চার মোবাইল অপারেটরের লাইসেন্স-পাওনা পরিশোধের আগেই নবায়নের সিদ্ধান্তে বিরোধ
পাওনা পরিশোধের আগেই চার মোবাইল ফোন অপারেটরের টু-জি (দ্বিতীয় প্রজন্মের) লাইসেন্স নবায়ন বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং এ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সঙ্গে একমত হতে পারছে না বিটিআরসি।
বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পাওনা পরিশোধের আগেই লাইসেন্স নবায়ন করা হলে সরকারের বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হবে।
বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পাওনা পরিশোধের আগেই লাইসেন্স নবায়ন করা হলে সরকারের বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হবে।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো নির্দেশনা দিলে বিটিআরসি ওই ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ পাঠাবে। অন্যদিকে মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেনা-পাওনার বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর কারণে মোবাইল অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়ন আটকে রাখা যাবে না। বিটিআরসির আপত্তিতে কিছু যায়-আসে না।
গতকাল বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ মতবিরোধ আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বৈঠকে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে জটিলতা নিরসনের সুপারিশ করা হলেও বিটিআরসি তা মানতে রাজি হয়নি।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। বৈঠকে কমিটির সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, হুইপ আ স ম ফিরোজ, মো. আবদুল কুদ্দুস, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও গোলাম মোস্তফা এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব সুনীল কান্তি বোস, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে এ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী দ্রুত বিটিআরসি-অপারেটর-এনবিআরের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু কমিটির এ সুপারিশ মানতে রাজি হননি বৈঠকে উপস্থিত বিটিআরসির চেয়ারম্যান। তিনি সমঝোতা স্মারকে বিটিআরসিকে কোনো পক্ষ করতে রাজি হননি। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল-মন্ত্রণালয়-অপারেটরের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের বিকল্প প্রস্তাব করেন।
এ বিষয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, বিটিআরসির আপত্তিতে কিছু যায়-আসে না। কমিটি এ বিষয়ে কালক্ষেপণ না করে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে সমঝোতা স্মারকের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এ স্মারক স্বাক্ষর হলে দুই পক্ষই মামলা তুলে নেবে।
অন্যদিকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ বিষয়টি সম্পর্কে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মোবাইল অপারেটরদের দাবি, তারা লাইসেন্স নবায়নের পর ব্যাংক ঋণ নিয়ে সরকারের পাওনা পরিশোধ করবে। কিন্তু তারা তো জানতোই যে ১৫ বছর পর তাদের লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। তারা তাদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপনে প্রচুর টাকা ব্যয় করতে পারছে, বিশাল বেতনে বিদেশি কর্মকর্তা পুষছে; কিন্তু লাইসেন্স নবায়নে সরকারের পাওনা পরিশোধেই যত সমস্যা। আমরা স্পেকট্রামের মূল্য আরো বেশি ধরেছিলাম। অপারেটরদের দাবি অনুযায়ী তাও কমানো হয়েছে। এখন তাদের কাছে যে পাওনা রয়েছে, তা যথাসময়ে না পাওয়া গেলে সরকারকে বিপুল অঙ্কের টাকা ক্ষতি স্বীকার করে নিতে হবে। চার মোবাইল অপারেটরের কাছে লাইসেন্স নবায়নের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা বাকি রয়েছে এক হাজার কোটি টাকার ওপর। এ ছাড়া তাদের দ্বিতীয় কিস্তির টাকাও পরিশোধ করতে হবে।'
জিয়া আহমেদ আরো বলেন, 'আমরা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত বিষয়ে লিখিত নির্দেশনা এখনো পাইনি। পেলে এ সিদ্ধান্তে সরকারের কী ক্ষতি হবে সে বিষয়ে বিটিআরসির পর্যবেক্ষণ জানানো হবে। আর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে চুক্তি করতে হলে তা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কেই করতে হবে। অ্যাটর্নি জেনারেলকেও পক্ষ করা যেতে পারে; কিন্তু বিটিআরসি এতে পক্ষ হবে না।'
বিটিআরসির এ অবস্থানের বিপরীতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব সুনীল কান্তি বোস গতকাল এ প্রতিবেদককে বলেন, 'মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে সরকারের দেনা-পাওনার বিষয়টি চলতেই থাকবে। এর জন্য তাদের লাইসেন্স আটকে রাখা যাবে না। আমরা তাদের লাইসেন্স দিয়ে দেওয়ার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশনা দিয়েছি। আজই (বুধবার) এ নির্দেশনায় স্বাক্ষর হয়েছে।'
সচিব আরো বলেন, 'সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটররা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা সমস্যা নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে। সেগুলো এখনো আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। গ্রামীণফোনের বিষয়ে আদালতের একটি রায় হয়েছে। ওই রায়ের আলোকেই আমাদের ধারণা, মোবাইল অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়নে কোনো বাধা নেই। অন্যদিকে লাইসেন্স আটকে রাখলেই নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তারা (মোবাইল অপারেটররা) একটি খসড়া চুক্তিপত্র করেছে। সেটা দেখেছি। ওই চুক্তি কার্যকর করা যেতে পারে। মোবাইল অপারেটররা তো তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েই দিয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধের ব্যাপারে অপারেটরদের সময় বাড়ানোর আবেদনের বিষয়টিও যুক্তিসংগত।'
