সীমাহীন চুরি!-ডিসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসন by অমিতোষ পাল
প্রায় সোয়া ১২ কোটি টাকা ব্যয় করার পর ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) একটি প্রকল্পের আওতায় নির্মীয়মাণ ৯টি ভবনই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ডিসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসনের জন্য ৯টি বহুতল ভবন নির্মাণের এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
কিন্তু ভবন নির্মাণে এত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়, নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই একটি ভবন পুরোপুরি ধসে পড়ে। বাকি ভবনগুলোও একই রকম ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সরকারিভাবে গত ২৬ জুলাই সব কয়টি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুনভাবে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যাদের কারণে এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হলো, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কোনো শাস্তির ব্যবস্থা এখনো নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে কয়েকজনকে বিভাগীয় শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। পরে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে আরো শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শিগগিরই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানা গেছে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের ফলে পাঁচতলা ওঠার পর মাঝপথে একটি ভবন ধসে পড়ে।
পরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখতে পান মানসম্মতভাবে ভবনগুলো নির্মিত হচ্ছিল না। বুয়েটের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ প্রকল্পটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত দেয় এবং ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাজের মান এতই নিম্ন ছিল, ভবনগুলো কোনোভাবেই ব্যবহারযোগ্য হতো না। সেখানে বসবাস করলে যেকোনো মুহূর্তে ধসে গিয়ে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে ডিসিসি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য ছয় তলাবিশিষ্ট ধলপুরে চারটি, দয়াগঞ্জে তিনটি ও সূত্রাপুরে দুটি আবাসিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এ জন্য ব্যয় ধরা হয় ২০ কোটি ৯৩ লাখ। কিন্তু ২০০৭ সালের ২৫ মে দয়াগঞ্জে পাঁচ তলা পর্যন্ত উঠে যাওয়া একটি ভবন ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়ে। পরে বুয়েটকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হলে তারা দেখতে পায়, যে মাত্রায় রড-সিমেন্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন ছিল, সেটা করা হয়নি। পাইলিংও প্রয়োজন অনুযায়ী করা হয়নি। এমনকি ইটের মানও খুবই নিম্ন। প্রতিটি ভবনেরই একই অবস্থা। অথচ ভবনগুলো মানসম্মতভাবে তৈরি করতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, এ ক্ষেত্রে তার চেয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ অর্থ বেশি বরাদ্দ করেছিল ডিসিসি। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রকল্প পরিচালক মেসবাহুল করিমের পদোন্নতি দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। সহকারী প্রকৌশলী মজিবুর রহমান ও উপসহকারী প্রকৌশলী নির্মল চন্দ্র দের বেতনক্রম নিম্নস্তরে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে নির্মল চন্দ্র দে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চেয়ারম্যান হয়েছেন।
অন্যদিকে দুর্ঘটনার পর পরই সব কয়টি ভবনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রকল্পটি ওই অবস্থায়ই রয়েছে। সম্প্রতি ডিএসসিসি বুয়েটের পর্যালোচনা রিপোর্ট পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। মন্ত্রণালয় দেখতে পায়, দুর্ঘটনার পর মেসবাহুল করিমের পদোন্নতি দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হলেও কিছু দিন পরই তাঁকে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। জানা গেছে, গত তিন মাস আগে তিনি পদোন্নতি পেয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীও হয়েছেন। বর্তমানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক তিনি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মতামতে দেখা গেছে, 'শাস্তিপ্রাপ্ত একজন অদক্ষ প্রকল্প পরিচালককে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা কোনোভাবেই সমীচীন হয়নি। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় কর্তৃক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। কারণ প্রকল্প পরিচালক অযোগ্য ঠিকাদার নিয়োগ করায় নির্মাণব্যয় বাবদ সরকারের ১২ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।'
অন্যদিকে পরিত্যক্ত আবাসন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিউ শহীদুল্লাহ অ্যাসোসিয়েটসের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. শহীদুল্লাহও দীর্ঘদিন নগরভবনে ঠিকাদারি করেন না। জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর তাঁর হয়ে আবদুস সোবহান নামের এক ব্যক্তি কিছু দিন ডিসিসিতে হাজিরা দিলেও পরে তিনিও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তাঁদের কারো সঙ্গে যোগাযোগের কোনো মাধ্যম দিতে পারেনি ডিসিসি কর্তৃপক্ষ।
ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ভবনগুলোর কোনোটিরই কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। কিন্তু বুয়েট যখন পরীক্ষা করে দেখল, সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ এবং সেখানে বসবাস করলে ভবিষ্যতে প্রাণহানি ঘটতে পারে- তখন সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়েছে। এ অবস্থায় গত ২৬ জুলাই একনেকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এলজিইডিকে দিয়ে কাজটি করাতে বলেছেন। পরে এলজিইডির লোকজনকে জায়গাটি দেখানো হয়। তাঁরা সয়েল টেস্ট করছেন। তাঁরাই পরবর্তী কাজগুলো করবেন। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি দয়াগঞ্জ প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ধসে পড়া ভবনের ইট-সুরকির স্তূপ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এর পাশে অসমাপ্ত আরেকটি পাঁচ তলা ভবন এখনো দাঁড়িয়ে আছে। এই ভবনের দো-তলা ও তিন তলায় কয়েকটি পরিবার ঝুঁকির মধ্যেই বসবাস করছে। এটিও যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বলে সবাই আশঙ্কা করছে।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত প্রকল্প পরিচালক মেসবাহুল করিম বলেন, 'যাঁরা প্রকৃত দোষী, যেমন তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী বা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাদের মতো নিরীহ কিছু লোকের শাস্তি হয়েছে। আবার যদি নতুন করে শাস্তি দেয়, জানি না কী হবে। তবে একই কারণে তো কারো দুইবার শাস্তি হতে পারে না।'
