আরও ১২ হজ এজেন্সি নিষিদ্ধ করেছে সৌদি সরকার- অনিয়ম ব্যর্থতার অভিযোগ ॥ দুর্ভোগে পড়তে পারেন ৩৪৫৫ হজযাত্রী by আজাদ সুলায়মান
যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও অনিয়মের অভিযোগে সৌদি সরকার আরও ১২টি হজ এজেন্সির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। এ বছর মোয়াল্লেম ফি জমা দেয়ার পরও এসব এজেন্সির মাধ্যমে কেউ হজ পালন করতে পারবে না। এতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হজযাত্রীর হজ পালন।
বুধবার হজ পরিদফতরের পরিচালক বজলুল হক বিশ্বাস জনকণ্ঠকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত পরশু মক্কাস্থ বাংলাদেশ হজ মিশন থেকে ঢাকায় পাঠানো এক জরুরী চিঠিতে বলা হয়, নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ এনে এসব হজ এজেন্সির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে এসব এজেন্সির মাধ্যমে টাকা জমা দেয়া যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থায় হজে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগেও গত জুনে হজের নামে আদম পাঠানোর অভিযোগে ১৪টি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করে সৌদি সরকার।
আশকোনা হজ অফিস সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় দফা গত পরশু যেসব বাংলাদেশী হজ এজেন্সির ওপর সৌদি সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেগুলো হচ্ছেÑ কলম্বিয়া, ফাস্ট বাংলাদেশ, ইসলামিয়া, এয়ার মেটকো, হলিউড, এয়ারপিস, শাহ দাউদ, নিউ ইমাম, সায়েম, বাবে মদিনা, ওয়ার্ল্ড লিংক ও মোস্তফা এয়ার। এসব এজেন্সি গত বছর মক্কা মদীনায় তাদের হাজীদের ঠিক মতো সেবা প্রদান করতে পারেনি। উপরšুÍ তাদের সীমাহীন ব্যর্থতা, অদক্ষতা ও জালিয়াতির দরুন সৌদি হজ মন্ত্রণালয়কে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। হজের পর সে দেশের তদন্তে এসব অভিযোগ নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের হজ কার্যক্রম এ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে এসব এজেন্সি এবার আর কোন হজযাত্রী পাঠাতে পারবে না। এসব এজেন্সির মাধ্যমে যাঁরা এ বছর মোয়াল্লেম ফি জমা দিয়েছেন তাঁদের সংখ্যাও কম নয়। এ ১২টি এজেন্সি ইতোমধ্যেই সর্বমোট ৩৪৫৫ হজযাত্রীর কাছ থেকে আসন্ন হজ মৌসুমের জন্য মোয়াল্লেম ফিসহ সব টাকা জমা নিয়েছে।
কী ধরনের অভিযোগে শেষ মুহূর্তে এসব এজেন্সির ওপর হজ কাযক্রম সৌদি সরকার নিষিদ্ধ করেছে জানতে চাইলে বজলুল হক বিশ্বাস বলেন, একেকটি এজেন্সির বিরুদ্ধে একেক ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বছর এসব এজেন্সি যাত্রীদের সঠিক সময়ে সঠিক সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে অভিযোগ হচ্ছে, অধিকাংশ এজেন্সি মক্কা থেকে নির্ধারিত সময়ে হাজীদের মদীনায় পাঠাতে পারেনি। এতে সেখানকার মোয়াল্লেমদের কঠিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আবার দেখা গেছে কয়েকটি এজেন্সি ফ্লাইট সিডিউল রক্ষা করতে পারেনি। এতেও দেখা দেয় বড় ধরনের জটিলতা। দুটো এজেন্সিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে মক্কা-মদীনায় নির্ধারিত বাড়ি পরিবর্তন করে অননুমোদিত বাড়িতে হাজীদের রাখার। এতে সৌদি সরকারের হজ ব্যবস্থাপনা