টিনএজার দিশেহারা মা-বাবা by রেহানা ফারম্নক
আমেরিকার কলম্বিয়া হাইস্কুলের একটি ঘটনা সমগ্র আমেরিকাবাসীর নানা রকম প্রশ্ন ও সন্দেহে বিবেককে ৰতবিৰত করে তোলে। ঘটনাটা এই, কলোরাডো হাই স্কুলের এক ছাত্র তার বন্ধুকে হত্যা করে। এমন ঘটনা আগে প্রায় শোনাই যেত না কিন্তু আজকাল মিডিয়ার কারণে আমরা এমন সব ঘটনায় অবাক, বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়ি।
আমেরিকার ঘটনাটা সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে তা ছড়িয়ে পড়ল বিদু্যত বেগে। সারা দেশের স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চাইতে অনেক বেশি জোরদার করা হলো। ছাত্র-ছাত্রীদের গতিবিধির ওপর গোপন নজরদারি অনেকগুণ বৃদ্ধি করা হলো। তাদের সামাজিক কার্যকলাপ : গেটটুগেদার পিকনিক, জন্মদিন, কনসাট শোতে অংশ গ্রহণ করা কার্যত বন্ধ করে দেয়া হলো। এবং গোপনে তাদের নোট বইয়ে যা লেখা থাকত, সন্দেহের চোখে পুরোমাত্রায় তা খতিয়ে দেখা হতো।
মা-বাবারা স্কুল কতর্ৃপৰের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন নতুন নতুন আইনকানুন যোগ করে ছাত্রদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য। রাজনীতিবিদরা বসে গেলেন নতুন সময়োপযোগী আইন তৈরির পরিকল্পনায় আর বিভিন্ন ঔষধের দোকান ও সাধারণ দোকানপাটকে নির্দেশ দেয়া হলো এসব কোমলমতি কিশোরা-কিশোরীদের হাতে আপত্তিকর (যা জীবন পর্যনত্ম নাশ করতে পারে) কিছু তুলে না দিতে এবং এসব অবাঞ্ছিত ঘটনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রৰাকবচ হিসেবে পিতা-মাতার হাতে তুলে দেয়া হলো নতুন গাইড লাইন।
আমেরিকার একজন বিখ্যাত ডাক্তার তাঁর একটি বইতে (কববঢ়রহম ুড়ঁৎ ঋধসরষু ঃড়মবঃযবৎ) লিখেছেন সারা পৃথিবী এখন পারিবারিক ধ্বংসের মুখে। এমতাবস্থায় সনত্মানকে শক্ত জালে ধরে রাখা একটি কঠিন ও জটিল প্রক্রিয়া। এই আনত্মর্জাতিক বিখ্যাত ডাক্তার বলেছেন, বাচ্চাকে অবশ্যই জানতে দিতে হবে মা-বাবা তাদের সনত্মানকে কতটা ভালবাসেন, তাদের ভাল-মন্দে পিতা-মাতা কতটা উদ্বিগ্ন। কিন্তু মা-বাবা হিসেবে আপনাকে একটা ভারসাম্য রৰা করে চলতেই হবে ্তুখবঃঃরহম ঃযবস ঃবংঃ ঃযবরৎ রিহমং্থ। যদিও আপনি নিজেই নিশ্চিত নন তার সদ্য গজিয়ে ওঠা পাখাটি অতটা ভর সইতে পারবে কিনা।
পিতা-মাতা ও সনত্মান এদের সুসম্পর্ক তৈরির ৰেত্রে কঠোর নির্দেশকের ভূমিকার চেয়ে পারস্পরিক সমঝোতা ও শ্রদ্ধা অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। আপনার স্নেহাস্পদের অসংযত কার্য-কলাপে ৰিপ্ত না হয়ে পারিবারিকভাবে সংঘবদ্ধ হোন। ভাষায় শালীনতা এনে, বক্তব্য সংযত করে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করম্নন। দেখবেন সমাধান মিলেই যাবে। সে নতুন কিছু করতে চাইলে তাকে বুদ্ধি, সাহস যোগান দিন। বন্ধুর মতো পাশে থাকুন।
