উন্নয়নের পথে আট বাধা
অপসারণে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা বাংলাদেশের সামনে অনেক সম্ভাবনা থাকলেও সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগের অভাবে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সেই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছি না। সেই বাস্তবতাকেই নতুন করে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাবি্লউ মজিনা।
তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের সামনে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান আটটি বাধা বা সমস্যার কথা উল্লেখ করে যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো দূর করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এই বাধাগুলো হলো- রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে বিদ্যমান উদ্বেগ, আইনের শাসনের অপ্রতুলতা, দুর্নীতি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের ঘাটতি, রেল, সড়ক ও বন্দর ব্যবহারের অপর্যাপ্ত সুযোগ। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবেই তিনি এই পরামর্শ দিয়েছেন এবং এ জন্য আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। এর আগেও তিনি একাধিকবার পোশাক শিল্পসহ আরো কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানিকে এগিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছেন। এখন বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই নির্ভর করছে আমাদের দক্ষতা, পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রচেষ্টা এবং সৎ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর।
ড্যান মজিনা যে সমস্যাগুলোর কথা বলেছেন, সেগুলো নতুন কোনো কথা নয়। সুশাসনের অভাব, সরকারি কাজকর্মের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতির বিস্তার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি, অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাব- বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় এসব নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি হচ্ছে। নানা ফোরামে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি নেই বা থাকলেও তা অতি সামান্য। বরং অনেক ক্ষেত্রে অবনতিই খুব বেশি চোখে পড়ে। এই অবস্থায় কোনো দেশই তার কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করতে পারে না। বাংলাদেশও পারছে না। এই সমস্যাগুলো শুধু দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকেই ব্যাহত করছে না, বিদেশি বিনিয়োগকেও নানাভাবে নিরুৎসাহিত করছে। উন্নত দেশ ও বিশ্ব সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এগুলো প্রভাব ফেলছে। দুর্নীতির অভিযোগেই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি বাতিল করেছে। আর তাতে বাংলাদেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজেই দেশের স্বার্থেই আমাদের সমস্যাগুলো সমাধানে আরো আন্তরিক হতে হবে। সামনে যে সম্ভাবনাগুলো রয়েছে, প্রতিটি সম্ভাবনাকেই আমাদের অর্জনের চেষ্টা করতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারি কাজকর্মে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। প্রশাসনের দলীয়করণ ও টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ বিদ্যমান দুষ্টক্ষতগুলো নির্মূল করতে আমাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে হবে। দুর্নীতির ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেও আমাদের কাজ করতে হবে এবং সচেতন নাগরিকদের এ ব্যাপারে আরো এগিয়ে আসতে হবে।
অন্যদিকে অনেক হতাশার মধ্যেও গত মঙ্গলবার একটি আশার বারতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। এই দিন বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনকে যথেষ্ট ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। গত এক বছরে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানসহ এশিয়ার অধিকাংশ দেশে যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবনতি হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের এ অর্জন অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এটি অনেকাংশেই সম্ভব হয়েছে সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিগুলো বাস্তবায়নে সঠিক উদ্যোগের কারণে। তার অর্থ, আমাদের সদিচ্ছা থাকলে কিংবা ভালো কিছু করতে চাইলে, আমরা তা করতে পারি। সুশাসনের অভাবসহ আমাদের উন্নয়নের পথে যে বাধাগুলো রয়েছে, সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে সেই বাধাগুলো আমরা অবশ্যই অপসারণ করতে পারব। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার যেমন সেই সদিচ্ছার পরিচয় দেবে, তেমনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও দেশের উন্নয়নে একই রকম সদিচ্ছার পরিচয় দেবে।
ড্যান মজিনা যে সমস্যাগুলোর কথা বলেছেন, সেগুলো নতুন কোনো কথা নয়। সুশাসনের অভাব, সরকারি কাজকর্মের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতির বিস্তার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি, অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাব- বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় এসব নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি হচ্ছে। নানা ফোরামে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি নেই বা থাকলেও তা অতি সামান্য। বরং অনেক ক্ষেত্রে অবনতিই খুব বেশি চোখে পড়ে। এই অবস্থায় কোনো দেশই তার কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করতে পারে না। বাংলাদেশও পারছে না। এই সমস্যাগুলো শুধু দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকেই ব্যাহত করছে না, বিদেশি বিনিয়োগকেও নানাভাবে নিরুৎসাহিত করছে। উন্নত দেশ ও বিশ্ব সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এগুলো প্রভাব ফেলছে। দুর্নীতির অভিযোগেই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি বাতিল করেছে। আর তাতে বাংলাদেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজেই দেশের স্বার্থেই আমাদের সমস্যাগুলো সমাধানে আরো আন্তরিক হতে হবে। সামনে যে সম্ভাবনাগুলো রয়েছে, প্রতিটি সম্ভাবনাকেই আমাদের অর্জনের চেষ্টা করতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারি কাজকর্মে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। প্রশাসনের দলীয়করণ ও টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ বিদ্যমান দুষ্টক্ষতগুলো নির্মূল করতে আমাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে হবে। দুর্নীতির ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেও আমাদের কাজ করতে হবে এবং সচেতন নাগরিকদের এ ব্যাপারে আরো এগিয়ে আসতে হবে।
অন্যদিকে অনেক হতাশার মধ্যেও গত মঙ্গলবার একটি আশার বারতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। এই দিন বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনকে যথেষ্ট ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। গত এক বছরে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানসহ এশিয়ার অধিকাংশ দেশে যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবনতি হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের এ অর্জন অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এটি অনেকাংশেই সম্ভব হয়েছে সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিগুলো বাস্তবায়নে সঠিক উদ্যোগের কারণে। তার অর্থ, আমাদের সদিচ্ছা থাকলে কিংবা ভালো কিছু করতে চাইলে, আমরা তা করতে পারি। সুশাসনের অভাবসহ আমাদের উন্নয়নের পথে যে বাধাগুলো রয়েছে, সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে সেই বাধাগুলো আমরা অবশ্যই অপসারণ করতে পারব। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার যেমন সেই সদিচ্ছার পরিচয় দেবে, তেমনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও দেশের উন্নয়নে একই রকম সদিচ্ছার পরিচয় দেবে।
No comments