বিদ্যুত বিপর্যয়সহ নানান ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত হবে লোকসভা by মানস বন্দ্যোপাধ্যায়
১ আগস্ট ॥ ৮ আগস্ট থেকে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। এ অধিবেশন তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে অগ্নিগর্ভ হতে চলেছে বলে বিরোধীদের সূত্রে জানা গেছে। গত ৩০ এবং ৩১ জুলাই দেশব্যাপী বারো ঘণ্টা করে বিদ্যুত উধাও হবার ঘটনা দেশের পক্ষে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে বিজেপির মুখপাত্র প্রকাশ জাবরেকর আজ বলেছেন।
এ পূর্ণ বিদ্যুত বিপর্যয়ের ফলে দেশের ৬০ কোটি মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন এবং অর্থনীতি ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। এ ঘটনা নজিরবিহীন। কেন্দ্রীয় বিদ্যুত মন্ত্রক তথা সরকারের ঐতিহাসিক ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করে জাবরেকর গতকালের বিদ্যুত মন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে এবং প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানান। শুধু তাই নয়, জাবরেকর বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, চরমভাবে ব্যর্থ হলেও সিন্ধেকে পুরস্কারস্বরূপ গৃহমন্ত্রীর পদ দেয়া হয়েছে। যার বিরুদ্ধে ২ জি কেলেঙ্কারি নিয়ে চরম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এবং অতীতে অর্থমন্ত্রীর পদকে অপব্যবহার করে যিনি ২জি কেলেঙ্কারিতে তৎকালীন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজাকে মদদ করেছেন সেই পি. চিদম্বরমকেই আবার গৃহমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে অর্থমন্ত্রীর পদ দেয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে ডালমে কুছ কালা হায়। সংসদের অধিবেশনে তাঁরা এর বিরোধিতা করবেন বলে জানান।
অসমে ভয়াবহ জাতি সংঘর্ষ নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ চলে গেছে। এর জন্য শীর্ষনেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের দায়ী করছেন। বাংলাদেশীরা অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ঢুকে স্থানীয়দের জমি দখল করায় অসন্তোষের সৃষ্টি হচ্ছে। অসমের দাঙ্গা এরই পরিণতি বলে তিনি সরকারের ভোটব্যাংক নীতির নিন্দা করেন। সরকার এই অনুপ্রবেশ রুখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বলে তিনি মন্তব্য করেন। আদভানির এই মন্তব্যে এটা পরিষ্কার যে, অধিবেশনকালে অসমের দাঙ্গাও প্রাধান্য পাবে। এছাড়াও খুচরা ব্যবসায় সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ, পেনশন রেগুলেটরি বিল, মূল্য বৃদ্ধি, ডিজেল, এলপিজিতে সাবসিডি তুলে নেয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসনেত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র বিরোধিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সাংসদদের ছয় সদস্যের কমিটিকে।
No comments