ধরম্নন, আপনার সনত্মান কোন ব্যাপারে কোনখান থেকে ইৎধরহধিংয হয়ে এসেছে। আপনাদের প্রচুর মতপার্থক্য হচ্ছে। তবু তার মতামতের ওপর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করম্নন। তাদের জীবনে এমন কিছু সমস্যা আসে, যেমন, পরীৰার কারণে পড়ার প্রচ- চাপ, হৃদয়ঘটিত সমস্যা, তাদের জীবনের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাপারে আপনাদের মতপার্থক্যের কথা জানিয়েও আপনি তার ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রাখাতে পারেন। কেননা তারা কিন্তু আপনাদের অনুমোদন কামনা করে। পরে প্রয়োজনবোধে তাকে জানিয়ে দিন কেন কাজটিতে আপনি বাধা দিয়েছিলেন। এতে আপনার ওপর আপনার সনত্মানের শ্রদ্ধাবোধ অনেক বেড়ে যাবে এবং পরবর্তী জীবনে যে কোন জটিল সিদ্ধানত্ম সে আপনার সহায়তা কামনা করবে।
সনত্মানের যে কোন কঠিন সমস্যার দায়িত্ববান হোন। বিচলিত না হয়ে তাকে সতর্ক করম্নন। কোন ্তুটষঃরসধঃঁস্থ দেয়ার আগে সকর্ততার সঙ্গে তথ্যাবলী সংগ্রহ করম্নন। কেননা সমাজ পরিবর্তনশীল। আপনার মতাদর্শের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব-সংঘাত হওয়াই স্বাভাবিক। এখানে জেনারেশন গ্যাপ ও প্রচ- প্রভাব ফেলে। আমাদের সময়কার খারাপটা আজকের প্রেৰাপটে তেমন খারাপ নাও হতে পারে। সে দিকটা মাথায় রেখে কোন কাজে বাধা দেয়ার আগে উপযুক্ত কারণ বের করম্নন। কেননা, আগের সেই শানত্ম, সুবোধ ও ছোট্ট সনত্মানটির মতো সে আপনার কথা শুনবে_ এমনটি আশা করা আদৌ ঠিক নয়।
সনত্মানের কাছে আদর্শ মডেল হিসেবে গণ্য হোন। সে আপনার প্রতিমুহূর্তের স্নেহ, আদর ও আবেগ কামনা করে। সনত্মানের দ্বারা ৰতিকর কোন ফলাফলে আপনারা নিজেরাও স্বামী-স্ত্রী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধ-বান্ধব নিজেদের দায়িত্বের কথা অস্বীকার করবেন না। সনত্মানের অবাঞ্ছিত কার্যকলাপে নিজেরাও অনুতপ্ত হোন। আপনার সনত্মান, জানুন, শুনুক।
ধরম্নন আপনার সনত্মান সাংঘাতিক একটি আপরাধ করে ফেলল। তার শাসত্মি অনিবার্য। আইন তাকে প্রশ্রয় দেবে না। এ সময়ও আপনার উচিত পাশে থাকা, সঙ্গ দেয়া। আপনি তার সঙ্গে অপরাধটাকে ঘৃণা করম্নন। কিন্তু আপনার পাপী সনত্মানকে নয়। বলুন, আলস্নাহ তোমার সহায় হোন, তোমার মঙ্গল করম্নন। তাহলে দেখবেন, আপনার ভালবাসার নাগপাশ ছিন্ন করে সে আর কখনও নিবর্ুদ্ধিতার ঘোরে পঙ্কিল পথে পা বাড়াবে না।
