সরকারের সামনে আশু চ্যালেঞ্জ
বাজারে ভোজ্য তেলের সংকট ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে ১৫ দিন অন্তর বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করার জন্য সরকার যে কমিটি করে দিয়েছিল, গত দেড় মাসেও তার কোনো বৈঠক হয়নি। কমিটির ব্যবসায়ী সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত হন না।
শুধু তাই নয়, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আমদানিকারক ও মিল মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করলেও ব্যবসায়ীরা সে আমন্ত্রণ এড়িয়ে চলেছেন। সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বরে বৈঠকে যে দাম নির্ধারিত হয়েছিল, বর্তমানে তার চেয়ে লিটারপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহেই লিটারপ্রতি পাঁচ থেকে আট টাকা দাম বেড়েছে। এদিকে ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেলের আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তথ্যে দেখা যায়, গত ডিসেম্বরের তুলনায় তেল আমদানির এলসি বা ঋণপত্রের পরিমাণ অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় সয়াবিন তেলের বড় ধরনের সংকট যে অত্যাসন্ন তা মোটামুটি নিশ্চিত।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, সরকার ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারের অক্ষমতা ক্রমেই দৃষ্টিকটু পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। আর এ অক্ষমতা ঢাকার জন্য মন্ত্রীদের অসংলগ্ন বক্তব্যের ওপর মানুষের কোনো আস্থা তো নেই-ই, বরং তা মানুষের মনে বিরক্তির উদ্রেক করে। টিসিবিকে কার্যকর করে বাজারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে_দুই বছরে আমরা তার কী নজির দেখতে পেয়েছি? অথর্ব টিসিবি অথর্বই রয়ে গেছে। দরিদ্রদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। কোথায় সেই রেশনিং ব্যবস্থা? খোলাবাজারে বিক্রি বা ওএমএসের কিছু ট্রাক এখানে-সেখানে মাঝেমধ্যে দেখা যায়। ট্রাকের পেছনে দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। সেই লাইনে শুধু দরিদ্র শ্রেণী নয়, নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষও অংশ নিতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ লাইন শেষ হওয়ার আগেই চাল শেষ হয়ে যায়। জনপ্রতি পাঁচ কেজির বদলে এখন তিন কেজি করে চাল দেওয়া হয়। তার পরও অনেককেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়। ওএমএসের চাল গোপনে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। টিআর, কাবিখা প্রকল্পও ঠিকমতো কাজ করছে না। কাজেই আমরা এখন আর বলতে পারছি না, এ ব্যাপারে সরকার তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সফল হয়েছে।
একটা কথা সরকারের মনে রাখা প্রয়োজন, দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে না পারলে সাধারণ মানুষের হুঁশ-দিশা অনেকটাই চলে যায়। তখন বড় বড় প্রকল্পের যত ভালো দিকই তাদের সামনে তুলে ধরা হোক না কেন, তা তাদের ভেঙে যাওয়া ধৈর্যের বাঁধকে মেরামত করতে পারে না। প্রথমত, খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, আসন্ন গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংকট যে পর্যায়ে পেঁৗছাবে_তা সরকারের জন্য মোটেও সুখকর হবে না। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে বলা যায়, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই সরকার সাধারণ মানুষের ধৈর্যচ্যুতির চরম বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাবে। তাদের শক্তিশালী মসনদও যে তাতে নড়ে উঠবে_সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা মনে করি, যেকোনো মূল্যে সরকারকে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। টিসিবিকে অবিলম্বে কার্যকর ভূমিকায় নামানো প্রয়োজন। দরিদ্র ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা অবিলম্বে চালু করতে হবে। গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ছাড়া অন্যান্য বড় অবকাঠামো নির্মাণের চিন্তাভাবনা আপাতত স্থগিত রেখে হলেও দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের অসহনীয় দুর্ভোগ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা জরুরি।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, সরকার ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারের অক্ষমতা ক্রমেই দৃষ্টিকটু পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। আর এ অক্ষমতা ঢাকার জন্য মন্ত্রীদের অসংলগ্ন বক্তব্যের ওপর মানুষের কোনো আস্থা তো নেই-ই, বরং তা মানুষের মনে বিরক্তির উদ্রেক করে। টিসিবিকে কার্যকর করে বাজারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে_দুই বছরে আমরা তার কী নজির দেখতে পেয়েছি? অথর্ব টিসিবি অথর্বই রয়ে গেছে। দরিদ্রদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। কোথায় সেই রেশনিং ব্যবস্থা? খোলাবাজারে বিক্রি বা ওএমএসের কিছু ট্রাক এখানে-সেখানে মাঝেমধ্যে দেখা যায়। ট্রাকের পেছনে দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। সেই লাইনে শুধু দরিদ্র শ্রেণী নয়, নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষও অংশ নিতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ লাইন শেষ হওয়ার আগেই চাল শেষ হয়ে যায়। জনপ্রতি পাঁচ কেজির বদলে এখন তিন কেজি করে চাল দেওয়া হয়। তার পরও অনেককেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়। ওএমএসের চাল গোপনে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। টিআর, কাবিখা প্রকল্পও ঠিকমতো কাজ করছে না। কাজেই আমরা এখন আর বলতে পারছি না, এ ব্যাপারে সরকার তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সফল হয়েছে।
একটা কথা সরকারের মনে রাখা প্রয়োজন, দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে না পারলে সাধারণ মানুষের হুঁশ-দিশা অনেকটাই চলে যায়। তখন বড় বড় প্রকল্পের যত ভালো দিকই তাদের সামনে তুলে ধরা হোক না কেন, তা তাদের ভেঙে যাওয়া ধৈর্যের বাঁধকে মেরামত করতে পারে না। প্রথমত, খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, আসন্ন গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংকট যে পর্যায়ে পেঁৗছাবে_তা সরকারের জন্য মোটেও সুখকর হবে না। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে বলা যায়, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই সরকার সাধারণ মানুষের ধৈর্যচ্যুতির চরম বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাবে। তাদের শক্তিশালী মসনদও যে তাতে নড়ে উঠবে_সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা মনে করি, যেকোনো মূল্যে সরকারকে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। টিসিবিকে অবিলম্বে কার্যকর ভূমিকায় নামানো প্রয়োজন। দরিদ্র ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা অবিলম্বে চালু করতে হবে। গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ছাড়া অন্যান্য বড় অবকাঠামো নির্মাণের চিন্তাভাবনা আপাতত স্থগিত রেখে হলেও দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের অসহনীয় দুর্ভোগ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা জরুরি।
No comments