গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে মিত্রতা জোরদার ও আমাদের কূটনীতি by স্বদেশ রায়
বর্তমানে বাংলাদেশে যে উদার গণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় আছে এর থেকে বেশি উদার গণতান্ত্রিক কোন রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশে নেই। এদের বাইরে একমাত্র উদার গণতান্ত্রিক একটি ছোট রাজনৈতিক দল আছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি। তারাও এই জোটের অর্ন্তভুক্ত হতে রাজী বাধা শুধু একটি সংসদীয় আসন।
তাদের দলের কোন নেতার ওইভাবে কোন সংসদীয় আসন নেই। তাও ধারনা করা যাচ্ছে আগামী নির্বাচনে মহাজোট নিজদেরকে ছাড় দিয়ে একটা দুটো আসন তাদেরকে দিয়ে জোট ভুক্ত করবে। যা হোক সেটা পরের বিষয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক শক্তি আছে তাদেরকে ঠিক সেন্টার রাইট গণতান্ত্রিক শক্তি বলা যায় না। বিএনপির জম্ম সেন্টার রাইট শক্তি হিসেবেই হয়েছিলো। কিন্তু জিয়াউর রহমানের পর থেকে দলটি ডানের দিকে এগুতে এগুতে এখন ডানকে ছাড়িয়ে উগ্র ডানে পড়েছে। বাস্তবে বর্তমান বিশ্ব যে উগ্র ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে বিএনপি এখন সেই ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় দাতাতে পরিনত হয়েছে।
এ কারণে সার্বিক বিচারে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতায় আছে এদের স্বাভাবিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আচরণে মনে হয়েছিলো তারা তাদের মিত্রতা আরো গভীর করবে। বাস্তবে এই মিত্রতা কত গভীরে এখন তা হয়তো সরকারি পর্যায়ে সব থেকে ভালো জানে। কিন্তু বাইরের থেকে মনে হচ্ছে, সাম্প্রতিক কালে এই তিন ন্যাচারাল এ্যালি বা স্বাভাবিক মিত্রের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সম্পর্ক কোথায় যেন একটু থমকে দাঁড়িয়েছে। এমনকি কূটনীতির স্বাভাবিক নিয়মের বাইরেও কিছু কিছু বিষয় এসে দাঁড়িয়েছে যা দেখে মনে হচ্ছে কোথায় যেন একটু অসুবিধা হচ্ছে। যেমন ভারতের সঙ্গে এই সরকারের সম্পর্ক যতটা ভালো হওয়া উচিত ছিলো সেটা হতে পারেনি ভারতের কারণে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ক্ষমতায় আসার পর পরই যে ব্যবস্থা নিয়েছে তার একটি বড় সুফল ভোগ করছে ভারত। কিন্তু সন্ত্রাসবাদকে চিরস্থায়ী মোকাবিলা করার বন্দোবস্ত করতে হলে প্রয়োজন পড়ে অর্থনৈতিক সহযোগীতা ও দুই দেশের প্রতি পারস্পারিক সৌহার্দ্য। ভারত ও বাংলাদেশের এই সৌহার্দ্যর গভীরতা অনেক খানি নষ্ট করে দিয়েছে ভারতের প্রদেশ পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী। তিস্তা পানি চুক্তিকে কেন্দ্র করে ওই মূখ্যমন্ত্রীর কূটনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত আচরণ বাংলাদেশের মানুষের মনকে শুধু আঘাত করেনি অনেক খানি ক্ষুব্দ করেছে। সম্প্রতি সে দেশের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিশিষ্ট লেখক এবং বুদ্ধিজীবি শশী থারু তার একটি বইয়ে মমতার এই আচরণকে অত্যন্ত ভদ্র ভাষায় সঠিক সমালোচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, বাংলাদেশ তার কাছে পানি চাইছে কিন্তু এটা সঠিক নয়। বাংলাদেশ তার নিজের প্রাপ্যতা টুকুই নিশ্চিত করতে বলছে ভারতকে। যেহেতু ভারত উজানের দেশ। বাংলাদেশ ভাটির দেশ। ভারত উজানে ওই নদীর পানি প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করেছে। শশী থারু যে সত্য উপলব্দি করেছেন এটা ভারতের কেন্দ্রের কোন রাজনীতিকের উপলব্দি করতে কষ্ট হচ্ছে এ কথা বলার প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু সকল উপলব্দি কি মমতা গেরোতে আটকা পড়ে গেলো? এই গেরো কি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার খুলতে পারছে না। সম্প্রতি ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মমতা এমনি গেরো দিতে গিয়েছিলো সেখানে তো ভারতের কেন্ত্রীয় শক্তি তাকে যথেষ্ট নাকানি চুবানি খাইয়েছে। তাহলে তিস্তা প্রসঙ্গে এসে ভারতের এতটা অসাহয়ত্ব কি সঠিক হচ্ছে? এছাড়াও বিদ্যুত, ঋন সহযোগীতা সহ অনেক কিছুতে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক ভালো হতে পারতো গত তিন বছরে কিন্তু এ গুলো কেন আটকে যাচ্ছে। ভারতীয় পক্ষের কথা বার্তা শুনলে এক রকম মনে হয়, বাংলাদেশের পক্ষ অন্য রকম। কেন একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে আসা সম্ভব হচ্ছে না? জামাত- বিএনপি আমালের থেকে বর্তমানে সীমান্ত হত্যা কমে এসেছে কিন্তু প্রশ্ন হলো সীমান্তে হত্যা হবে কেন? সীমান্তে নিরস্ত্র কোন ব্যক্তি কেন গুলিতে মারা যাবে? ভারতের আন্তরিকতা এখানে কেন শতভাগ আসছে না? তাছাড়া নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া যেখানে শতভাগ বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকে থাকবে। তাদের নির্ভরতা একের পর এক বাংলাদেশের ওপর বাড়বে তারা কেন এখন মায়ানমারের দিকে ঝুঁকছে? নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের ভিতর শিল্প ও বানিজ্যর বিষয়টি কেন সহজ হচ্ছে না?
