এইচআরডাব্লিউর প্রতিবেদন-মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত-দাঙ্গা মোকাবিলায় ব্যর্থ সরকার
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে। সংখ্যালঘু এ জনগোষ্ঠীর মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। নারীদের ধর্ষণ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এক কাতারে দাঁড়িয়েও তারা রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এ অভিযোগ করেছে।
নিউ ইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক এ মানবাধিকার সংস্থার দাবি, রাজ্যটিতে সম্প্রতি সংঘটিত রক্তক্ষয়ী জাতিগত দাঙ্গা মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে সরকার। দাঙ্গা-পরবর্তী সময়েও রোহিঙ্গাদের ওপর সরকারি বাহিনীর নির্যাতনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। গণহারের গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটছে। গত বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব অভিযোগ ও দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডাব্লিউ। দাঙ্গাকবলিত এলাকায় মানবিক সহযোগিতা প্রবেশের পূর্ণ সুযোগসহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাতেও মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
গত দুই সপ্তাহের মধ্যে রাখাইন রাজ্যের দাঙ্গা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার পক্ষে এ নিয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো। আগেরটি প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাদের প্রতিবেদনেও প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছিল। যদিও মিয়ানমার সরকার তা 'ভিত্তিহীন ও পক্ষপাতমূলক' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
৫৬ পাতার প্রতিবেদনে এইচআরডাব্লিউ বলেছে, 'রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা উদ্ঘাটনে আন্তরিকতা প্রমাণে সরকারের উচিত হবে মিয়ানমারের মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত থমাস কুইনতানাকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুমোদন দেওয়া। একই সঙ্গে তাদের দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।' ৫৭ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এদের মধ্য দাঙ্গার সময় পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানও রয়েছে।
গত জুনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত হয়। সরকারি হিসাবে, এতে কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত হয়। ঘরহারা হয় হাজারো মানুষ। সংঘাতের কারণ খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘ তাদের একজন প্রতিনিধিকে মিয়ানমারে পাঠিয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।
নিউ ইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক এ মানবাধিকার সংস্থার দাবি, রাজ্যটিতে সম্প্রতি সংঘটিত রক্তক্ষয়ী জাতিগত দাঙ্গা মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে সরকার। দাঙ্গা-পরবর্তী সময়েও রোহিঙ্গাদের ওপর সরকারি বাহিনীর নির্যাতনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। গণহারের গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটছে। গত বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব অভিযোগ ও দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডাব্লিউ। দাঙ্গাকবলিত এলাকায় মানবিক সহযোগিতা প্রবেশের পূর্ণ সুযোগসহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাতেও মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
গত দুই সপ্তাহের মধ্যে রাখাইন রাজ্যের দাঙ্গা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার পক্ষে এ নিয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো। আগেরটি প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাদের প্রতিবেদনেও প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছিল। যদিও মিয়ানমার সরকার তা 'ভিত্তিহীন ও পক্ষপাতমূলক' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
৫৬ পাতার প্রতিবেদনে এইচআরডাব্লিউ বলেছে, 'রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা উদ্ঘাটনে আন্তরিকতা প্রমাণে সরকারের উচিত হবে মিয়ানমারের মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত থমাস কুইনতানাকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুমোদন দেওয়া। একই সঙ্গে তাদের দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।' ৫৭ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এদের মধ্য দাঙ্গার সময় পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানও রয়েছে।
গত জুনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত হয়। সরকারি হিসাবে, এতে কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত হয়। ঘরহারা হয় হাজারো মানুষ। সংঘাতের কারণ খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘ তাদের একজন প্রতিনিধিকে মিয়ানমারে পাঠিয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।
No comments