হুমকির মুখে জননিরাপত্তা
পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন নিজের বসতবাড়িও যে এখন আর নিরাপদ নয়, সেটা বোধ হয় প্রমাণ হয়ে গেল। গুলশানে নিজের বাড়িতে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী খুনের পর রাজধানীর দক্ষিণখানে নিজের বাড়িতে সস্ত্রীক খুন হয়েছেন এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। কেন এই খুন- তার কিনারা তো এত সহজে হবে না।
ঈদ সামনে রেখে অপরাধীচক্র নতুন করে সংগঠিত হয়ে উঠছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোতে নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। কিন্তু সেই ব্যবস্থাকে 'বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো' প্রমাণ করার মতো ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে শুরু হয়েছে নতুন মাত্রায় চাঁদাবাজি। ঈদ উপলক্ষে ফুটপাতের জায়গা বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জেলখানায় বসে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি চলছে। চাঁদা আদায় করা হচ্ছে দেশের বাইরে বসবাসকারী সন্ত্রাসীদের নামেও। সহযোগী একটি দৈনিকে প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদনে এক সন্ত্রাসীকে পুলিশের গাড়িতে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখা যায়।
ব্যবসায়ীরা নিজেদের ও ব্যবসার নিরাপত্তার স্বার্থে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশ্রয় নিতে যাওয়া অনেক ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হয়। আশ্রয় নিতে গিয়ে উল্টো বিপদে পড়তে হয়। ঈদের সময় নানা মাত্রার অপরাধ সংঘটিত হয়। কিন্তু নিজের ঘরেও যেন এখন কারো নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়। যদিও নিরাপত্তা পাওয়া যেকোনো নাগরিকের অধিকার। কিন্তু সেই অধিকার থেকে দেশের সিংহভাগ নাগরিকই বঞ্চিত। আমরা নিকট অতীতের কিছু চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করতে পারি। এসব হত্যাকাণ্ডের কোনো কিনারাই করতে পারেনি দেশের পুলিশ বাহিনী। এসব ঘটনার রহস্য ভেদ করতে না পারা সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা সংস্থারই ব্যর্থতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব গুম-খুনের ঘটনার কোনো কিনারা না হওয়ায় একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এর ফলে অপরাধীচক্র নতুন করে অপরাধ সংঘটনে উৎসাহিত হয়েছে।
নাগরিকের নিরাপত্তা যেকোনো কারণে বিঘ্নিত হলে বুঝতে হবে, রাষ্ট্র দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। রাষ্ট্র নিজে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা নয়। রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব নানা সংস্থার ওপর দেওয়া আছে। অর্পিত সেই দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা বিভাগগুলো পালন করছে কি না, সেটাই হচ্ছে দেখার বিষয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিনের পর দিন লেখালেখি হলেও কোনো প্রতিকার নেই। সংগত কারণেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের জবাবদিহিতার প্রসঙ্গটি এসে যায়। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে পুলিশ বিভাগকে যদি জবাবদিহি করতে হতো, তাহলে নিশ্চয়ই অবস্থার এতটা অবনতি ঘটত না। একটি মানবাধিকার সংগঠনের জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জুলাই মাসে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডসহ সারা দেশে ৪৬২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই সংখ্যাটিই বলে দেয়, কতটা নিরাপত্তাহীন আমাদের জনজীবন।
রাজধানীর দক্ষিণখানে সাবেক সেনা কর্মকর্তা খুন হয়েছেন। যেকোনো কারণেই এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কিন্তু এর রহস্য উদ্ঘাটিত হওয়া উচিত। শুধু তা-ই নয়, সাগর-রুনি, গুলশানে ব্যবসায়ীসহ সাম্প্রতিক সময়ে যে হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর রহস্য উন্মোচনে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা আমরা দেখতে চাই। পাশাপাশি নাগরিকদের নিরাপত্তা কিছুটা হলেও নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আমরা আশা করি।
ব্যবসায়ীরা নিজেদের ও ব্যবসার নিরাপত্তার স্বার্থে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশ্রয় নিতে যাওয়া অনেক ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হয়। আশ্রয় নিতে গিয়ে উল্টো বিপদে পড়তে হয়। ঈদের সময় নানা মাত্রার অপরাধ সংঘটিত হয়। কিন্তু নিজের ঘরেও যেন এখন কারো নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়। যদিও নিরাপত্তা পাওয়া যেকোনো নাগরিকের অধিকার। কিন্তু সেই অধিকার থেকে দেশের সিংহভাগ নাগরিকই বঞ্চিত। আমরা নিকট অতীতের কিছু চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করতে পারি। এসব হত্যাকাণ্ডের কোনো কিনারাই করতে পারেনি দেশের পুলিশ বাহিনী। এসব ঘটনার রহস্য ভেদ করতে না পারা সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা সংস্থারই ব্যর্থতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব গুম-খুনের ঘটনার কোনো কিনারা না হওয়ায় একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এর ফলে অপরাধীচক্র নতুন করে অপরাধ সংঘটনে উৎসাহিত হয়েছে।
নাগরিকের নিরাপত্তা যেকোনো কারণে বিঘ্নিত হলে বুঝতে হবে, রাষ্ট্র দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। রাষ্ট্র নিজে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা নয়। রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব নানা সংস্থার ওপর দেওয়া আছে। অর্পিত সেই দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা বিভাগগুলো পালন করছে কি না, সেটাই হচ্ছে দেখার বিষয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিনের পর দিন লেখালেখি হলেও কোনো প্রতিকার নেই। সংগত কারণেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের জবাবদিহিতার প্রসঙ্গটি এসে যায়। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে পুলিশ বিভাগকে যদি জবাবদিহি করতে হতো, তাহলে নিশ্চয়ই অবস্থার এতটা অবনতি ঘটত না। একটি মানবাধিকার সংগঠনের জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জুলাই মাসে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডসহ সারা দেশে ৪৬২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই সংখ্যাটিই বলে দেয়, কতটা নিরাপত্তাহীন আমাদের জনজীবন।
রাজধানীর দক্ষিণখানে সাবেক সেনা কর্মকর্তা খুন হয়েছেন। যেকোনো কারণেই এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কিন্তু এর রহস্য উদ্ঘাটিত হওয়া উচিত। শুধু তা-ই নয়, সাগর-রুনি, গুলশানে ব্যবসায়ীসহ সাম্প্রতিক সময়ে যে হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর রহস্য উন্মোচনে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা আমরা দেখতে চাই। পাশাপাশি নাগরিকদের নিরাপত্তা কিছুটা হলেও নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আমরা আশা করি।
No comments