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বর্তমানে পারস্পারিক স্ট্রাটেজিক পার্টনার। বিশ্ব গণতন্ত্র নিশ্চিত ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ এখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গোটা পৃথিবীতে চলছে নীতিগত ভাবে বর্তমান সরকার তার সহযোগী। তাই বাংলাদেশে যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নীতিগতভাবে কোন শক্তি বা সরকারের ভালো সম্পর্ক হতে হয় সেটা বর্তমান সরকারেরই হওয়ার কথা। কিন্তু সত্য হলো ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে যেমন ‘মমতা’ বাধা কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঠিক তেমনি ‘হিলারী’ বাধা কাজ করছে। তবে মমতা আর হিলারী এক নয়। মমতা স্কুল ছাত্রীর মত ‘তোর সঙ্গে আড়ি’ বলে সকল কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে আসেননি। কিন্তু হিলারী ওই ধরনের কোন আচরণ করেননি। তবে তার কাজের ভিতর একটা ক্ষেত্রে এসে ব্যক্তি কেন্দ্রিকতা কাজ করেছে বা করছে। সেটা ড. ইউনূস প্রসঙ্গ। সরকার কেন কূটনীতিকভাবে এই বিষয়টি মোকাবিলা করতে পারছে না? সমস্যাটি সৃষ্টি হয়েছে এখানে গ্রামীন ব্যাংকে ড. ইউনূসের থাকতে না পারা। বিষয়টি আদালত অবধি গড়িয়েছিলো। তাই এখানে সরকারের দায় কম। তবে বাস্তবতা হলো সরকারের যে দায় কম সেটা সরকার প্রচার করতে পারেনি। প্রচার যুদ্ধে হেরে গেছে গেছে সরকার। তাছাড়া পরবর্তীতে গ্রামীন ব্যাংক পুর্নগঠন সহ অনান্য বিষয় গুলো আরো দক্ষতার সঙ্গে করলে তার ফল ভালো হতো। তবে এটা সত্য যে ‘মমতা’ বাধার মত কোন বাধা হিলারী সৃষ্টি করেননি। ক’টনীতি তারা স্বাভাবিক গতিতে চলছে। কিন্তু তার পরেও কয়েকটি বিষয় কেন ঘটছে? যেমন মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ বিষয়ে কেন শুনানী হলো? শুনানীতে দেখা গেছে মার্কিন সহাকারী পরারাষ্ট্র সচিব মি ব্লেক বাংলাদেশের পক্ষেই ও বর্তমান সরকারের পক্ষেই সব কিছু বলেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, একটি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকতে শুনানী হবে কেন মর্কিন কংগ্রেসে? কেন বিষয়টি শুনানী অবধি গড়ালো। কারণ, কোন দেশ সম্পর্কে শুনানী হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসে এটা সুনামের বিষয় নয়। তাই বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের মত একটি উদার গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকার পরেও কেন এ শুনানী হলো? এ ব্যর্থতা কোথায়? সেটা সরকারকে খুঁজে দেখতে হবে। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের মেয়াদেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত গার্মেন্ট পন্য প্রবেশের অধিকার অর্জনের সাফল্য অর্জন করতেই হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এ বিষয়ে তাদের শর্ত তাদের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেছেন, টিকফা ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ফেডারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট চুক্তি করলেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের বাজারে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত গার্মেন্ট পন্য প্রবেশ অধিকার দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত গার্মেন্ট পন্য প্রবেশের অধিকার পাওয়ার অর্থই হচ্ছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট পন্য রফতানিতে পৃথিবীতে প্রথম স্থানে চলে যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে গার্মেন্টস পণ্য রফতানি করে পাঁচ মিলিয়ন ডলারের মত। এটা দুই বছরে দ্বিগুণ অর্থাৎ ১০ বিলিয়ন ডলার হবে। এই বিশাল সুযোগ হাত ছাড়া করার কোন যুক্তি নেই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব অবশ্য বলেছেন, টিকফা চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই ট্রেড এগ্রিমেন্ট পৃথিবীর অনান্য অনেক দেশের আছে। তাই এ চুক্তি করা বাংলাদেশের জন্যে ক্ষতির কিছু নয়। বরং দ্রুত আলোচনা করে উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করে এ চুক্তি করা যেতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক মুক্ত গার্মেন্ট পন্য রফতানির সুযোগ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যে একটি বড় সুযোগ। