আর কত প্রাণ বলিদান?
এক দিনে চারটি মৃত্যুর খবর। স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, অপমৃত্যু। বিয়ের ফাঁদে পড়ে ধর্ষণের শিকার রাজশাহীর সীমা ও কুড়িগ্রামের ইসমত আরাকে বেছে নিতে হয়েছে আত্মহত্যার পথ। বরিশালে যৌতুকের বলি দুই গৃহবধূ। রাজশাহীর জান্নাতুন্নেসা সীমা প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে ধর্ষকের পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনের শিকার হয়ে বিষপান করে
জীবনের ইতি টেনেছেন। ধর্ষণের আরেক শিকার ইসমত আরা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শাশুড়ির দেওয়া আগুনে প্রাণ গেছে গৌরনদীর পারুল বেগমের। যৌতুক দিতে না পেরে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া আসমা নিজেই নিজের শরীরে আগুন দিয়ে বেছে নিয়েছেন মৃত্যুর পথ।
একই দিনে চারটি মৃত্যুর খবর আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, সমাজ থেকে এখনো অন্ধকার দূর হয়নি। আমরা সামাজিক সচেতনতার কথা বলি। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করি। কিন্তু আমাদের সমাজ একটুও অগ্রসর হয়েছে বলে মনে হয় না। এ কোন সমাজে বসবাস আমাদের? এখানে যৌতুকের জন্য গৃহবধূর শরীরে আগুন দেওয়া হয়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজের হাতেই তুলে নিতে হয় নিজের জীবন। অন্যদিকে প্রেমের ফাঁদ পেতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনা জানাজানি হলে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীকেই লাঞ্ছিত হতে হয়। নিগ্রহের শিকার হতে হয়। এমনটি ঘটেছে রাজশাহীর সীমার ক্ষেত্রে। রাজশাহীর সীমার সঙ্গে এক স্কুলশিক্ষকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। কোনো পুরুষের সঙ্গে কোনো নারীর প্রেম অস্বাভাবিক নয়। একজন নারী বা পুরুষ পরস্পরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেই পারে। সীমারও স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন ছিল বলেই তো তাঁকে ফাঁদে ফেলা গেছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ধর্ষকের পরিবার তাঁকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি অবগত হওয়ার পরও রহস্যজনকভাবে নীরব থেকেছে। সীমাকে উদ্ধার করার কোনো চেষ্টা করেনি। সীমার মতোই একই মর্মন্তুদ কাহিনী ইসমত আরার। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। যথারীতি ধর্ষণের শিকার হতে হয় তাঁকে। ইসমত আরাও বেছে নেন আত্মহননের পথ। অন্যদিকে বরিশালের বাকেরগঞ্জ ও গৌরনদীর পারুল বেগম ও আসমা বেগম যৌতুকের বলি হয়েছেন।
প্রচলিত আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ দণ্ডনীয় অপরাধ। যৌতুক নেওয়াও দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু সে আইনের প্রয়োগ কতটা আছে সেটাই দেখার বিষয়। এসব অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। সমাজকে যৌতুকের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন। বরিশালে যৌতুকের বলি দুই গৃহবধূর আত্মহত্যা প্ররোচনায় যথোপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত। একই সঙ্গে সীমা ও ইসমত আরার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। এভাবে অকালে আর কত প্রাণ বলি হবে?
একই দিনে চারটি মৃত্যুর খবর আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, সমাজ থেকে এখনো অন্ধকার দূর হয়নি। আমরা সামাজিক সচেতনতার কথা বলি। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করি। কিন্তু আমাদের সমাজ একটুও অগ্রসর হয়েছে বলে মনে হয় না। এ কোন সমাজে বসবাস আমাদের? এখানে যৌতুকের জন্য গৃহবধূর শরীরে আগুন দেওয়া হয়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজের হাতেই তুলে নিতে হয় নিজের জীবন। অন্যদিকে প্রেমের ফাঁদ পেতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনা জানাজানি হলে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীকেই লাঞ্ছিত হতে হয়। নিগ্রহের শিকার হতে হয়। এমনটি ঘটেছে রাজশাহীর সীমার ক্ষেত্রে। রাজশাহীর সীমার সঙ্গে এক স্কুলশিক্ষকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। কোনো পুরুষের সঙ্গে কোনো নারীর প্রেম অস্বাভাবিক নয়। একজন নারী বা পুরুষ পরস্পরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেই পারে। সীমারও স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন ছিল বলেই তো তাঁকে ফাঁদে ফেলা গেছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ধর্ষকের পরিবার তাঁকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি অবগত হওয়ার পরও রহস্যজনকভাবে নীরব থেকেছে। সীমাকে উদ্ধার করার কোনো চেষ্টা করেনি। সীমার মতোই একই মর্মন্তুদ কাহিনী ইসমত আরার। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। যথারীতি ধর্ষণের শিকার হতে হয় তাঁকে। ইসমত আরাও বেছে নেন আত্মহননের পথ। অন্যদিকে বরিশালের বাকেরগঞ্জ ও গৌরনদীর পারুল বেগম ও আসমা বেগম যৌতুকের বলি হয়েছেন।
প্রচলিত আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ দণ্ডনীয় অপরাধ। যৌতুক নেওয়াও দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু সে আইনের প্রয়োগ কতটা আছে সেটাই দেখার বিষয়। এসব অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। সমাজকে যৌতুকের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন। বরিশালে যৌতুকের বলি দুই গৃহবধূর আত্মহত্যা প্ররোচনায় যথোপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত। একই সঙ্গে সীমা ও ইসমত আরার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। এভাবে অকালে আর কত প্রাণ বলি হবে?
No comments