এদ্দিনে, ্তুঢ়ধৎবহঃ পড়ধপয্থ হিসেবে অনেক চড়াই-উৎরাই, ঘাত-প্রতিঘাত, দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ভেতর দিয়ে আপনি আপনার সনত্মানকে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। অভিভাবক হিসেবে আপনিও জেনে গেছেন অভিশাপের কালোছায়া ডিঙ্গিয়ে আসার গূঢ়-তত্ত্ব। এখন তারা ্তুমড় ভড়ৎ ঃযব মড়ধষ্থ-এ ধাবমান। তাদের পাশে থাকুন। সারাটি জীবন আপনার নিটল, নিরবচ্ছিন্ন ভালবাসা, শুভকামনায় তারা রৌদ্রোজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে ধেয়ে চলুক।
মা-বাবারা স্কুল কতর্ৃপৰের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন নতুন নতুন আইনকানুন যোগ করে ছাত্রদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য। রাজনীতিবিদরা বসে গেলেন নতুন সময়োপযোগী আইন তৈরির পরিকল্পনায় আর বিভিন্ন ঔষধের দোকান ও সাধারণ দোকানপাটকে নির্দেশ দেয়া হলো এসব কোমলমতি কিশোরা-কিশোরীদের হাতে আপত্তিকর (যা জীবন পর্যনত্ম নাশ করতে পারে) কিছু তুলে না দিতে এবং এসব অবাঞ্ছিত ঘটনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রৰাকবচ হিসেবে পিতা-মাতার হাতে তুলে দেয়া হলো নতুন গাইড লাইন।
আমেরিকার একজন বিখ্যাত ডাক্তার তাঁর একটি বইতে (কববঢ়রহম ুড়ঁৎ ঋধসরষু ঃড়মবঃযবৎ) লিখেছেন সারা পৃথিবী এখন পারিবারিক ধ্বংসের মুখে। এমতাবস্থায় সনত্মানকে শক্ত জালে ধরে রাখা একটি কঠিন ও জটিল প্রক্রিয়া। এই আনত্মর্জাতিক বিখ্যাত ডাক্তার বলেছেন, বাচ্চাকে অবশ্যই জানতে দিতে হবে মা-বাবা তাদের সনত্মানকে কতটা ভালবাসেন, তাদের ভাল-মন্দে পিতা-মাতা কতটা উদ্বিগ্ন। কিন্তু মা-বাবা হিসেবে আপনাকে একটা ভারসাম্য রৰা করে চলতেই হবে ্তুখবঃঃরহম ঃযবস ঃবংঃ ঃযবরৎ রিহমং্থ। যদিও আপনি নিজেই নিশ্চিত নন তার সদ্য গজিয়ে ওঠা পাখাটি অতটা ভর সইতে পারবে কিনা।
পিতা-মাতা ও সনত্মান এদের সুসম্পর্ক তৈরির ৰেত্রে কঠোর নির্দেশকের ভূমিকার চেয়ে পারস্পরিক সমঝোতা ও শ্রদ্ধা অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। আপনার স্নেহাস্পদের অসংযত কার্য-কলাপে ৰিপ্ত না হয়ে পারিবারিকভাবে সংঘবদ্ধ হোন। ভাষায় শালীনতা এনে, বক্তব্য সংযত করে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করম্নন। দেখবেন সমাধান মিলেই যাবে। সে নতুন কিছু করতে চাইলে তাকে বুদ্ধি, সাহস যোগান দিন। বন্ধুর মতো পাশে থাকুন।
