সালমা-লিজা-ঝিলিক-কোনাল চ্যাম্পিয়ন চারকন্যা
প্রভিভা অন্বেষণের জন্য নানা ধরনের অনুষ্ঠান পৃথিবীর বহু দেশে হতে দেখা যায়। আমাদের দেশের টিভি মিডিয়াগুলোও নিয়েছে সে জাতীয় পদক্ষেপ। এই সব প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বেড়িয়ে আসছে প্রতিভাবান নতুন মুখ। যারা হয়তো কখনো নিজেদের প্রকাশ করার সুযোগ পেতো না তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম বলা যায়। গানের প্রতিভা অন্বেষণের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বের হয়ে আসা ৪ চ্যাম্পিয়ন তরুণীকে নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা।
সালমা: এনটিভির ‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় আসর ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন সালমা আকতার। কুষ্টিয়ার মেয়ে সালমা খুব স্বাভাবিক ও সহজাতভাবেই কন্ঠে ধারণ করেছে সেখানকার ঐতিহ্য লালন ফকিরের গান।
গানে কোনো রকমের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই সালমার। ইশ্বর প্রদত্ত কন্ঠের জাদুতে তিনি অডিশন রাউন্ড পর্ব থেকে এগোতে এগোতে একেবারে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। সালমার কন্ঠে লালনের গান অসাধারণ এক যুগলবন্দী।
দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সালমা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জিতে নেয় কোটি মানুষের হৃদয়। বিচারক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল সালমা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, সে একজন প্রকৃত প্রদত্ত কন্ঠশিল্পী। তার কন্ঠে আমি বাংলাদেশের মাটির গন্ধ পাই। আমি আশ্চয্য হবো না যদি সে ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়।
চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার হিসেবে সালমা পেয়েছিল ১০ লাখ টাকা, একটি ব্র্যান্ড নিউ নিশান কার, শিক্ষা বৃত্তি ২ লাখ টাকা। ব্যক্তি জীবনে সালমা বিবাহিত। দিনাজপুরের বাসিন্দা শিবলী সাদিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেধেছেন তিনি। দিনাজপরে অবস্থিত স্বপ্নপুরি পার্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে পরিচয় হয় শিবলীর সঙ্গে। পরিচয় থেকে সম্পর্ক বিয়েতে রুপ নেয়। শিবলী স্বপ্নপুরি পার্কের ম্যানেজারের দায়িত্বে আছেন। সালমার ‘বন্ধু আইয়ো আইয়ো’ ও ‘বাউলানির অসুখ’ নামে দুইটি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। সালমা এক কন্যা সন্তানের জননী।
লিজা: এনটিভির ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ'য়ের ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন সোনিয়া সুলতানা লিজা। ময়মনসিংয়ের মেয়ে লিজা ছোটবেলা থেকেই গানের চর্চা করার মধ্য দিয়েই বড় হয়েছেন।
ক্লোজআপ ওয়ানে অংশ নিতে অডিশন রাউন্ড ফেস করার সময় তার এসএসসি পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা হল থেকে সরাসরি তিনি অডিশন দিতে যান। ততোক্ষণে শেষ অডিশন। অনেক অনুরোধ করে শেষ পর্যন্ত তিনি অডিশন অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। যাত্রার শুরুটা বন্ধুর হলেও সমাপ্তিটা মধুরই ছিল। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন ১০ লাখ টাকা, ব্র্যান্ড নিউ কার।
লিজার মতে গান ছাড়া তিনি অসম্পূর্ণ। গান এবং পড়ালেখা নিয়েই সামনে এগোতে চান তিনি। সম্প্রতি বাগদানে আবদ্ধ হয়েছেন লিজা। তার হবু বর ইকবাল মাহমুদ বাবলু বিটিভির সংবাদ প্রযোজক এবং সেই সঙ্গে তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। বাবলু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাবলু লিজার পূর্ব পরিচিত নয়। সম্পূর্ণ পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। লিজার প্রথম একক অ্যালবাম ‘লিজা পার্ট-ওয়ান’ প্রকাশিত হয়েছে।
