আসামসহ তিন রাজ্যে ভয়াবহ বন্যায় ৭৯ জনের মৃত্যু
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে প্রবল বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যায় গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ২২ লাখ মানুষ। গতকাল সোমবার দেশটির কর্মকর্তারা এ খবর দিয়েছেন।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আসাম রাজ্যে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আসাম রাজ্যে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস পার্টির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী গতকাল হেলিকপ্টারে করে এই রাজ্য পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা সেখানে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন।
পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী আসাম রাজ্যের জন্য ৫০০ কোটি রুপির সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা দেন। বন্যায় স্বজনহারা প্রত্যেক পরিবারকে এক লাখ রুপি করে দেওয়ার কথাও ঘোষণা দেন মনমোহন সিং।
আসাম ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশ এবং মণিপুর রাজ্যেও বন্যা দেখা দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আসামে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, রাজ্যের ২৬-২৭টি জেলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে হাজারও বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মাঠঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
আসাম রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, নৌকাডুবি, পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া এবং ভূমিধসে এ পর্যন্ত ৭৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাজার হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে আনুমানিক ২২ লাখ লোক বাড়িঘর ছাড়া হয়েছে। অন্তত পাঁচ লাখ লোক বিভিন্ন অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া লোকজনকে সাহাযার্থে আমরা অস্থায়ী শিবির খুলেছি। আবার অনেকেই উঁচু এলাকাগুলোতে এবং ত্রিপলের তৈরি তাঁবুর ভেতরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের ৭০ শতাংশই পানিতে তলিয়ে গেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব-ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পাওয়া এ পার্কটি বাঘ, এক শিংওয়ালা গন্ডার এবং হাতির জন্য বিখ্যাত।
আসামের পার্শ্ববর্তী রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ এবং মণিপুরেও প্রবল বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। তবে এ দুটি রাজ্যে এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। এএফপি।
পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী আসাম রাজ্যের জন্য ৫০০ কোটি রুপির সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা দেন। বন্যায় স্বজনহারা প্রত্যেক পরিবারকে এক লাখ রুপি করে দেওয়ার কথাও ঘোষণা দেন মনমোহন সিং।
আসাম ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশ এবং মণিপুর রাজ্যেও বন্যা দেখা দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আসামে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, রাজ্যের ২৬-২৭টি জেলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে হাজারও বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মাঠঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
আসাম রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, নৌকাডুবি, পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া এবং ভূমিধসে এ পর্যন্ত ৭৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাজার হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে আনুমানিক ২২ লাখ লোক বাড়িঘর ছাড়া হয়েছে। অন্তত পাঁচ লাখ লোক বিভিন্ন অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া লোকজনকে সাহাযার্থে আমরা অস্থায়ী শিবির খুলেছি। আবার অনেকেই উঁচু এলাকাগুলোতে এবং ত্রিপলের তৈরি তাঁবুর ভেতরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের ৭০ শতাংশই পানিতে তলিয়ে গেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব-ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পাওয়া এ পার্কটি বাঘ, এক শিংওয়ালা গন্ডার এবং হাতির জন্য বিখ্যাত।
আসামের পার্শ্ববর্তী রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ এবং মণিপুরেও প্রবল বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। তবে এ দুটি রাজ্যে এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। এএফপি।
No comments