ধরম্নন, আপনার সনত্মান কোন ব্যাপারে কোনখান থেকে ইৎধরহধিংয হয়ে এসেছে। আপনাদের প্রচুর মতপার্থক্য হচ্ছে। তবু তার মতামতের ওপর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করম্নন। তাদের জীবনে এমন কিছু সমস্যা আসে, যেমন, পরীৰার কারণে পড়ার প্রচ- চাপ, হৃদয়ঘটিত সমস্যা, তাদের জীবনের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাপারে আপনাদের মতপার্থক্যের কথা জানিয়েও আপনি তার ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রাখাতে পারেন। কেননা তারা কিন্তু আপনাদের অনুমোদন কামনা করে। পরে প্রয়োজনবোধে তাকে জানিয়ে দিন কেন কাজটিতে আপনি বাধা দিয়েছিলেন। এতে আপনার ওপর আপনার সনত্মানের শ্রদ্ধাবোধ অনেক বেড়ে যাবে এবং পরবর্তী জীবনে যে কোন জটিল সিদ্ধানত্ম সে আপনার সহায়তা কামনা করবে।
সনত্মানের যে কোন কঠিন সমস্যার দায়িত্ববান হোন। বিচলিত না হয়ে তাকে সতর্ক করম্নন। কোন ্তুটষঃরসধঃঁস্থ দেয়ার আগে সকর্ততার সঙ্গে তথ্যাবলী সংগ্রহ করম্নন। কেননা সমাজ পরিবর্তনশীল। আপনার মতাদর্শের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব-সংঘাত হওয়াই স্বাভাবিক। এখানে জেনারেশন গ্যাপ ও প্রচ- প্রভাব ফেলে। আমাদের সময়কার খারাপটা আজকের প্রেৰাপটে তেমন খারাপ নাও হতে পারে। সে দিকটা মাথায় রেখে কোন কাজে বাধা দেয়ার আগে উপযুক্ত কারণ বের করম্নন। কেননা, আগের সেই শানত্ম, সুবোধ ও ছোট্ট সনত্মানটির মতো সে আপনার কথা শুনবে_ এমনটি আশা করা আদৌ ঠিক নয়।
সনত্মানের কাছে আদর্শ মডেল হিসেবে গণ্য হোন। সে আপনার প্রতিমুহূর্তের স্নেহ, আদর ও আবেগ কামনা করে। সনত্মানের দ্বারা ৰতিকর কোন ফলাফলে আপনারা নিজেরাও স্বামী-স্ত্রী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধ-বান্ধব নিজেদের দায়িত্বের কথা অস্বীকার করবেন না। সনত্মানের অবাঞ্ছিত কার্যকলাপে নিজেরাও অনুতপ্ত হোন। আপনার সনত্মান, জানুন, শুনুক।
ধরম্নন আপনার সনত্মান সাংঘাতিক একটি আপরাধ করে ফেলল। তার শাসত্মি অনিবার্য। আইন তাকে প্রশ্রয় দেবে না। এ সময়ও আপনার উচিত পাশে থাকা, সঙ্গ দেয়া। আপনি তার সঙ্গে অপরাধটাকে ঘৃণা করম্নন। কিন্তু আপনার পাপী সনত্মানকে নয়। বলুন, আলস্নাহ তোমার সহায় হোন, তোমার মঙ্গল করম্নন। তাহলে দেখবেন, আপনার ভালবাসার নাগপাশ ছিন্ন করে সে আর কখনও নিবর্ুদ্ধিতার ঘোরে পঙ্কিল পথে পা বাড়াবে না।
এদ্দিনে, ্তুঢ়ধৎবহঃ পড়ধপয্থ হিসেবে অনেক চড়াই-উৎরাই, ঘাত-প্রতিঘাত, দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ভেতর দিয়ে আপনি আপনার সনত্মানকে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। অভিভাবক হিসেবে আপনিও জেনে গেছেন অভিশাপের কালোছায়া ডিঙ্গিয়ে আসার গূঢ়-তত্ত্ব। এখন তারা ্তুমড় ভড়ৎ ঃযব মড়ধষ্থ-এ ধাবমান। তাদের পাশে থাকুন। সারাটি জীবন আপনার নিটল, নিরবচ্ছিন্ন ভালবাসা, শুভকামনায় তারা রৌদ্রোজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে ধেয়ে চলুক।
No comments