করুণাকে করুণা by আসিফ আহমদ
এই সেদিনও ছিলেন তামিলনাড়ূ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মনমোহন সিংয়ের কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শরিক তার দল ডিএমকে। ১৩ মে রাজ্য বিধানসভায় তিনি ক্ষমতা হারান জয়ললিতার দল এআইডিএমকের কাছে। এরপর পারিবারিক জীবনে নতুন বিপর্যয়_ তার এক কন্যা দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে নিক্ষিপ্ত হয় কারাগারে।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও যিনি নিজের রাজ্যে সর্বেসর্বা এবং কেন্দ্রীয় জোট সরকারের ভাগ্যবিধাতা_ সেই করুণানিধি কি দুঃস্বপ্নেও ভেবেছিলেন, এমন দিন দেখতে হবে! এমন করুণার পাত্র হতে হবে তাকে!
টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মেয়ে কানিমোঝির সঙ্গে সোমবার সুপরিচিত তিহার জেলে গিয়ে দেখা করলেন অশীতিপর ডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধি। বিকেলে ৮৭ বছরের বৃদ্ধ করুণানিধিকে বিশেষ ব্যবস্থা করে হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো তিহার জেলের ভেতর। তিনি রাজ্য বিধানসভার নির্বাচিত সদস্য। তবে তার চেয়েও বড় পরিচয়_ একজন পিতা, যার কন্যার রাজনীতিতে দাপট-দৌরাত্ম্য ছিল অপরিসীম। এখন চলছে দুঃসময়। মেয়ের সঙ্গে দেখা করার সময় করুণানিধির সঙ্গে ছিলেন তার তৃতীয় স্ত্রী রজথী আম্মাল এবং মেয়ের স্বামী অরবিন্দন ও ছেলে আদিত্য। করুণা পরিবারের মিলন হলো জেলের ডেপুটি সুপারের ঘরে। মেয়ের সঙ্গে প্রায় কুড়ি মিনিট কথা বলেন করুণানিধি। বাবার সঙ্গে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন কানিমোঝি। কেঁদে ফেলেন বাবাও।
স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির অভিযোগে তিহার জেলেই রয়েছেন করুণানিধির আর এক 'স্নেহধন্য', ডিএমকে নেতা আন্দিমুথু রাজা।
ঠিক ছিল, মেয়ের সঙ্গে দেখা করে সোমবারই রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই ফিরে যাবেন করুণানিধি। কিন্তু দেখা হওয়ার পর তিনি এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন যে, তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চাননি 'অভিমানী' করুণানিধি। এ অভিমান স্বাভাবিক। তার মনে হয়েছে, কংগ্রেস জোটের শরিকের প্রতি যথাযথ আচরণ করেনি। দেয়নি প্রটেকশন। তবে সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম দেখা করতে যান করুণানিধির সঙ্গে। এটা এক ধরনের করুণা বৈকি। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে তো কিছু নেই। সোনিয়া গান্ধীর পরামর্শেই তার সঙ্গে দেখা করেন চিদাম্বরম। তাকে কংগ্রেস নেতৃত্ব থেকে বার্তা দেওয়া হয়, রাজ্যের ভোটের ফল যা-ই হোক, ডিএমকেকে এখনও শরিক হিসেবেই মর্যাদা দেয় কংগ্রেস। তাই এমন দিনেও করুণার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন তারা।
দিলি্ল হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন কানিমোঝি। জামিনের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, যেহেতু তার স্বামী বিদেশে কাজ করেন, তাই ছেলেকে দেখাশোনার জন্য তিনি জামিন চাইছেন। সোমবারই পাটিয়ালা কোর্টের চত্বরে কানিমোঝির সঙ্গে দেখা করেন তার বড় ভাই এবং কেন্দ্রীয় সার ও রসায়নমন্ত্রী আলাগিরির স্ত্রী কান্তি। পরে আদালত কক্ষে কানিমোঝির সঙ্গে কথা বলতে বলতে দু'চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে কান্তির।
