সবার আগে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হতে হবে-বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেনের বাংলাদেশ সফরসূচি পিছিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য সুখবর হতে পারে, যদি দেশটি রাখাইন রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক থাকে। মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী (সে দেশে পররাষ্ট্রসচিবের পদমর্যাদা) উ মং মিন্ট সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছিলেন আনুষ্ঠানিক বৈঠকে যোগ দিতে।
জানিয়েছেন, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রেসিডেন্ট নিজে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন। এ কারণেই ১৫ জুলাইয়ের সফরটি তাঁরা পিছিয়ে নিতে চান। বাংলাদেশ মিয়ানমার সরকারের বক্তব্যে আস্থাশীল, যদিও দেশটি অতীতে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।
উ মং মিন্টের ঢাকা সফরকালে দ্বিপক্ষীয়, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েসের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, তা ইতিবাচক। মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার শর্তে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে। তবে শর্ত জুড়ে দিয়েছে, তারা যে প্রকৃতই মিয়ানমারের নাগরিক, সে বিষয়টি নিশ্চিত হতে চায়। এর আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসকারী ২৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর মধ্যে সাড়ে ১২ হাজারকে নিজেদের নাগরিক বলে স্বীকার করেও মিয়ানমার সরকার তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করেনি। ক্যাম্পের বাইরে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকাও ন্যায়ানুগ নয় বলে আমরা মনে করি। তারা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে চাপ দিলেও মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তাদের জোরালো কণ্ঠ শুনতে পাওয়া যায় না।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যাটি পুরোপুরি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। তার পরও বাংলাদেশ মানবিক কারণে দুই দশক ধরে শরণার্থীদের বোঝা বহন করে এসেছে। এবারে বাংলাদেশ নতুন করে শরণার্থী না নিলেও আহত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা এবং বুভুক্ষু নারী, পুরুষ ও শিশুদের খাবারের ব্যবস্থা করেছে।
আমরা আশা করি, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমার অস্বীকারের সংস্কৃতি পরিহার করে দ্রুত তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। অন্তত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে দেশটির প্রতিনিধি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা রক্ষা করা মিয়ানমার সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার শর্তে শরণার্থীদের ফেরত নেওয়ার কথা বলেছে। আর সেটি তখনই সম্ভব যখন মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতি দমনপীড়ন বন্ধ করবে।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে আসার আগেই রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যোগাযোগ বাড়লে দুই দেশের মানুষই লাভবান হবে। সমুদ্রসীমা নির্ধারণে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পর মিয়ানমার সরকার যে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ অন্যান্য ব্যাপারেও তাদের অনুরূপ মনোভাব প্রত্যাশিত।
উ মং মিন্টের ঢাকা সফরকালে দ্বিপক্ষীয়, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েসের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, তা ইতিবাচক। মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার শর্তে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে। তবে শর্ত জুড়ে দিয়েছে, তারা যে প্রকৃতই মিয়ানমারের নাগরিক, সে বিষয়টি নিশ্চিত হতে চায়। এর আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসকারী ২৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর মধ্যে সাড়ে ১২ হাজারকে নিজেদের নাগরিক বলে স্বীকার করেও মিয়ানমার সরকার তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করেনি। ক্যাম্পের বাইরে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকাও ন্যায়ানুগ নয় বলে আমরা মনে করি। তারা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে চাপ দিলেও মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তাদের জোরালো কণ্ঠ শুনতে পাওয়া যায় না।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যাটি পুরোপুরি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। তার পরও বাংলাদেশ মানবিক কারণে দুই দশক ধরে শরণার্থীদের বোঝা বহন করে এসেছে। এবারে বাংলাদেশ নতুন করে শরণার্থী না নিলেও আহত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা এবং বুভুক্ষু নারী, পুরুষ ও শিশুদের খাবারের ব্যবস্থা করেছে।
আমরা আশা করি, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমার অস্বীকারের সংস্কৃতি পরিহার করে দ্রুত তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। অন্তত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে দেশটির প্রতিনিধি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা রক্ষা করা মিয়ানমার সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার শর্তে শরণার্থীদের ফেরত নেওয়ার কথা বলেছে। আর সেটি তখনই সম্ভব যখন মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতি দমনপীড়ন বন্ধ করবে।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে আসার আগেই রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যোগাযোগ বাড়লে দুই দেশের মানুষই লাভবান হবে। সমুদ্রসীমা নির্ধারণে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পর মিয়ানমার সরকার যে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ অন্যান্য ব্যাপারেও তাদের অনুরূপ মনোভাব প্রত্যাশিত।
No comments