২১ এনজিওর বিরুদ্ধে অভিযোগ আর্থিক অনিয়মের ॥ ক্ষুদ্র ঋণ লাইসেন্স বাতিল -০ অডিট রিপোর্টে অমিল-০ নামে-বেনামে খরচ by মিজান চৌধুরী
আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ২১ এনজিওর ক্ষুদ্র ঋণের কার্যক্রমের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) মনিটরিং টিম আর্থিক কার্যক্রমে অসঙ্গতির সন্ধান পেয়ে লাইসেন্স বাতিল করেছে। আগামীতে বাতিলকৃত লাইসেন্সধারী এনজিওগুলো ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোন ধরনের কাজ করতে পারবে না। এমআরএ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বর্তমান এমআরএ থেকে লাইসেন্স নিয়ে ৬শ’ ৪৭টি এনজিও সারাদেশে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের উপকারভোগীর সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের শর্ত ভেঙ্গে ক্ষুদ্র ঋণের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশেষ করে নামে-বেনামে খরচ দেখিয়ে অধিক ব্যয় ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করছে। ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানের তহবিল ক্ষুদ্র ঋণের বাইরে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের হিসাবে রয়েছে গরমিল ও অডিট রিপোর্টের সঙ্গে অমিল, যা ধরা পড়েছে এমআরএ মনিটরিং টিমের কাছে। ফলে বৃহৎ আকারের উপকারভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই ২১ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
লাইসেন্স বাতিলের ব্যাপারে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির পরিচালক আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাসির জনকণ্ঠকে বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে যারা কাজ করছে, ওইসব প্রতিষ্ঠানের হিসাবের লেনদেন ও ম্যানেজম্যান্ট পদ্ধতি দেখা হয়। এছাড়া এনজিওগুলোর কোন স্বত্বাধিকারী নেই। মালিকানা না থাকায় ডিভিডেন্ড পাচ্ছে। ফলে অনেকে নামে-বেনামে খরচ দেখিয়ে টাকার হিসাব দেখালে তাও সন্ধান করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর কোন ধরনের আর্থিক অনিয়ম, অসঙ্গতি এবং লাইসেন্স নেয়ার সময় শর্ত ভঙ্গ করেছে কিনা তা দেখার পরও তাদের সনদ বাতিল করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অবশ্য বাতিল করার আগে তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। অনিয়মের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া ও সতর্ক করা হয়। এরপরও সংশোধন না হলে তাদের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম বন্ধের পর উপকারভোগীরা কোন ধরনের ক্ষতির শিকার হয়নি। কারণ লাইসেন্স বাতিলকৃত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের আমানতের চেয়ে ঋণের পরিমাণ বেশি আছে।
জানা গেছে, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি কর্তৃক লাইসেন্স বাতিলের তালিকার মধ্যে আছে উত্তরণ পরিবার প্রতিষ্ঠান (সনদ নম্বর-০০৫৪৯-০০১১৩-০০০২২), প্রফুল্ল সামাজিক সংস্থা (পি.এস.