পুরনো প্রকল্পগুলোর অভিযোগ তদন্তেও বিশ্বব্যাংকের চাপ by রেজা রায়হান ও পার্থ সারথি দাস
বিশ্বব্যাংক তাদের অর্থে বাস্তবায়িত যোগাযোগ খাতের পুরনো কিছু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের ব্যাপারে নতুন করে চাপ দিচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক পুরনো কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে তদন্তের অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে চাপ দেয়। এরপর দেড় মাস ধরে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনে নতুন করে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত ইআরডির এক চিঠির পর গত ১৭ মে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় বৈঠকও করেছে।
জানা যায়, পুরনো এসব প্রকল্পে কী ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়েছে, তা খুঁজতে গিয়ে গলদঘর্ম হচ্ছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। অভিযোগ উঠেছে, মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দুই বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে ছয়টি প্রকল্পে দুর্নীতি অনুসন্ধানের অবস্থাও সরকারের কাছে নেই। এ অবস্থায় সর্বশেষ এক সপ্তাহ আগে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে অনুরোধ করেছে।
অনুসন্ধান করে জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের শুরু প্রায় সাত বছর আগে। ২০০৫ সালের শেষ দিকে সংস্থাটি তাদের অর্থায়নে নেওয়া কিছু প্রকল্পে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। এরপর বিভিন্ন সময় সংস্থাটি এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক চাপা দেয়। এর মধ্যে ২০০৮ সালে তারা দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ছয়টি প্রকল্পের বিরুদ্ধে। এর পাঁচটিই যোগাযোগ খাতের। প্রকল্পগুলো হলো ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট, জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-নয়াপুর জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্প (ঢাকা বাইপাস), ঢাকা জেলাধীন দেবগ্রাম-প্রগতি সরণি সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, নকলা-হাটিকুমরুল-বনপাড়া সড়ক প্রকল্প ও ঢাকা মহানগরী তৃতীয় সড়ক প্রকল্প। গত বছরের ২৭ মে বিশ্বব্যাংকের ইন্টিগ্রিটি ভাইস প্রেসিডেন্ট লিওনার্দ এফ ম্যাকার্থি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে লেখা এক চিঠিতে তদন্তের অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে চান।
জানা যায়, সম্প্রতি আবারও বিশ্বব্যাংক মৌখিকভাবে জানতে চায় তদন্তের কী হলো। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) তদন্তের সর্বশেষ অবস্থার তথ্য জানতে গত ১৫ মে চিঠি দেয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় গত ১৭ মে জরুরি এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকেও বসে। কিন্তু প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেনি। এরপর প্রকল্পের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক কী ধরনের অভিযোগ তুলেছিল তা বিস্তারিত জানতে ইআরডিকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে উপসচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে জানান, বিশ্বব্যাংক তাদের অর্থায়নে বাস্তবায়িত এসব প্রকল্পে তাদের তোলা দুর্নীতির ব্যাপারে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা ইআরডির কাছে জানতে চাইলে ইআরডি থেকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আরাস্ত খান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা এসব প্রকল্পে তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।'
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আজহারুল ইসলাম খান বলেন, 'বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের একটি চিঠির সূত্র ধরে ইআরডি আমাদের চিঠি দিয়েছিল। এর মধ্যে আমরা ইআরডির সংশ্লিষ্ট বিভাগে পরপর দুইবার রিমাইন্ডার দিয়েছি আরো বিস্তারিত তথ্য জানানোর জন্য।'
জানা যায়, ২০০৫ সাল থেকে নেতিবাচক অবস্থানে থাকলেও বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বব্যাংক আগের 'কঠিন' অবস্থান থেকে সরে আসে। সংস্থাটি বলতে গেলে স্বেচ্ছায় সরকারের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়, ঋণচুক্তি স্বাক্ষরও করে। কিন্তু ঋণচুক্তির চার মাসের ব্যবধানেই সংস্থাটি দুর্নীতির অভিযোগ তোলে।
