কী হবে লিবিয়ায়?
তিউনিসিয়া, মিসর, ইয়েমেন, বাহরাইনের পর এবার ক্ষোভে উত্তাল লিবিয়া। সরকারের মুখোমুখি জনগণ। চার দশকেরও বেশি সময়ের একনায়কতান্ত্রিক শাসনের অবসান চায় সে দেশের মানুষ। বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে সেখানে। রাস্তায় নেমেছে মানুষ। বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছে পার্লামেন্ট ভবনে।
প্রশাসনের ভেতরেও জন ইচ্ছার প্রতিফলন দেখা দিতে শুরু করেছে। বিক্ষোভ দমনে সেখানে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। গুলি হয়েছে। মানুষের জীবন গেছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির সমর্থকরা। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতাসীন একনায়ক আজ জনগণের চ্যালেঞ্জের মুখে। ৪২ বছর আগের বিপ্লবী নেতা গাদ্দাফি আজ আরেক বিপ্লবের মুখে।
গত কয়েক দিনে সেখানে সরকার-সমর্থিত সেনাবাহিনী যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এক কথায় নৃশংসতা। সরকার-সমর্থিতদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে এরই মধ্যে শ তিনেক মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জঙ্গি বিমান থেকে বিক্ষোভকারীদের ওপর বোমা নিক্ষেপের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু রক্ত ঝরিয়েও দমন করা যাচ্ছে না জনবিক্ষোভ। অন্যদিকে বিদ্রোহীদের হাতে বেশ কিছু বিদেশি জিম্মি আছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা শতাধিক। সশস্ত্র হামলায় ১৫ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গাদ্দাফি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, এমন খবর প্রচারিত হওয়ার পর তিনি এক সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে জানিয়েছেন, তিনি দেশেই আছেন। গাদ্দাফির মনোনীত উত্তরাধিকারী তাঁর ছেলে সাইফ আল ইসলাম এক টেলিভিশন ভাষণে জানিয়েছেন, দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি। লিবিয়াজুড়ে রক্তের নদী বইবে_এমন কথাও উচ্চারণ করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যেতে পারে লিবিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সহজে ক্ষমতা ছেড়ে যাবে না। অন্যদিকে জনগণ এ শাসন আর মেনে নিতে চাইছে না। কী হবে লিবিয়ায়_সেটাই এখন সবার প্রশ্ন।
আরব-আফ্রিকান রাষ্ট্র লিবিয়ায় গাদ্দাফির শাসন চলছে ৪২ বছর ধরে। সেখানে মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি লৌহমানব হিসেবেই পরিচিত। কঠোর হাতে এত দিন সব ধরনের বিদ্রোহ দমন করে এসেছেন তিনি। ১৯৯৫ সালে একবার ছাত্র-বিদ্রোহ হয়েছিল সেখানে। কঠোর হাতে সেই বিদ্রোহ দমন করেছিলেন গাদ্দাফি। গাদ্দাফি বাহিনীর নিষ্ঠুরতায় প্রাণ দিতে হয়েছিল দেড় হাজার ছাত্রকে। দমন করা গিয়েছিল বিদ্রোহ। কিন্তু এবারের অবস্থা ভিন্ন। একদিকে আরব বিশ্বে গণতন্ত্রের দাবি জোরদার হচ্ছে, অন্যদিকে তিউনিসিয়া ও মিসরে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজি এখন কার্যত বিদ্রোহীদের দখলে। ওদিকে এ জনবিক্ষোভের মধ্যে বিদেশি ষড়যন্ত্র খুঁজে পেয়েছে সেখানকার শাসকগোষ্ঠী। বিদ্রোহ দমনের জন্য গাদ্দাফি বাহিনী যে সহজে ছাড় দেবে না, সেটা এখন সবার কাছেই স্পষ্ট। অন্যদিকে পথে নেমে আসা জনগণও যেন ইস্পাত-কঠিন সংকল্প নিয়েই পথে নেমেছে। সরকারের ভেতরেও অবস্থা নাজুক। বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করেছেন সরকারের এক মন্ত্রী। সব মিলিয়ে লিবিয়ার অবস্থা ভালো নয়।