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি যে বিষয়টি সামনে আনছে তা হচ্ছে, বাংলাদেশে গার্মেন্ট শ্রমিকদের নায্য অধিকার। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিজে এটার পক্ষে। গার্মেন্ট শ্রমিকরা বর্তমানে নূন্যতম যে বেতন পাচ্ছেন, তাদের নেতারা তারা থেকেও কম বেতনে রাজী ছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এই বেতন দেবার বিষয়টি মেনে নিতে বলেন গার্মেন্টস মালিকদের। তাছাড়া যতদূর জানা যায়, বর্তমান সরকার গার্মেন্টেসে ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেবার পক্ষে। সরকার যদি এটা ঘোষণা করে তাহলে কিন্তু গার্মেন্টেসের অনেক সমস্যার সমাধান হয়। প্রথমত বর্তমানে যারা গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা তারা কেউ গার্মেন্টস শ্রমিক নন। সরকার ট্রেড ইউনিয়ন করার অনুমতি দিলে এই অশ্রমিকদের হাতে আর নেতৃত্ব থাকবে না। প্রকৃত শ্রমিকরা নেতা হবেন। এবং তারা তাদের বাস্তব অবস্থা বুঝেই দাবী দাওয়া করবেন। যার ফলে প্রকৃত শ্রমিক অধিকার রক্ষা হবে। আজকে যারা যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পন্যের বাজার নষ্ট করার জন্যে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিয়ে অপ প্রচার করছে তারা আর ওই সুযোগ পাবে না। অন্যদিকে আর্ন্তজাতিক মিডিয়ার কারণে আমিনুল হত্যাকান্ড যুক্তরাষ্ট্রে গার্মেন্টস রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্যে একটি সমস্যার সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। এখানে কেন খালাফ হত্যার মত শাটল কূটনীতি কাজ করছে না? খালাফের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করার পরেই যেমন বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী, আমিনুল হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারলেই এই সমস্যা কেটে যাবে। কিন্তু সরকারের সমস্যা হচ্ছে, তাদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা দৃশ্যমান নয়। অন্যদিকে তাদের কাজের যথাপ্রচার নেই। যা বর্তমান সরকারের অন্যতম একটি সমস্যা। এছাড়া ভূ রাজনৈতিক কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো গাঢ় করতে হলে বেশ কিছু স্ট্রাটেজীর প্রয়োজন। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে আবার অন্যরাও তা সম্পর্কে সজাগ। এখানে বাংলাদেশকে অধিক পরিশীলিত হতে হবে। তবে মনে রাখা দরকার আমাদের থেকে আরো পূবের ভূ রাজনৈতিক অবস্থানে মায়ানমার। তারা যখন গণতন্ত্রের দ্বার খোলার পরে মার্কিন বন্ধুত্ব দৃঢ় করছে তাই বাংলাদেশকেও ভাবতে হবে। তবে মায়ানমারের নতুন দ্বার খোলার পরের কূটনীতি বর্তমান সরকার উপলব্দি করেছে। কারণ হিলারীর পরেই শেখ হাসিনা সে দেশ সফর করেন। অনেকে হয়তো মনে করতে পারেন রোহিঙ্গা নিয়ে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। এটা সঠিক নয়। কারণ, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান পরিস্কার। জাতিসংঘের অধীনস্ত কোন সংগঠনের যদি এ নিয়ে কোন ভুল ধারণা থাকে সে ধারণাটা হয়তো ভাঙ্গতে হবে বাংলাদেশকে। নইলে এ নিয়ে ভবিষ্যতে আরো কিছুটা অপপ্রচারের মুখে পড়তে পারে দেশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব সময়ই উদার গণতন্ত্রের পক্ষে। তাছাড়া বাংলাদেশে বর্তমান যে সরকার ক্ষমতায় আছে নীতিগত ভাবে ইউরোপীয় কোন দেশের সঙ্গে এদের রাজনৈতিক কোন অমিল নেই। প্রায় প্রতিক্ষেত্রে মিলই বেশি। এমত অবস্থায় কেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার সংগঠন গুলোর কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল বার্তা যাচ্ছে? বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিগত জামাত- বিএনপি সরকারের আমলের থেকে এখন শত গুন ভালো। তাছাড়া বিচার বিভাগ অনেক বেশি সক্রিয় ও স্বাধীন। এ ছাড়া অস্ত্র চোরাচালানী সহ অনেক গুলো বিষয়ের বিচার হচ্ছে। এই ধারণা কেন তারা পাচ্ছে না? এ ব্যর্থতা গুলো খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কারণ, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে মনে রাখা উচিত সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তির বাইরে তাদের কোন প্রকৃত বন্ধু নেই। অগণতান্ত্রিক
শক্তির পিছে ছুটে কোন লাভ নেই।
swadeshroy@gmail.com
No comments