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে চার মোবাইল ফোন আপারেটর- গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেলের টু-জি লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়। এর আগে লাইসেন্স নবায়নের শর্ত অনুসারে ওই বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে অপারেটররা সব ধরনের ফির প্রথম কিস্তির ৪৯ শতাংশ পরিশোধ করলেও ভ্যাটের টাকা পরিশোধ এবং আরো কিছু বিষয় নিয়ে জটিলতা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ভ্যাটের ১৫ শতাংশ বাদ রেখেই বিটিআরসির কাছে লাইসেন্স নবায়নের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা জমা দেয় অপারেটররা। এরই মধ্যে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধের সময়ও পেরিয়ে গেছে। এসব পাওনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিটিআরসি ওই চার মোবাইল অপারেটরকে ২৩ হাজার ১৯২ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য চিঠি দেয়। গতকাল এ টাকা পরিশোধের শেষ সময় নির্ধারিত ছিল।
গতকাল বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ মতবিরোধ আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বৈঠকে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে জটিলতা নিরসনের সুপারিশ করা হলেও বিটিআরসি তা মানতে রাজি হয়নি।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। বৈঠকে কমিটির সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, হুইপ আ স ম ফিরোজ, মো. আবদুল কুদ্দুস, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও গোলাম মোস্তফা এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব সুনীল কান্তি বোস, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে এ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী দ্রুত বিটিআরসি-অপারেটর-এনবিআরের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু কমিটির এ সুপারিশ মানতে রাজি হননি বৈঠকে উপস্থিত বিটিআরসির চেয়ারম্যান। তিনি সমঝোতা স্মারকে বিটিআরসিকে কোনো পক্ষ করতে রাজি হননি। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল-মন্ত্রণালয়-অপারেটরের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের বিকল্প প্রস্তাব করেন।
এ বিষয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, বিটিআরসির আপত্তিতে কিছু যায়-আসে না। কমিটি এ বিষয়ে কালক্ষেপণ না করে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে সমঝোতা স্মারকের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এ স্মারক স্বাক্ষর হলে দুই পক্ষই মামলা তুলে নেবে।
অন্যদিকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ বিষয়টি সম্পর্কে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মোবাইল অপারেটরদের দাবি, তারা লাইসেন্স নবায়নের পর ব্যাংক ঋণ নিয়ে সরকারের পাওনা পরিশোধ করবে। কিন্তু তারা তো জানতোই যে ১৫ বছর পর তাদের লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। তারা তাদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপনে প্রচুর টাকা ব্যয় করতে পারছে, বিশাল বেতনে বিদেশি কর্মকর্তা পুষছে; কিন্তু লাইসেন্স নবায়নে সরকারের পাওনা পরিশোধেই যত সমস্যা। আমরা স্পেকট্রামের মূল্য আরো বেশি ধরেছিলাম। অপারেটরদের দাবি অনুযায়ী তাও কমানো হয়েছে। এখন তাদের কাছে যে পাওনা রয়েছে, তা যথাসময়ে না পাওয়া গেলে সরকারকে বিপুল অঙ্কের টাকা ক্ষতি স্বীকার করে নিতে হবে। চার মোবাইল অপারেটরের কাছে লাইসেন্স নবায়নের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা বাকি রয়েছে এক হাজার কোটি টাকার ওপর। এ ছাড়া তাদের দ্বিতীয় কিস্তির টাকাও পরিশোধ করতে হবে।'
জিয়া আহমেদ আরো বলেন, 'আমরা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত বিষয়ে লিখিত নির্দেশনা এখনো পাইনি। পেলে এ সিদ্ধান্তে সরকারের কী ক্ষতি হবে সে বিষয়ে বিটিআরসির পর্যবেক্ষণ জানানো হবে। আর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে চুক্তি করতে হলে তা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কেই করতে হবে। অ্যাটর্নি জেনারেলকেও পক্ষ করা যেতে পারে; কিন্তু বিটিআরসি এতে পক্ষ হবে না।'
বিটিআরসির এ অবস্থানের বিপরীতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব সুনীল কান্তি বোস গতকাল এ প্রতিবেদককে বলেন, 'মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে সরকারের দেনা-পাওনার বিষয়টি চলতেই থাকবে। এর জন্য তাদের লাইসেন্স আটকে রাখা যাবে না। আমরা তাদের লাইসেন্স দিয়ে দেওয়ার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশনা দিয়েছি। আজই (বুধবার) এ নির্দেশনায় স্বাক্ষর হয়েছে।'
সচিব আরো বলেন, 'সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটররা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা সমস্যা নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে। সেগুলো এখনো আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। গ্রামীণফোনের বিষয়ে আদালতের একটি রায় হয়েছে। ওই রায়ের আলোকেই আমাদের ধারণা, মোবাইল অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়নে কোনো বাধা নেই। অন্যদিকে লাইসেন্স আটকে রাখলেই নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তারা (মোবাইল অপারেটররা) একটি খসড়া চুক্তিপত্র করেছে। সেটা দেখেছি। ওই চুক্তি কার্যকর করা যেতে পারে। মোবাইল অপারেটররা তো তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েই দিয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধের ব্যাপারে অপারেটরদের সময় বাড়ানোর আবেদনের বিষয়টিও যুক্তিসংগত।'
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে চার মোবাইল ফোন আপারেটর- গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেলের টু-জি লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়। এর আগে লাইসেন্স নবায়নের শর্ত অনুসারে ওই বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে অপারেটররা সব ধরনের ফির প্রথম কিস্তির ৪৯ শতাংশ পরিশোধ করলেও ভ্যাটের টাকা পরিশোধ এবং আরো কিছু বিষয় নিয়ে জটিলতা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ভ্যাটের ১৫ শতাংশ বাদ রেখেই বিটিআরসির কাছে লাইসেন্স নবায়নের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা জমা দেয় অপারেটররা। এরই মধ্যে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধের সময়ও পেরিয়ে গেছে। এসব পাওনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিটিআরসি ওই চার মোবাইল অপারেটরকে ২৩ হাজার ১৯২ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য চিঠি দেয়। গতকাল এ টাকা পরিশোধের শেষ সময় নির্ধারিত ছিল।
No comments