ভারতে বিদ্যুত বিপর্যয়ে কেন্দ্রের অভিযোগ রাজ্যের প্রত্যাখ্যান
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম ॥ ভারতের দু’দিনের ভয়াবহ বিদ্যুত বিপর্যয়ের পর বুধবার সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের ভয়াবহতম ও দীর্ঘতম এ বিপর্যয়ের কারণে ভারতীয় প্রশাসনে শুরু হয়েছে ব্লেম গেম।
কেন্দ্রীয় সরকার এর জন্য পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের দিকে স্পষ্ট আঙ্গুল তুলেছে।
কেন্দ্রীয় সরকার এর জন্য পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের দিকে স্পষ্ট আঙ্গুল তুলেছে।
তারা বলছে, এ রাজ্যগুলো অতিরিক্ত ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত ব্যবহার করার কারণে তিনটি প্রধান গ্রিডের পতন ঘটে এবং গত মঙ্গলবার সরবরাহে বিঘœ ঘটে। যার কারণে অর্ধেক ভারত বা ২০টি রাজ্যে ৬০ কোটি মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। তবে ওই তিন রাজ্য প্রশাসন ‘তাদের অতিরিক্ত’ ব্যবহারের কারণে বিদ্যুত বিপর্যয় ঘটেছে এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। জানা গেছে, বুধবার সকালে উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খ- এবং জম্মু-কাশ্মীরে বিদ্যুত সরবরাহ প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। এ ছাড়া পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরখ-, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য এবং দিল্লীতেও স্বাভাবিক সরবরাহ চালু হয়েছে। উড়িষ্যার অবস্থা কিছুটা ভাল। তবে রাজস্থান এবং হিমাচল প্রদেশের সর্বশেষ অবস্থা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে এখনও পর্যন্ত সরকার এ মহাবিপর্যয়ের কারণ খুঁজে বের করতে পারেনি। গত মঙ্গলবার কেন্দ্র সরকার মন্ত্রিসভায় পুনর্বিন্যাস করেন। বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া বীরাপ্পা মোলি বুধবার বলেছেন, বিদ্যুত বিভ্রাট মোকাবেলায় তিনি সর্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করবেন। দেশের বিদ্যুত নিয়ন্ত্রক বোর্ড পুনর্গঠনেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন (সিইআরসি) উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরখ- এবং জম্মু-কাশ্মীরÑ এ পাঁচটি রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের তলব করেছে। এসব রাজ্য অতিরিক্ত বিদ্যুত ব্যবহার করেছে বলে কেন্দ্র সরকারের অভিযোগ।
রাজ্যের জ্বালানি বিভাগের এই কর্মকর্তাদের আগামী ১৪ আগস্ট সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
সুশীল কুমার সিন্ধে যিনি গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন, সুনির্দিষ্টভাবে দাবি করেছেন, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবসহ আরও কয়েকটি প্রদেশ মঙ্গলবার তাদের বরাদ্দের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুত ব্যবহার করছিল আর এ কারণেই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছিল।
বুধবার তিনি দিল্লীতে আবারও বলেছেন, কর্মকর্তারা তাঁকে বলেছেন, পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড থেকে অতিরিক্ত ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত খরচ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এটা বন্ধ করতে নয়ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।
উত্তরখ- গ্রিড থেকে অতিরিক্ত বিদ্যুত গ্রহণের কারণে ওই গ্রিডের পতন ঘটেÑ এ অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে পাঞ্জাব। তাদের দাবি, উত্তর প্রদেশ এবং হরিয়ানার মতো অন্য রাজ্যের তুলনায় তারা যে অতিরিক্তি বিদ্যুত খরচ করেছেন তা অতি নগণ্য।
পাঞ্জাব সরকারের এক মুখপাত্র বুধবার চ-িগড়ে বলেছেন, মঙ্গলবারের বিপর্যয়ের আগে পাঞ্জাব বরাদ্দের মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ অতিরিক্তি ব্যবহার করেছে। অপর দিকে হরিয়ানা ব্যবহার করেছে বরাদ্দের অতিরিক্ত ২২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং উত্তর প্রদেশ ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার গ্রিড অকেজো হয়ে পড়ার কারণ হিসেবে যা উল্লেখ করা হচ্ছে তা অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। তাদের রাজ্যে বিদ্যুত ব্যবহারের কারণে এ সমস্যা হয়েছে বলে মনে করার কোন কারণ তারা দেখছেন না।
এদিকে এখনও পর্যন্ত সরকার এ মহাবিপর্যয়ের কারণ খুঁজে বের করতে পারেনি। গত মঙ্গলবার কেন্দ্র সরকার মন্ত্রিসভায় পুনর্বিন্যাস করেন। বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া বীরাপ্পা মোলি বুধবার বলেছেন, বিদ্যুত বিভ্রাট মোকাবেলায় তিনি সর্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করবেন। দেশের বিদ্যুত নিয়ন্ত্রক বোর্ড পুনর্গঠনেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন (সিইআরসি) উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরখ- এবং জম্মু-কাশ্মীরÑ এ পাঁচটি রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের তলব করেছে। এসব রাজ্য অতিরিক্ত বিদ্যুত ব্যবহার করেছে বলে কেন্দ্র সরকারের অভিযোগ।
রাজ্যের জ্বালানি বিভাগের এই কর্মকর্তাদের আগামী ১৪ আগস্ট সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
সুশীল কুমার সিন্ধে যিনি গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন, সুনির্দিষ্টভাবে দাবি করেছেন, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবসহ আরও কয়েকটি প্রদেশ মঙ্গলবার তাদের বরাদ্দের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুত ব্যবহার করছিল আর এ কারণেই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছিল।
বুধবার তিনি দিল্লীতে আবারও বলেছেন, কর্মকর্তারা তাঁকে বলেছেন, পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড থেকে অতিরিক্ত ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত খরচ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এটা বন্ধ করতে নয়ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।
উত্তরখ- গ্রিড থেকে অতিরিক্ত বিদ্যুত গ্রহণের কারণে ওই গ্রিডের পতন ঘটেÑ এ অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে পাঞ্জাব। তাদের দাবি, উত্তর প্রদেশ এবং হরিয়ানার মতো অন্য রাজ্যের তুলনায় তারা যে অতিরিক্তি বিদ্যুত খরচ করেছেন তা অতি নগণ্য।
পাঞ্জাব সরকারের এক মুখপাত্র বুধবার চ-িগড়ে বলেছেন, মঙ্গলবারের বিপর্যয়ের আগে পাঞ্জাব বরাদ্দের মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ অতিরিক্তি ব্যবহার করেছে। অপর দিকে হরিয়ানা ব্যবহার করেছে বরাদ্দের অতিরিক্ত ২২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং উত্তর প্রদেশ ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার গ্রিড অকেজো হয়ে পড়ার কারণ হিসেবে যা উল্লেখ করা হচ্ছে তা অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। তাদের রাজ্যে বিদ্যুত ব্যবহারের কারণে এ সমস্যা হয়েছে বলে মনে করার কোন কারণ তারা দেখছেন না।
No comments