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে কয়েকজনকে বিভাগীয় শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। পরে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে আরো শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শিগগিরই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানা গেছে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের ফলে পাঁচতলা ওঠার পর মাঝপথে একটি ভবন ধসে পড়ে।
পরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখতে পান মানসম্মতভাবে ভবনগুলো নির্মিত হচ্ছিল না। বুয়েটের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ প্রকল্পটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত দেয় এবং ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাজের মান এতই নিম্ন ছিল, ভবনগুলো কোনোভাবেই ব্যবহারযোগ্য হতো না। সেখানে বসবাস করলে যেকোনো মুহূর্তে ধসে গিয়ে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে ডিসিসি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য ছয় তলাবিশিষ্ট ধলপুরে চারটি, দয়াগঞ্জে তিনটি ও সূত্রাপুরে দুটি আবাসিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এ জন্য ব্যয় ধরা হয় ২০ কোটি ৯৩ লাখ। কিন্তু ২০০৭ সালের ২৫ মে দয়াগঞ্জে পাঁচ তলা পর্যন্ত উঠে যাওয়া একটি ভবন ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়ে। পরে বুয়েটকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হলে তারা দেখতে পায়, যে মাত্রায় রড-সিমেন্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন ছিল, সেটা করা হয়নি। পাইলিংও প্রয়োজন অনুযায়ী করা হয়নি। এমনকি ইটের মানও খুবই নিম্ন। প্রতিটি ভবনেরই একই অবস্থা। অথচ ভবনগুলো মানসম্মতভাবে তৈরি করতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, এ ক্ষেত্রে তার চেয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ অর্থ বেশি বরাদ্দ করেছিল ডিসিসি। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রকল্প পরিচালক মেসবাহুল করিমের পদোন্নতি দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। সহকারী প্রকৌশলী মজিবুর রহমান ও উপসহকারী প্রকৌশলী নির্মল চন্দ্র দের বেতনক্রম নিম্নস্তরে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে নির্মল চন্দ্র দে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চেয়ারম্যান হয়েছেন।
অন্যদিকে দুর্ঘটনার পর পরই সব কয়টি ভবনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রকল্পটি ওই অবস্থায়ই রয়েছে। সম্প্রতি ডিএসসিসি বুয়েটের পর্যালোচনা রিপোর্ট পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। মন্ত্রণালয় দেখতে পায়, দুর্ঘটনার পর মেসবাহুল করিমের পদোন্নতি দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হলেও কিছু দিন পরই তাঁকে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। জানা গেছে, গত তিন মাস আগে তিনি পদোন্নতি পেয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীও হয়েছেন। বর্তমানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক তিনি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মতামতে দেখা গেছে, 'শাস্তিপ্রাপ্ত একজন অদক্ষ প্রকল্প পরিচালককে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা কোনোভাবেই সমীচীন হয়নি। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় কর্তৃক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। কারণ প্রকল্প পরিচালক অযোগ্য ঠিকাদার নিয়োগ করায় নির্মাণব্যয় বাবদ সরকারের ১২ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।'
অন্যদিকে পরিত্যক্ত আবাসন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিউ শহীদুল্লাহ অ্যাসোসিয়েটসের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. শহীদুল্লাহও দীর্ঘদিন নগরভবনে ঠিকাদারি করেন না। জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর তাঁর হয়ে আবদুস সোবহান নামের এক ব্যক্তি কিছু দিন ডিসিসিতে হাজিরা দিলেও পরে তিনিও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তাঁদের কারো সঙ্গে যোগাযোগের কোনো মাধ্যম দিতে পারেনি ডিসিসি কর্তৃপক্ষ।
ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ভবনগুলোর কোনোটিরই কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। কিন্তু বুয়েট যখন পরীক্ষা করে দেখল, সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ এবং সেখানে বসবাস করলে ভবিষ্যতে প্রাণহানি ঘটতে পারে- তখন সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়েছে। এ অবস্থায় গত ২৬ জুলাই একনেকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এলজিইডিকে দিয়ে কাজটি করাতে বলেছেন। পরে এলজিইডির লোকজনকে জায়গাটি দেখানো হয়। তাঁরা সয়েল টেস্ট করছেন। তাঁরাই পরবর্তী কাজগুলো করবেন। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি দয়াগঞ্জ প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ধসে পড়া ভবনের ইট-সুরকির স্তূপ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এর পাশে অসমাপ্ত আরেকটি পাঁচ তলা ভবন এখনো দাঁড়িয়ে আছে। এই ভবনের দো-তলা ও তিন তলায় কয়েকটি পরিবার ঝুঁকির মধ্যেই বসবাস করছে। এটিও যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বলে সবাই আশঙ্কা করছে।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত প্রকল্প পরিচালক মেসবাহুল করিম বলেন, 'যাঁরা প্রকৃত দোষী, যেমন তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী বা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাদের মতো নিরীহ কিছু লোকের শাস্তি হয়েছে। আবার যদি নতুন করে শাস্তি দেয়, জানি না কী হবে। তবে একই কারণে তো কারো দুইবার শাস্তি হতে পারে না।'
No comments