এস সনদ নং-০০৬৯২-০০০৮৭-০০০২৯), এসো কাজ করি (একক সনদ নং-০১০২৪-০০১০৫-০০০৭১), স্বপ্ন ফাউন্ডেশন (সনদ নং-০১৩৭৫-০০৪৭১-০০০৭৮), সোসাইটি ফর আরবান এ্যান্ড রুরাল ইমানসিপেশন (সনদ নং-০০৫৪৮-০৩৫২১-০০০৮১), সোসিও ইকোনমিক এ্যান্ড রুরাল এ্যাডভান্সমেন্ট এসোসিয়েশন (সেরা, সনদ নং-০০৯১১-০২৬২৭-০০১১৯), উজ্জীবন কল্যাণ সংস্থা (সনদ নং-০০৪৭৫-০০১৯৩-০০১২৮), চেতনা সমাজ কল্যাণ কেন্দ্র (সনদ নং-০০৫৫২-০০৭৮৭-০০১১৩৩), গোল্ডেন ওয়ে (জনকল্যাণমূলক সংস্থা, সনদ নং-০১৩৪৮-০০৪১৮-০০১৫৩), ভিলেজ ইকোনমিক এ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপম্যান্ট কমিউনিটি (ভিইএসডিসি সনদ নং-০০৩৬৪-০০৫৫০-০০১৬৩), ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই, সনদ নং-০৭০৩২-০২২১৭-০০২০২), এপোচ ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (সনদ নং-০০০০৯-০০৩০০-০০২২৮), ফাউন্ডেশন ফর পুওরস প্রোগ্রেসিভ প্রোগ্রাম (সনদ নং-০০২৯২-০০৮২৪-০০২৫৬), প্রশিক্ষণ, কাজ, সমন্বয় সংস্থা (প্রকাস সনদ নং-০০৫১৩-০৫১২৫-০০২৯৩), নর্থ বেঙ্গল রুরাল ডেভেলপমেন্ট সংস্থা (এনবিআরডিএস, সনদ নং-০৩১৬১-০৪৩২৪-০০৩১৭), ভিলেজ ডিজএ্যাবিলিটি এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সনদ নং-০১৪৮৮-০৩৮৮৮-০০৩৫৬), সোস্যাল অর্গানাইজেশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (সোর্ড-সনদ নং-০০০৮০-০০১৬৩-০০৩৬০), দি গুড আর্থ (সনদ নং-০০৯৬৭-০০০৫০-০০৩৭২), উজ্জীবন সমাজসেবা সংস্থা (সনদ নং-০৪৮১০-০১৯২৯-০০৪৬৯) পল্লী নীড় সংস্থা (সনদ নং-০১১২৩-০১০৪৭-০০৪৭৫), জাগরণী কল্যাণ সংস্থা (সনদ নং-০১৪৯৪-০০৫৭৯-০০৪৯৭)।
জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠান ২০০৭ সাল থেকে শুরু করে ২০১০ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে এমআরএ ক্ষুদ্র ঋণ পরিচালনার জন্য লাইসেন্স গ্রহণ করে। কিন্তু চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই সময় তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। অবশ্য এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোন ধরনের ক্ষুদ্র ঋণ সংক্রান্ত লেনদেন না করার জন্য সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে এমআরএ’র এক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ওইসব প্রতিষ্ঠান বা এনজিও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, বর্তমান মাইক্রোক্রেডিট নামে এমএলএম কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের সঙ্গে একের পর এক প্রতারণা করে চলছে। তবে এমএলএম কোম্পানিগুলোকে মনিটরিং করা হচ্ছে না। কারণ ওইসব কোম্পানি সমবায় অধিদফতর থেকে অনুমোদন নিয়ে এ কাজ করছে। এমএলএম কোম্পানির প্রতারণা থেকে সতর্ক অবস্থান নিয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি। কোন্ কোন্ প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সনদ দেয়া হয়েছে তার তালিকা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে এমআরএ সূত্রে জানা গেছে।
লাইসেন্স বাতিলের ব্যাপারে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির পরিচালক আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাসির জনকণ্ঠকে বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে যারা কাজ করছে, ওইসব প্রতিষ্ঠানের হিসাবের লেনদেন ও ম্যানেজম্যান্ট পদ্ধতি দেখা হয়। এছাড়া এনজিওগুলোর কোন স্বত্বাধিকারী নেই। মালিকানা না থাকায় ডিভিডেন্ড পাচ্ছে। ফলে অনেকে নামে-বেনামে খরচ দেখিয়ে টাকার হিসাব দেখালে তাও সন্ধান করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর কোন ধরনের আর্থিক অনিয়ম, অসঙ্গতি এবং লাইসেন্স নেয়ার সময় শর্ত ভঙ্গ করেছে কিনা তা দেখার পরও তাদের সনদ বাতিল করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অবশ্য বাতিল করার আগে তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। অনিয়মের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া ও সতর্ক করা হয়। এরপরও সংশোধন না হলে তাদের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম বন্ধের পর উপকারভোগীরা কোন ধরনের ক্ষতির শিকার হয়নি। কারণ লাইসেন্স বাতিলকৃত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের আমানতের চেয়ে ঋণের পরিমাণ বেশি আছে।