কর্র্তৃপক্ষকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এমনিতেই হজের সময় লাখ লাখ হাজীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়ে সৌদি সরকারকে হিমশিম খেতে হয়। এ অবস্থায় এজেন্সির অনিয়ম, প্রতারণা ও অদক্ষতার জন্য বাড়তি ঝামেলা সৌদি সরকার কিছুতেই বরদাশত করতে পারেনি। তার পরও তাদের সুযোগ দেয়া হয়েছিল এসব নিষ্পত্তির। দুটো এজেন্সি মক্কা শরীফ গিয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করে ক্ষমা চেয়ে রেহাইও পেয়েছে। এ ১২টিকেও হজ অফিস থেকে চিঠি দিয়ে এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
আশকোনা হজ অফিস সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় দফা গত পরশু যেসব বাংলাদেশী হজ এজেন্সির ওপর সৌদি সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেগুলো হচ্ছেÑ কলম্বিয়া, ফাস্ট বাংলাদেশ, ইসলামিয়া, এয়ার মেটকো, হলিউড, এয়ারপিস, শাহ দাউদ, নিউ ইমাম, সায়েম, বাবে মদিনা, ওয়ার্ল্ড লিংক ও মোস্তফা এয়ার। এসব এজেন্সি গত বছর মক্কা মদীনায় তাদের হাজীদের ঠিক মতো সেবা প্রদান করতে পারেনি। উপরšুÍ তাদের সীমাহীন ব্যর্থতা, অদক্ষতা ও জালিয়াতির দরুন সৌদি হজ মন্ত্রণালয়কে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। হজের পর সে দেশের তদন্তে এসব অভিযোগ নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের হজ কার্যক্রম এ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে এসব এজেন্সি এবার আর কোন হজযাত্রী পাঠাতে পারবে না। এসব এজেন্সির মাধ্যমে যাঁরা এ বছর মোয়াল্লেম ফি জমা দিয়েছেন তাঁদের সংখ্যাও কম নয়। এ ১২টি এজেন্সি ইতোমধ্যেই সর্বমোট ৩৪৫৫ হজযাত্রীর কাছ থেকে আসন্ন হজ মৌসুমের জন্য মোয়াল্লেম ফিসহ সব টাকা জমা নিয়েছে।
কী ধরনের অভিযোগে শেষ মুহূর্তে এসব এজেন্সির ওপর হজ কাযক্রম সৌদি সরকার নিষিদ্ধ করেছে জানতে চাইলে বজলুল হক বিশ্বাস বলেন, একেকটি এজেন্সির বিরুদ্ধে একেক ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বছর এসব এজেন্সি যাত্রীদের সঠিক সময়ে সঠিক সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে অভিযোগ হচ্ছে, অধিকাংশ এজেন্সি মক্কা থেকে নির্ধারিত সময়ে হাজীদের মদীনায় পাঠাতে পারেনি। এতে সেখানকার মোয়াল্লেমদের কঠিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আবার দেখা গেছে কয়েকটি এজেন্সি ফ্লাইট সিডিউল রক্ষা করতে পারেনি। এতেও দেখা দেয় বড় ধরনের জটিলতা। দুটো এজেন্সিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে মক্কা-মদীনায় নির্ধারিত বাড়ি পরিবর্তন করে অননুমোদিত বাড়িতে হাজীদের রাখার। এতে সৌদি সরকারের হজ ব্যবস্থাপনা কর্র্তৃপক্ষকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এমনিতেই হজের সময় লাখ লাখ হাজীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়ে সৌদি সরকারকে হিমশিম খেতে হয়। এ অবস্থায় এজেন্সির অনিয়ম, প্রতারণা ও অদক্ষতার জন্য বাড়তি ঝামেলা সৌদি সরকার কিছুতেই বরদাশত করতে পারেনি। তার পরও তাদের সুযোগ দেয়া হয়েছিল এসব নিষ্পত্তির। দুটো এজেন্সি মক্কা শরীফ গিয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করে ক্ষমা চেয়ে রেহাইও পেয়েছে। এ ১২টিকেও হজ অফিস থেকে চিঠি দিয়ে এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
No comments