ঝিলিক: পুরো নাম জানিতা আহমেদ ঝিলিক। সঙ্গীত প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা চ্যানেল আই সেরা কন্ঠের মাধ্যমে জাদুকরী কন্ঠের শিল্পী ঝিলিকের আবির্ভাব হয়। ২০০৮ সালের চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ঝিলিক। ছোটবেলা থেকেই ঝিলিক গানের চর্চা করে আসছেন।
সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্ম ঝিলিকের। বাবা এম এ জলিল বাংলাদেশ টিভি ও বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী। বাবার কাছেই সঙ্গীতের হাতেখড়ি। প্রতিযোগিতা চলাকালে ঝিলিক মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। সেরা কন্ঠ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঝিলিক পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত ঝিলিকের দুইটি একক অ্যালবাম ‘আমার কি দোষ’ ও ‘ঝিলিক দ্য লাইটনিং’ প্রকাশিত হয়েছে।
কোনাল: পুরো নাম সোমনুর মুনির কোনাল। শৈশব কৈশোরে কোনাল বেড়ে উঠেছেন কুয়েতে। বাবার কুয়েতে চাকরি সূত্রে কোনাল বাবা মায়ের সঙ্গে শিশু বয়সে সেখানে যান। তার পরিবার এখনো কুয়েতেই থাকে। কোনালের মা সায়মা মুনির নিজেও গান গাইতেন। ছোটতে মায়ের কাছেই গানের হাতেখড়ি তার। কোনাল পড়ালেখা ও গানের চর্চা করার উদ্যোগ নিয়ে ২০০৯ সালে দেশে চলে আসেন। তিনি ঢাকায় এসে মামার বাড়িতে অবস্থান করে পড়ালেখা শুরু করেন। এরই মধ্যে ২০০৯ সালের সেরা কন্ঠ প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন পর্ব শুরু হলে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেন কোনাল।
একের পর এক রাউন্ড পার করে অবশেষে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যান কোনাল। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোনাল পান ৮ লাখ টাকার পুরস্কার। কোনাল পড়ালেখা করছেন ইউল্যাবে মিডিয়া স্টাডিস এন্ড জার্নালিজমের ওপর। একটি একক অ্যালবাম ‘কোনালস্ জাদু’ প্রকাশিত হয়েছে। ব্যক্তি জীবনে কোনাল সঙ্গীত শিল্পী ও কম্পোজার পৃত্থিরাজের সঙ্গে মানসিক সম্পর্কে জড়িত।
গানে কোনো রকমের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই সালমার। ইশ্বর প্রদত্ত কন্ঠের জাদুতে তিনি অডিশন রাউন্ড পর্ব থেকে এগোতে এগোতে একেবারে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। সালমার কন্ঠে লালনের গান অসাধারণ এক যুগলবন্দী।
দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সালমা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জিতে নেয় কোটি মানুষের হৃদয়। বিচারক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল সালমা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, সে একজন প্রকৃত প্রদত্ত কন্ঠশিল্পী। তার কন্ঠে আমি বাংলাদেশের মাটির গন্ধ পাই। আমি আশ্চয্য হবো না যদি সে ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়।
চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার হিসেবে সালমা পেয়েছিল ১০ লাখ টাকা, একটি ব্র্যান্ড নিউ নিশান কার, শিক্ষা বৃত্তি ২ লাখ টাকা। ব্যক্তি জীবনে সালমা বিবাহিত। দিনাজপুরের বাসিন্দা শিবলী সাদিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেধেছেন তিনি। দিনাজপরে অবস্থিত স্বপ্নপুরি পার্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে পরিচয় হয় শিবলীর সঙ্গে। পরিচয় থেকে সম্পর্ক বিয়েতে রুপ নেয়। শিবলী স্বপ্নপুরি পার্কের ম্যানেজারের দায়িত্বে আছেন। সালমার ‘বন্ধু আইয়ো আইয়ো’ ও ‘বাউলানির অসুখ’ নামে দুইটি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। সালমা এক কন্যা সন্তানের জননী।