জানা গেছে, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি কর্তৃক লাইসেন্স বাতিলের তালিকার মধ্যে আছে উত্তরণ পরিবার প্রতিষ্ঠান (সনদ নম্বর-০০৫৪৯-০০১১৩-০০০২২), প্রফুল্ল সামাজিক সংস্থা (পি.এস.এস সনদ নং-০০৬৯২-০০০৮৭-০০০২৯), এসো কাজ করি (একক সনদ নং-০১০২৪-০০১০৫-০০০৭১), স্বপ্ন ফাউন্ডেশন (সনদ নং-০১৩৭৫-০০৪৭১-০০০৭৮), সোসাইটি ফর আরবান এ্যান্ড রুরাল ইমানসিপেশন (সনদ নং-০০৫৪৮-০৩৫২১-০০০৮১), সোসিও ইকোনমিক এ্যান্ড রুরাল এ্যাডভান্সমেন্ট এসোসিয়েশন (সেরা, সনদ নং-০০৯১১-০২৬২৭-০০১১৯), উজ্জীবন কল্যাণ সংস্থা (সনদ নং-০০৪৭৫-০০১৯৩-০০১২৮), চেতনা সমাজ কল্যাণ কেন্দ্র (সনদ নং-০০৫৫২-০০৭৮৭-০০১১৩৩), গোল্ডেন ওয়ে (জনকল্যাণমূলক সংস্থা, সনদ নং-০১৩৪৮-০০৪১৮-০০১৫৩), ভিলেজ ইকোনমিক এ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপম্যান্ট কমিউনিটি (ভিইএসডিসি সনদ নং-০০৩৬৪-০০৫৫০-০০১৬৩), ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই, সনদ নং-০৭০৩২-০২২১৭-০০২০২), এপোচ ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (সনদ নং-০০০০৯-০০৩০০-০০২২৮), ফাউন্ডেশন ফর পুওরস প্রোগ্রেসিভ প্রোগ্রাম (সনদ নং-০০২৯২-০০৮২৪-০০২৫৬), প্রশিক্ষণ, কাজ, সমন্বয় সংস্থা (প্রকাস সনদ নং-০০৫১৩-০৫১২৫-০০২৯৩), নর্থ বেঙ্গল রুরাল ডেভেলপমেন্ট সংস্থা (এনবিআরডিএস, সনদ নং-০৩১৬১-০৪৩২৪-০০৩১৭), ভিলেজ ডিজএ্যাবিলিটি এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সনদ নং-০১৪৮৮-০৩৮৮৮-০০৩৫৬), সোস্যাল অর্গানাইজেশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (সোর্ড-সনদ নং-০০০৮০-০০১৬৩-০০৩৬০), দি গুড আর্থ (সনদ নং-০০৯৬৭-০০০৫০-০০৩৭২), উজ্জীবন সমাজসেবা সংস্থা (সনদ নং-০৪৮১০-০১৯২৯-০০৪৬৯) পল্লী নীড় সংস্থা (সনদ নং-০১১২৩-০১০৪৭-০০৪৭৫), জাগরণী কল্যাণ সংস্থা (সনদ নং-০১৪৯৪-০০৫৭৯-০০৪৯৭)।
জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠান ২০০৭ সাল থেকে শুরু করে ২০১০ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে এমআরএ ক্ষুদ্র ঋণ পরিচালনার জন্য লাইসেন্স গ্রহণ করে। কিন্তু চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই সময় তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। অবশ্য এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোন ধরনের ক্ষুদ্র ঋণ সংক্রান্ত লেনদেন না করার জন্য সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে এমআরএ’র এক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ওইসব প্রতিষ্ঠান বা এনজিও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, বর্তমান মাইক্রোক্রেডিট নামে এমএলএম কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের সঙ্গে একের পর এক প্রতারণা করে চলছে। তবে এমএলএম কোম্পানিগুলোকে মনিটরিং করা হচ্ছে না। কারণ ওইসব কোম্পানি সমবায় অধিদফতর থেকে অনুমোদন নিয়ে এ কাজ করছে। এমএলএম কোম্পানির প্রতারণা থেকে সতর্ক অবস্থান নিয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি। কোন্ কোন্ প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সনদ দেয়া হয়েছে তার তালিকা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে এমআরএ সূত্রে জানা গেছে।
No comments