বাংলাদেশে বিরোধী দলের কোনো নেতা জেলে আটক তার পুত্র বা কন্যার সঙ্গে এভাবে কথা বলবেন, সেটা ভাবা বেশ কঠিন। সব সরকারের আমলেই এমনটি ঘটেছে। করুণানিধির কন্যা দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত। কিন্তু পিতামাতার সাক্ষাৎ তিনি চাইতেই পারেন। তার পিতামাতাও দেখা করে সান্ত্বনা জানাতে আগ্রহী হতে পারেন। এ সুযোগ করে দিলে দোষের কিছু নেই। এ সুযোগ যেমন রাজনীতিক কিংবা সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জন্য মিলতে পারে, তেমনি সর্বসাধারণের জন্যও উন্মুক্ত হওয়া উচিত। জেলে দেখা করার সুযোগ বাংলাদেশের রয়েছে। কিন্তু সে পথে বাধাও অনেক। এটা সহজ করা যেতেই পারে।
টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মেয়ে কানিমোঝির সঙ্গে সোমবার সুপরিচিত তিহার জেলে গিয়ে দেখা করলেন অশীতিপর ডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধি। বিকেলে ৮৭ বছরের বৃদ্ধ করুণানিধিকে বিশেষ ব্যবস্থা করে হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো তিহার জেলের ভেতর। তিনি রাজ্য বিধানসভার নির্বাচিত সদস্য। তবে তার চেয়েও বড় পরিচয়_ একজন পিতা, যার কন্যার রাজনীতিতে দাপট-দৌরাত্ম্য ছিল অপরিসীম। এখন চলছে দুঃসময়। মেয়ের সঙ্গে দেখা করার সময় করুণানিধির সঙ্গে ছিলেন তার তৃতীয় স্ত্রী রজথী আম্মাল এবং মেয়ের স্বামী অরবিন্দন ও ছেলে আদিত্য। করুণা পরিবারের মিলন হলো জেলের ডেপুটি সুপারের ঘরে। মেয়ের সঙ্গে প্রায় কুড়ি মিনিট কথা বলেন করুণানিধি। বাবার সঙ্গে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন কানিমোঝি। কেঁদে ফেলেন বাবাও।
স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির অভিযোগে তিহার জেলেই রয়েছেন করুণানিধির আর এক 'স্নেহধন্য', ডিএমকে নেতা আন্দিমুথু রাজা।
ঠিক ছিল, মেয়ের সঙ্গে দেখা করে সোমবারই রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই ফিরে যাবেন করুণানিধি। কিন্তু দেখা হওয়ার পর তিনি এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন যে, তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চাননি 'অভিমানী' করুণানিধি। এ অভিমান স্বাভাবিক। তার মনে হয়েছে, কংগ্রেস জোটের শরিকের প্রতি যথাযথ আচরণ করেনি। দেয়নি প্রটেকশন। তবে সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম দেখা করতে যান করুণানিধির সঙ্গে। এটা এক ধরনের করুণা বৈকি। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে তো কিছু নেই। সোনিয়া গান্ধীর পরামর্শেই তার সঙ্গে দেখা করেন চিদাম্বরম। তাকে কংগ্রেস নেতৃত্ব থেকে বার্তা দেওয়া হয়, রাজ্যের ভোটের ফল যা-ই হোক, ডিএমকেকে এখনও শরিক হিসেবেই মর্যাদা দেয় কংগ্রেস। তাই এমন দিনেও করুণার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন তারা।
দিলি্ল হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন কানিমোঝি। জামিনের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, যেহেতু তার স্বামী বিদেশে কাজ করেন, তাই ছেলেকে দেখাশোনার জন্য তিনি জামিন চাইছেন। সোমবারই পাটিয়ালা কোর্টের চত্বরে কানিমোঝির সঙ্গে দেখা করেন তার বড় ভাই এবং কেন্দ্রীয় সার ও রসায়নমন্ত্রী আলাগিরির স্ত্রী কান্তি। পরে আদালত কক্ষে কানিমোঝির সঙ্গে কথা বলতে বলতে দু'চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে কান্তির।
বাংলাদেশে বিরোধী দলের কোনো নেতা জেলে আটক তার পুত্র বা কন্যার সঙ্গে এভাবে কথা বলবেন, সেটা ভাবা বেশ কঠিন। সব সরকারের আমলেই এমনটি ঘটেছে। করুণানিধির কন্যা দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত। কিন্তু পিতামাতার সাক্ষাৎ তিনি চাইতেই পারেন। তার পিতামাতাও দেখা করে সান্ত্বনা জানাতে আগ্রহী হতে পারেন। এ সুযোগ করে দিলে দোষের কিছু নেই। এ সুযোগ যেমন রাজনীতিক কিংবা সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জন্য মিলতে পারে, তেমনি সর্বসাধারণের জন্যও উন্মুক্ত হওয়া উচিত। জেলে দেখা করার সুযোগ বাংলাদেশের রয়েছে। কিন্তু সে পথে বাধাও অনেক। এটা সহজ করা যেতেই পারে।
No comments