১৯৬৯ সালে এক অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে ক্ষমতায় আসা মুয়াম্মার আলা গাদ্দাফি সহজে ক্ষমতা ছেড়ে যেতে চাইবেন না। অন্যদিকে জনগণ গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ব্যাপারে মরিয়া। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে সেখানে। সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো নেই। তাদের নিরাপত্তা বিধান ও জিম্মিদের উদ্ধারের ব্যাপারে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপও জরুরি হয়ে পড়েছে।
গত কয়েক দিনে সেখানে সরকার-সমর্থিত সেনাবাহিনী যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এক কথায় নৃশংসতা। সরকার-সমর্থিতদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে এরই মধ্যে শ তিনেক মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জঙ্গি বিমান থেকে বিক্ষোভকারীদের ওপর বোমা নিক্ষেপের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু রক্ত ঝরিয়েও দমন করা যাচ্ছে না জনবিক্ষোভ। অন্যদিকে বিদ্রোহীদের হাতে বেশ কিছু বিদেশি জিম্মি আছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা শতাধিক। সশস্ত্র হামলায় ১৫ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গাদ্দাফি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, এমন খবর প্রচারিত হওয়ার পর তিনি এক সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে জানিয়েছেন, তিনি দেশেই আছেন। গাদ্দাফির মনোনীত উত্তরাধিকারী তাঁর ছেলে সাইফ আল ইসলাম এক টেলিভিশন ভাষণে জানিয়েছেন, দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি। লিবিয়াজুড়ে রক্তের নদী বইবে_এমন কথাও উচ্চারণ করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যেতে পারে লিবিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সহজে ক্ষমতা ছেড়ে যাবে না। অন্যদিকে জনগণ এ শাসন আর মেনে নিতে চাইছে না। কী হবে লিবিয়ায়_সেটাই এখন সবার প্রশ্ন।
আরব-আফ্রিকান রাষ্ট্র লিবিয়ায় গাদ্দাফির শাসন চলছে ৪২ বছর ধরে। সেখানে মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি লৌহমানব হিসেবেই পরিচিত। কঠোর হাতে এত দিন সব ধরনের বিদ্রোহ দমন করে এসেছেন তিনি। ১৯৯৫ সালে একবার ছাত্র-বিদ্রোহ হয়েছিল সেখানে। কঠোর হাতে সেই বিদ্রোহ দমন করেছিলেন গাদ্দাফি। গাদ্দাফি বাহিনীর নিষ্ঠুরতায় প্রাণ দিতে হয়েছিল দেড় হাজার ছাত্রকে। দমন করা গিয়েছিল বিদ্রোহ। কিন্তু এবারের অবস্থা ভিন্ন। একদিকে আরব বিশ্বে গণতন্ত্রের দাবি জোরদার হচ্ছে, অন্যদিকে তিউনিসিয়া ও মিসরে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজি এখন কার্যত বিদ্রোহীদের দখলে। ওদিকে এ জনবিক্ষোভের মধ্যে বিদেশি ষড়যন্ত্র খুঁজে পেয়েছে সেখানকার শাসকগোষ্ঠী। বিদ্রোহ দমনের জন্য গাদ্দাফি বাহিনী যে সহজে ছাড় দেবে না, সেটা এখন সবার কাছেই স্পষ্ট। অন্যদিকে পথে নেমে আসা জনগণও যেন ইস্পাত-কঠিন সংকল্প নিয়েই পথে নেমেছে। সরকারের ভেতরেও অবস্থা নাজুক। বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করেছেন সরকারের এক মন্ত্রী। সব মিলিয়ে লিবিয়ার অবস্থা ভালো নয়।
১৯৬৯ সালে এক অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে ক্ষমতায় আসা মুয়াম্মার আলা গাদ্দাফি সহজে ক্ষমতা ছেড়ে যেতে চাইবেন না। অন্যদিকে জনগণ গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ব্যাপারে মরিয়া। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে সেখানে। সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো নেই। তাদের নিরাপত্তা বিধান ও জিম্মিদের উদ্ধারের ব্যাপারে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপও জরুরি হয়ে পড়েছে।
No comments