লিজা: এনটিভির ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ'য়ের ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন সোনিয়া সুলতানা লিজা। ময়মনসিংয়ের মেয়ে লিজা ছোটবেলা থেকেই গানের চর্চা করার মধ্য দিয়েই বড় হয়েছেন।
ক্লোজআপ ওয়ানে অংশ নিতে অডিশন রাউন্ড ফেস করার সময় তার এসএসসি পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা হল থেকে সরাসরি তিনি অডিশন দিতে যান। ততোক্ষণে শেষ অডিশন। অনেক অনুরোধ করে শেষ পর্যন্ত তিনি অডিশন অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। যাত্রার শুরুটা বন্ধুর হলেও সমাপ্তিটা মধুরই ছিল। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন ১০ লাখ টাকা, ব্র্যান্ড নিউ কার।
লিজার মতে গান ছাড়া তিনি অসম্পূর্ণ। গান এবং পড়ালেখা নিয়েই সামনে এগোতে চান তিনি। সম্প্রতি বাগদানে আবদ্ধ হয়েছেন লিজা। তার হবু বর ইকবাল মাহমুদ বাবলু বিটিভির সংবাদ প্রযোজক এবং সেই সঙ্গে তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। বাবলু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাবলু লিজার পূর্ব পরিচিত নয়। সম্পূর্ণ পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। লিজার প্রথম একক অ্যালবাম ‘লিজা পার্ট-ওয়ান’ প্রকাশিত হয়েছে।
ঝিলিক: পুরো নাম জানিতা আহমেদ ঝিলিক। সঙ্গীত প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা চ্যানেল আই সেরা কন্ঠের মাধ্যমে জাদুকরী কন্ঠের শিল্পী ঝিলিকের আবির্ভাব হয়। ২০০৮ সালের চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ঝিলিক। ছোটবেলা থেকেই ঝিলিক গানের চর্চা করে আসছেন।
সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্ম ঝিলিকের। বাবা এম এ জলিল বাংলাদেশ টিভি ও বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী। বাবার কাছেই সঙ্গীতের হাতেখড়ি। প্রতিযোগিতা চলাকালে ঝিলিক মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। সেরা কন্ঠ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঝিলিক পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত ঝিলিকের দুইটি একক অ্যালবাম ‘আমার কি দোষ’ ও ‘ঝিলিক দ্য লাইটনিং’ প্রকাশিত হয়েছে।
কোনাল: পুরো নাম সোমনুর মুনির কোনাল। শৈশব কৈশোরে কোনাল বেড়ে উঠেছেন কুয়েতে। বাবার কুয়েতে চাকরি সূত্রে কোনাল বাবা মায়ের সঙ্গে শিশু বয়সে সেখানে যান। তার পরিবার এখনো কুয়েতেই থাকে। কোনালের মা সায়মা মুনির নিজেও গান গাইতেন। ছোটতে মায়ের কাছেই গানের হাতেখড়ি তার। কোনাল পড়ালেখা ও গানের চর্চা করার উদ্যোগ নিয়ে ২০০৯ সালে দেশে চলে আসেন। তিনি ঢাকায় এসে মামার বাড়িতে অবস্থান করে পড়ালেখা শুরু করেন। এরই মধ্যে ২০০৯ সালের সেরা কন্ঠ প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন পর্ব শুরু হলে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেন কোনাল।
একের পর এক রাউন্ড পার করে অবশেষে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যান কোনাল। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোনাল পান ৮ লাখ টাকার পুরস্কার। কোনাল পড়ালেখা করছেন ইউল্যাবে মিডিয়া স্টাডিস এন্ড জার্নালিজমের ওপর। একটি একক অ্যালবাম ‘কোনালস্ জাদু’ প্রকাশিত হয়েছে। ব্যক্তি জীবনে কোনাল সঙ্গীত শিল্পী ও কম্পোজার পৃত্থিরাজের সঙ্গে মানসিক সম্পর্কে জড়িত।
No comments