বিক্রয় কর বৃদ্ধি নিয়ে মতবিরোধের জের-জাপানে ক্ষমতাসীন দল ছাড়লেন ৫০ এমপি
জাপানের প্রভাবশালী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত ইচিরো ওজাওয়া ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপিজে) থেকে পদত্যাগ করেছেন। বিক্রয় কর বাড়ানোর প্রতিবাদে তাঁর সঙ্গে পদত্যাগ করেন দলের আরো ৪৯ জন আইন প্রণেতা। পদত্যাগী ওজাওয়ার এক সহযোগী কেনজি ইয়ামাওকা গতকাল সোমবার এ কথা জানান।
তাঁদের এ পদক্ষেপে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রশ্নে কিছুটা সংকটে পড়লেও সরকার পতনের আশঙ্কা নেই।
ডায়েট নামের পরিচিত জাপানের পার্লামেন্ট দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট। উচ্চকক্ষ হাউস অব কাউন্সিলরস এবং নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস মিলিয়ে মোট ৭২২ আসনের মধ্যে গতকাল ৫০ জন দল থেকে পদত্যাগ করেন। এর মধ্যে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের (৪৮০) সদস্য ৩৮ জন। বাকিরা হাউস অব কাউন্সিলরসের (২৪২) সদস্য। নিম্নকক্ষে সরকারি দলের আসন সংখ্যা ৩০৬ এবং উচ্চকক্ষে ১০৬। ফলে ওজাওয়া ও তাঁর সহযোগীদের পদত্যাগ সরকারের পতন ঘটাবে না।
জাপানের প্রভাবশালী দৈনিক আশাহি শিম্বুনের বৈকালিক সংস্করণে ইয়ামাওকা জানান, ৫২ জন আইনপ্রণেতার পদত্যাগের কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে দুজন তাঁদের মত পাল্টান। দলীয় আইন প্রণেতাদের পদত্যাগের পর করণীয় নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী নোদার গতকালই দলের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল। তাঁর জন্য বিষয়টি একটি বড় আঘাত হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। নিম্নকক্ষে এর পরও তাঁর ক্ষমতাসীন দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় থাকলেও এরপর থেকে উচ্চকক্ষে প্রতিটি বিল পাস করানোর ক্ষেত্রে বিরোধীদের সমর্থন জোগাড় করতে হবে তাঁদের।
এক সপ্তাহ আগে বিক্রয়ের ওপর কর বাড়ানোর একটি আইন পার্লামেন্টে পাস হয়। এ আইনে জাপানের ক্রমেই বেড়ে চলা ঋণের বোঝা কমাতে বিক্রয় কর দ্বিগুণ করার কথা বলা হয়। ওজাওয়া এর তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। বিল পাসে যে ৫৭ আইনপ্রণেতা বিরোধিতা করেছিলেন, পদত্যাগী ৫০ জনও তাঁদের মধ্যে ছিলেন।
তবে ওজাওয়ার (৭০) এই পদক্ষেপ অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। ১৯৯৩ সালেও তিনি নিজ দল গঠন করতে লিবারেল ডেমক্রেটিক পার্টি ছেড়ে যান। ডিপিজের ক্ষমতায় আসার পেছনেও মুখ্য ভূমিকা ছিল তাঁর। আবারও একই ধরনের আভাস পাওয়া গেছে। জানা গেছে, তিনি এ সপ্তাহের মধ্যেই নিজের দল গঠন করতে যাচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কর বাড়ানোর চেষ্টার কারণে দল হিসেবে জনসমর্থনের দিক থেকে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে ডিপিজে। টোকিও হিতোতসুবাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিষয়ক অধ্যাপক কোজি নাকাকিতা বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ডিপিজের নেতাদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সময় হয়তো প্রধানমন্ত্রী নোদাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে জনপ্রিয়তা ধরে রাখার চেষ্টা করবে দলটি। দলের নেতৃত্ব থেকে সরে গেলে প্রধানমন্ত্রীত্বও হারাতে হবে নেদাকে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।
ডায়েট নামের পরিচিত জাপানের পার্লামেন্ট দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট। উচ্চকক্ষ হাউস অব কাউন্সিলরস এবং নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস মিলিয়ে মোট ৭২২ আসনের মধ্যে গতকাল ৫০ জন দল থেকে পদত্যাগ করেন। এর মধ্যে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের (৪৮০) সদস্য ৩৮ জন। বাকিরা হাউস অব কাউন্সিলরসের (২৪২) সদস্য। নিম্নকক্ষে সরকারি দলের আসন সংখ্যা ৩০৬ এবং উচ্চকক্ষে ১০৬। ফলে ওজাওয়া ও তাঁর সহযোগীদের পদত্যাগ সরকারের পতন ঘটাবে না।
জাপানের প্রভাবশালী দৈনিক আশাহি শিম্বুনের বৈকালিক সংস্করণে ইয়ামাওকা জানান, ৫২ জন আইনপ্রণেতার পদত্যাগের কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে দুজন তাঁদের মত পাল্টান। দলীয় আইন প্রণেতাদের পদত্যাগের পর করণীয় নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী নোদার গতকালই দলের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল। তাঁর জন্য বিষয়টি একটি বড় আঘাত হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। নিম্নকক্ষে এর পরও তাঁর ক্ষমতাসীন দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় থাকলেও এরপর থেকে উচ্চকক্ষে প্রতিটি বিল পাস করানোর ক্ষেত্রে বিরোধীদের সমর্থন জোগাড় করতে হবে তাঁদের।
এক সপ্তাহ আগে বিক্রয়ের ওপর কর বাড়ানোর একটি আইন পার্লামেন্টে পাস হয়। এ আইনে জাপানের ক্রমেই বেড়ে চলা ঋণের বোঝা কমাতে বিক্রয় কর দ্বিগুণ করার কথা বলা হয়। ওজাওয়া এর তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। বিল পাসে যে ৫৭ আইনপ্রণেতা বিরোধিতা করেছিলেন, পদত্যাগী ৫০ জনও তাঁদের মধ্যে ছিলেন।
তবে ওজাওয়ার (৭০) এই পদক্ষেপ অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। ১৯৯৩ সালেও তিনি নিজ দল গঠন করতে লিবারেল ডেমক্রেটিক পার্টি ছেড়ে যান। ডিপিজের ক্ষমতায় আসার পেছনেও মুখ্য ভূমিকা ছিল তাঁর। আবারও একই ধরনের আভাস পাওয়া গেছে। জানা গেছে, তিনি এ সপ্তাহের মধ্যেই নিজের দল গঠন করতে যাচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কর বাড়ানোর চেষ্টার কারণে দল হিসেবে জনসমর্থনের দিক থেকে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে ডিপিজে। টোকিও হিতোতসুবাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিষয়ক অধ্যাপক কোজি নাকাকিতা বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ডিপিজের নেতাদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সময় হয়তো প্রধানমন্ত্রী নোদাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে জনপ্রিয়তা ধরে রাখার চেষ্টা করবে দলটি। দলের নেতৃত্ব থেকে সরে গেলে প্রধানমন্ত্রীত্বও হারাতে হবে নেদাকে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।
No comments