি বলেন, একদিকে প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে আমাদের আহ্বান জানাচ্ছেন, আর অন্যদিকে বলছেন সংসদে এসে বিরোধী দলকে এ বিষয়ে প্রস্তাব দিতে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, দরজা-জানালা আপনারা বন্ধ করেছেন অথচ এখন আমাদের এসব খুলে দিতে বলছেন। গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে আপনাদেরই বন্ধ দরজা খুলে দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার একদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে থাকা সাড়ে ৭ হাজার মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
No comments