রাশিয়ায় দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতুর যাত্রা শুরু

বিশ্বের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতুর যাত্রা শুরু হলো রাশিয়ায়। এক হাজার ১০৪ মিটার (৩,৬২২ ফুট) দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মিত হয়েছে পূর্ব বসফরাস প্রণালির ওপর। এর মাধ্যমে দেশটির সবচেয়ে পূর্বাঞ্চলীয় ফারইস্ট অংশের বন্দরনগরী ভ্লাদিভস্তক ও রাসকি দ্বীপের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হলো।


প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ গতকাল সোমবার এর উদ্বোধন করেন।
এ বছর রাশিয়া প্রথমবারের মতো এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক জোটের (অ্যাপেক) শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। আগামী ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর ভ্লাদিভস্তক শহরে এ সম্মেলন হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ আয়োজনকে সামনে রেখে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে তিন হাজার ৩৯০ কোটি রুবল বা ১১০ কোটি ডলার। তবে এএফপির প্রতিবেদনে সেতুটির নির্মাণ ব্যয় দুই হাজার কোটি ডলার উল্লেখ করা হয়েছে।
সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেদভেদেভ বলেন, 'সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ এলাকায় যা উন্নয়ন করেছি আমরা, এর সঙ্গে অবশ্যই অ্যাপেক শীর্ষ সম্মেলনের যোগসূত্র আছে। তবে সম্মেলনের জন্য সেতু নির্মাণ করা হয়নি।' টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ওই ভাষণে মেদভেদেভ জনগণের উদ্দেশে বলেন, 'এটি করা হয়েছে আপনাদের জন্য, এলাকার মানুষের জন্য।' সেতুটি গতকাল উদ্বোধন করা হলেও এখনই তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে না। আপাতত এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে। আগামী ১ আগস্ট সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে। এর আগে সবচেয়ে দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতুর রেকর্ড ছিল চীনের। সেটির দৈর্ঘ্য এক হাজার ৮৮ মিটার।
এএফপি জানিয়েছে, সাবেক সোভিয়েত আমলে পুরো দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন ফারইস্ট অঞ্চলের বন্দরনগরী ভ্লাদিভস্তককে 'রাশিয়ার সান ফ্রান্সিসকো' করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে কোটি কোটি রুবল ব্যয়ে এই সেতু নির্মাণ করা হলো। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করাসহ এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব কমাতে চায় মস্কো। রাশিয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরের সবচেয়ে বড় সমুদ্রবন্দর ভ্লাদিভস্তক। পাশাপাশি রাশিয়ার প্যাসিফিক নৌবহরেরও প্রধান ঘাঁটি এটি। সূত্র : মস্কো টাইমস।

No comments

Powered by Blogger.