রমজানে বাজারের দুষ্টচক্র রুখতে কঠোর নির্দেশনা by আবুল কাশেম
'ব্যবসায়ীদের দুষ্টচক্র' রুখতে রমজান মাস শুরুর আগেই বাজারে বাজারে মোবাইল কোর্ট পাঠাতে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া খাদ্যপণ্য ও বিপণন নিয়ে সব ধরনের আইন পুরোপুরি কার্যকর করতে একটি পরিপত্রও জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন বাতিল, পণ্য বাজেয়াপ্তসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠির মাধ্যমে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনারও নির্দেশনা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শওকত আলী ওয়ারেছী স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, 'কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ী রমজান মাসে ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় নানা ধরনের কারসাজি করে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্য বিনষ্টের মাধ্যমে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি করে ক্রেতার দুর্ভোগ বাড়িয়ে তোলে। এই দুষ্টচক্র সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপকে অকার্যকর করার পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।' তাই আমদানিনির্ভর ভোগ্যপণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিবিড় তদারকির জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকসহ এ-সংক্রান্ত বিধানগুলোর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য রমজান মাস শুরুর আগে থেকেই মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯-এর আওতায় নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের প্রত্যেক পরিবেশক/পাইকার পণ্য সংগ্রহের সময় পাকা রসিদ সংগ্রহ এবং খুচরা ব্যবসায়ীদেরও এসব পণ্য বিক্রির বিপরীতে পাকা রসিদ প্রদান বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ের হিসাব সংরক্ষণ করার বিষয়ে বলা হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সব খুচরা বিক্রেতাকে বিক্রিতব্য পণ্যের খুচরা মূল্য তাদের প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিগ্রাহ্যভাবে প্রদর্শন করতে হবে। খুচরা পর্যায়ে পণ্যের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা থাকলে তার বেশি দামে পণ্য বিক্রি করা যাবে না। খুচরা বিক্রেতাদেরও পাকা রসিদের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে হবে। পণ্য পরিমাপে উৎপাদক, আমদানিকারক, পরিশোধক, পাইকার, পরিবেশক কোনো পর্যায়েই মণ, সের ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। মেট্রিক পদ্ধতির ব্যবহার বাধ্যতামূলক এবং তরল ও গ্যাসীয় পণ্য পরিমাপের ক্ষেত্রে একমাত্র লিটার একক এবং অন্য ক্ষেত্রে কেজি/গ্রাম একক ব্যবহার করতে হবে। পর্যায়ক্রমে সব পরিমাণের পণ্য মোড়কজাত করে বিপণনের ব্যবস্থা করতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণনে বিষয়োক্ত আইন ও আদেশগুলোর কোনো ব্যত্যয় ঘটলে এ-সংক্রান্ত আইন, আদেশ ও বিধিমালার আলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স/নিবন্ধন সাময়িকভাবে বাতিল, পণ্য বাজেয়াপ্তসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে ওই পরিপত্রে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর সহনীয় রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় পণ্যের সহজলভ্যতা ও মানসম্পন্ন পণ্য বাজারজাত নিশ্চিত করতে এ-সংক্রান্ত সব আইন ও বিধান কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত এক পত্রে রোজায় প্রয়োজনীয় ৩০টি পণ্য মজুদ, আমদানি, সরবরাহের বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি কিছু কার্যক্রম নিয়েও কয়েকটি সুপারিশ করা হয়। সেখানে পণ্যের সহজলভ্যতার স্বার্থে প্রয়োজনে আমদানিনীতি, আদেশ সংশোধনের বিষয় উল্লেখ করা হয়। তার ভিত্তিতে পণ্য বিপণনের সব পর্যায়ে কন্ট্রোল অব এসেনশিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট-১৯৫৬, অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যাদি নিয়ন্ত্রণ আদেশ-১৯৮১ ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ-২০১১ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুসরণেরও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের প্রত্যেক পরিবেশক/পাইকার পণ্য সংগ্রহের সময় পাকা রসিদ সংগ্রহ এবং খুচরা ব্যবসায়ীদেরও এসব পণ্য বিক্রির বিপরীতে পাকা রসিদ প্রদান বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ের হিসাব সংরক্ষণ করার বিষয়ে বলা হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সব খুচরা বিক্রেতাকে বিক্রিতব্য পণ্যের খুচরা মূল্য তাদের প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিগ্রাহ্যভাবে প্রদর্শন করতে হবে। খুচরা পর্যায়ে পণ্যের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা থাকলে তার বেশি দামে পণ্য বিক্রি করা যাবে না। খুচরা বিক্রেতাদেরও পাকা রসিদের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে হবে। পণ্য পরিমাপে উৎপাদক, আমদানিকারক, পরিশোধক, পাইকার, পরিবেশক কোনো পর্যায়েই মণ, সের ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। মেট্রিক পদ্ধতির ব্যবহার বাধ্যতামূলক এবং তরল ও গ্যাসীয় পণ্য পরিমাপের ক্ষেত্রে একমাত্র লিটার একক এবং অন্য ক্ষেত্রে কেজি/গ্রাম একক ব্যবহার করতে হবে। পর্যায়ক্রমে সব পরিমাণের পণ্য মোড়কজাত করে বিপণনের ব্যবস্থা করতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণনে বিষয়োক্ত আইন ও আদেশগুলোর কোনো ব্যত্যয় ঘটলে এ-সংক্রান্ত আইন, আদেশ ও বিধিমালার আলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স/নিবন্ধন সাময়িকভাবে বাতিল, পণ্য বাজেয়াপ্তসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে ওই পরিপত্রে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর সহনীয় রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় পণ্যের সহজলভ্যতা ও মানসম্পন্ন পণ্য বাজারজাত নিশ্চিত করতে এ-সংক্রান্ত সব আইন ও বিধান কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত এক পত্রে রোজায় প্রয়োজনীয় ৩০টি পণ্য মজুদ, আমদানি, সরবরাহের বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি কিছু কার্যক্রম নিয়েও কয়েকটি সুপারিশ করা হয়। সেখানে পণ্যের সহজলভ্যতার স্বার্থে প্রয়োজনে আমদানিনীতি, আদেশ সংশোধনের বিষয় উল্লেখ করা হয়। তার ভিত্তিতে পণ্য বিপণনের সব পর্যায়ে কন্ট্রোল অব এসেনশিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট-১৯৫৬, অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যাদি নিয়ন্ত্রণ আদেশ-১৯৮১ ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ-২০১১ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুসরণেরও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
No comments