জানা যায়, হাটিকুমরুল-বনপাড়া সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে প্রায় ১৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ, এ প্রকল্পের অধীন সিরাজগঞ্জ থেকে নাটোর পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে ১৩ কোটি ৯০ লাখ ৯ হাজার ৪৪৮ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৯ ডিসেম্বর এ বিষয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল সওজের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, সাবেক প্রকল্প ব্যবস্থাপক এম শরিফ-উল ইসলাম, কোয়ান্টিটি ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হক খান, ডেপুটি টিম লিডার এ এইচ রফিকুস সালেহীন, রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আবদুল ফাত্তাহ প্রমুখকে। দুদকের তখনকার উপপরিচালক আবদুল আজিজ ভুঁইয়া আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন।
ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের আওতায় মহাখালী ফ্লাইওভার নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক বলছে, সিএফএমএমসি নামের চীনা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। সওজের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে এ প্রকল্প থেকে অর্থ নিয়েছিলেন। এ অভিযোগের ব্যাপারে তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল দুদকের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদকে। জানা গেছে, তদন্তে বিশ্বব্যাংকের তোলা অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। এ তদন্তকাজ শেষ হয়ে গেছে। তবে দুদকের তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শাহাবুদ্দিনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি আরো অনুসন্ধান করা যায়।
জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-নয়াপুর জাতীয় মহাসড়ক (ঢাকা বাইপাস) প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক অভিযোগ করেছিল, এ প্রকল্পের আওতায় তিনটি ভুয়া বিল পেশ করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ মিটার সড়কের ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট কাজের বিপরীতে অতিরিক্ত দুই লাখ ৯১ হাজার ৭৩৫ টাকা, ৫০০ মিটার সড়কের কাজে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৮ টাকা ও আরো ১৫০ মিটার সড়কের কাজে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকার ভুয়া বিল করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ প্রকল্প ও অন্যগুলোর ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের তোলা অভিযোগের তদন্ত চলছে দুদকে।
এসব প্রকল্পের তদন্ত কর্মকর্তাদের একজন দুদক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা এ মুহূর্তে এসব প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে আমি অনুসন্ধান করেছি।'
দুদকের কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপপু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা দুর্নীতি দমনে সব সময় সচেষ্ট আছি। তবে অভিযোগের ভিত্তি হতে হবে শক্ত।'
জানা যায়, পুরনো এসব প্রকল্পে কী ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়েছে, তা খুঁজতে গিয়ে গলদঘর্ম হচ্ছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। অভিযোগ উঠেছে, মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দুই বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে ছয়টি প্রকল্পে দুর্নীতি অনুসন্ধানের অবস্থাও সরকারের কাছে নেই। এ অবস্থায় সর্বশেষ এক সপ্তাহ আগে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে অনুরোধ করেছে।
অনুসন্ধান করে জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের শুরু প্রায় সাত বছর আগে। ২০০৫ সালের শেষ দিকে সংস্থাটি তাদের অর্থায়নে নেওয়া কিছু প্রকল্পে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। এরপর বিভিন্ন সময় সংস্থাটি এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক চাপা দেয়। এর মধ্যে ২০০৮ সালে তারা দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ছয়টি প্রকল্পের বিরুদ্ধে। এর পাঁচটিই যোগাযোগ খাতের। প্রকল্পগুলো হলো ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট, জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-নয়াপুর জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্প (ঢাকা বাইপাস), ঢাকা জেলাধীন দেবগ্রাম-প্রগতি সরণি সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, নকলা-হাটিকুমরুল-বনপাড়া সড়ক প্রকল্প ও ঢাকা মহানগরী তৃতীয় সড়ক প্রকল্প। গত বছরের ২৭ মে বিশ্বব্যাংকের ইন্টিগ্রিটি ভাইস প্রেসিডেন্ট লিওনার্দ এফ ম্যাকার্থি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে লেখা এক চিঠিতে তদন্তের অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে চান।
