বিশ্বে মুসলিম পর্যটক বাড়ছে, বরণে প্রস্তুত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
বিশ্বে মুসলিম পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দশক নাগাদ এই সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়বে। বিষয়টিকে সামনে রেখে দেশে দেশে ব্যবসায়িক সুফল লাভেরও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। বিমানবন্দরগুলোতে নামাজের বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
হালাল খাবারকে সহজলভ্য করার বিষয়টি আগে থেকেই ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রূপচর্চার আধুনিক অনুষঙ্গ হালাল স্পা।
মূলত তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর লোকের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা বাড়ছে। ২০১১ সালে বিদেশ ভ্রমণে তাদের খরচ হয়েছে ১২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। বাজার যাচাই করে দেখা গেছে, ২০২০ সাল নাগাদ এ ব্যয় বেড়ে ১৯ হাজার ২০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক হালাল ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান ক্রিসেনট্রেটিং এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কম্পানি ডিনারস্ট্যান্ডার্ড ৪৭টি দেশের ওপর বিষয়টি নিয়ে একটি জরিপ চালায়।
ক্রিসেনট্রেটিংয়ের প্রধান নির্বাহী ফজল বাহারদিন জানান, মুসলমানদের বেড়ানোর স্থানের তালিকায় মিসর, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ইতিমধ্যেই শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে। এর মধ্যে এক নম্বর স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া। এমনকি রমজান মাসেও দেশটিতে মুসলিম পর্যটকের কমতি নেই।
২৩ বছরের মোহাম্মদ আলী আলালি সৌদি আরবের দাম্মামে পেট্রল প্রকৌশলে পড়ছেন। সম্প্রতি ২০ বছর বয়সী এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেন তিনি। রমজান শুরু হয়ে গেলেও এই নবদম্পতি তাদের মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপনে মালয়েশিয়ায় গেছেন। ইফতার করার সময় কথা প্রসঙ্গে আলালি বলেন, মালয়েশিয়া 'সৌদি আরব থেকে খুব একটা দূরে নয়। ইউরোপের তুলনায় এখানে খরচ কম। এটা মুসলিম দেশ হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে সুবিধাও পাওয়া যায়। যেমন এখানে মসজিদ ও আরব দেশের খাবার খুঁজে পাওয়া খুব সহজ।' জরিপে দেখা যায়, মুসলমানরা ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রথমত লক্ষ্য করেন হালাল খাবার পাওয়া যায় কি না সে বিষয়টি। ছুটি কাটাতে দেশের বাইরে যাওয়া মুসলমানদের ওপর এবার দৃষ্টি পড়েছে অমুসলিম দেশগুলোর। ফজল জানান, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো ইতিমধ্যেই এই দিকটিতে ব্যবসায়িক নজর দিতে শুরু করেছে। তাদের হোটেল ও বিমানবন্দরগুলোতে নামাজের স্থান তৈরির চেষ্টা শুরু হয়েছে। হালাল রেস্তোরাঁ বানানো হচ্ছে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে স্পার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ড এরই মধ্যে তাদের পর্যটন সম্প্রসারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে দপ্তর খুলেছে। ক্রিসেনট্রেটিং পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর অমুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ইসলামবান্ধব। এতে আরো দেখা যায়, পর্যটন খাতে সবচেয়ে বেশি খরচ করে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো উপসাগরীয় দেশগুলো। ২০১১ সালে মুসলিম পর্যটকদের মোট ব্যয়ের ৩৭ শতাংশই করেছে এই দেশগুলোর জনগণ। যদিও বিশ্বের মোট মুসলিম জনগোষ্ঠীর মাত্র তিন শতাংশ এরা। সূত্র : এএফপি।
মূলত তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর লোকের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা বাড়ছে। ২০১১ সালে বিদেশ ভ্রমণে তাদের খরচ হয়েছে ১২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। বাজার যাচাই করে দেখা গেছে, ২০২০ সাল নাগাদ এ ব্যয় বেড়ে ১৯ হাজার ২০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক হালাল ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান ক্রিসেনট্রেটিং এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কম্পানি ডিনারস্ট্যান্ডার্ড ৪৭টি দেশের ওপর বিষয়টি নিয়ে একটি জরিপ চালায়।
ক্রিসেনট্রেটিংয়ের প্রধান নির্বাহী ফজল বাহারদিন জানান, মুসলমানদের বেড়ানোর স্থানের তালিকায় মিসর, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ইতিমধ্যেই শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে। এর মধ্যে এক নম্বর স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া। এমনকি রমজান মাসেও দেশটিতে মুসলিম পর্যটকের কমতি নেই।
২৩ বছরের মোহাম্মদ আলী আলালি সৌদি আরবের দাম্মামে পেট্রল প্রকৌশলে পড়ছেন। সম্প্রতি ২০ বছর বয়সী এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেন তিনি। রমজান শুরু হয়ে গেলেও এই নবদম্পতি তাদের মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপনে মালয়েশিয়ায় গেছেন। ইফতার করার সময় কথা প্রসঙ্গে আলালি বলেন, মালয়েশিয়া 'সৌদি আরব থেকে খুব একটা দূরে নয়। ইউরোপের তুলনায় এখানে খরচ কম। এটা মুসলিম দেশ হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে সুবিধাও পাওয়া যায়। যেমন এখানে মসজিদ ও আরব দেশের খাবার খুঁজে পাওয়া খুব সহজ।' জরিপে দেখা যায়, মুসলমানরা ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রথমত লক্ষ্য করেন হালাল খাবার পাওয়া যায় কি না সে বিষয়টি। ছুটি কাটাতে দেশের বাইরে যাওয়া মুসলমানদের ওপর এবার দৃষ্টি পড়েছে অমুসলিম দেশগুলোর। ফজল জানান, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো ইতিমধ্যেই এই দিকটিতে ব্যবসায়িক নজর দিতে শুরু করেছে। তাদের হোটেল ও বিমানবন্দরগুলোতে নামাজের স্থান তৈরির চেষ্টা শুরু হয়েছে। হালাল রেস্তোরাঁ বানানো হচ্ছে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে স্পার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ড এরই মধ্যে তাদের পর্যটন সম্প্রসারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে দপ্তর খুলেছে। ক্রিসেনট্রেটিং পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর অমুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ইসলামবান্ধব। এতে আরো দেখা যায়, পর্যটন খাতে সবচেয়ে বেশি খরচ করে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো উপসাগরীয় দেশগুলো। ২০১১ সালে মুসলিম পর্যটকদের মোট ব্যয়ের ৩৭ শতাংশই করেছে এই দেশগুলোর জনগণ। যদিও বিশ্বের মোট মুসলিম জনগোষ্ঠীর মাত্র তিন শতাংশ এরা। সূত্র : এএফপি।
No comments