জানা যায়, সম্প্রতি আবারও বিশ্বব্যাংক মৌখিকভাবে জানতে চায় তদন্তের কী হলো। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) তদন্তের সর্বশেষ অবস্থার তথ্য জানতে গত ১৫ মে চিঠি দেয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় গত ১৭ মে জরুরি এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকেও বসে। কিন্তু প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেনি। এরপর প্রকল্পের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক কী ধরনের অভিযোগ তুলেছিল তা বিস্তারিত জানতে ইআরডিকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে উপসচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে জানান, বিশ্বব্যাংক তাদের অর্থায়নে বাস্তবায়িত এসব প্রকল্পে তাদের তোলা দুর্নীতির ব্যাপারে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা ইআরডির কাছে জানতে চাইলে ইআরডি থেকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আরাস্ত খান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা এসব প্রকল্পে তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।'
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আজহারুল ইসলাম খান বলেন, 'বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের একটি চিঠির সূত্র ধরে ইআরডি আমাদের চিঠি দিয়েছিল। এর মধ্যে আমরা ইআরডির সংশ্লিষ্ট বিভাগে পরপর দুইবার রিমাইন্ডার দিয়েছি আরো বিস্তারিত তথ্য জানানোর জন্য।'
জানা যায়, ২০০৫ সাল থেকে নেতিবাচক অবস্থানে থাকলেও বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বব্যাংক আগের 'কঠিন' অবস্থান থেকে সরে আসে। সংস্থাটি বলতে গেলে স্বেচ্ছায় সরকারের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়, ঋণচুক্তি স্বাক্ষরও করে। কিন্তু ঋণচুক্তির চার মাসের ব্যবধানেই সংস্থাটি দুর্নীতির অভিযোগ তোলে।
জানা যায়, হাটিকুমরুল-বনপাড়া সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে প্রায় ১৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ, এ প্রকল্পের অধীন সিরাজগঞ্জ থেকে নাটোর পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে ১৩ কোটি ৯০ লাখ ৯ হাজার ৪৪৮ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৯ ডিসেম্বর এ বিষয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল সওজের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, সাবেক প্রকল্প ব্যবস্থাপক এম শরিফ-উল ইসলাম, কোয়ান্টিটি ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হক খান, ডেপুটি টিম লিডার এ এইচ রফিকুস সালেহীন, রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আবদুল ফাত্তাহ প্রমুখকে। দুদকের তখনকার উপপরিচালক আবদুল আজিজ ভুঁইয়া আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন।
ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের আওতায় মহাখালী ফ্লাইওভার নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক বলছে, সিএফএমএমসি নামের চীনা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। সওজের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে এ প্রকল্প থেকে অর্থ নিয়েছিলেন। এ অভিযোগের ব্যাপারে তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল দুদকের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদকে। জানা গেছে, তদন্তে বিশ্বব্যাংকের তোলা অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। এ তদন্তকাজ শেষ হয়ে গেছে। তবে দুদকের তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শাহাবুদ্দিনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি আরো অনুসন্ধান করা যায়।
জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-নয়াপুর জাতীয় মহাসড়ক (ঢাকা বাইপাস) প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক অভিযোগ করেছিল, এ প্রকল্পের আওতায় তিনটি ভুয়া বিল পেশ করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ মিটার সড়কের ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট কাজের বিপরীতে অতিরিক্ত দুই লাখ ৯১ হাজার ৭৩৫ টাকা, ৫০০ মিটার সড়কের কাজে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৮ টাকা ও আরো ১৫০ মিটার সড়কের কাজে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকার ভুয়া বিল করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ প্রকল্প ও অন্যগুলোর ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের তোলা অভিযোগের তদন্ত চলছে দুদকে।
এসব প্রকল্পের তদন্ত কর্মকর্তাদের একজন দুদক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা এ মুহূর্তে এসব প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে আমি অনুসন্ধান করেছি।'
দুদকের কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপপু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা দুর্নীতি দমনে সব সময় সচেষ্ট আছি। তবে অভিযোগের ভিত্তি হতে হবে শক্ত।'
No comments