চট্টগ্রামের অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ, কালুরঘাট থেকে বহদ্দারহাট-খানাখন্দে ভরা সড়ক by একরামুল হক
চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ এবং কালুরঘাট থেকে বহদ্দারহাট এলাকা পর্যন্ত সড়কে কিছু দূর পর পরই বিরাট বিরাট গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দের ওপর দিয়েই প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করছে। গর্তে আটকে গাড়ির যন্ত্র নষ্ট হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণ ও পথচারীদের।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন—এর কোনোটিই সড়ক দুটি সংস্কারের দায় স্বীকার করছে না।
সিডিএ বলছে, তারা সড়ক দুটি নির্মাণ করে সিটি করপোরেশনের কাছে মালিকানা হস্তান্তর করেছে। তাই সংস্কারকাজের দায় সিটি করপোরেশনকে নিতে হবে।
অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের দাবি, সিডিএ সড়ক দুটির মালিকানা তাদের কাছে হস্তান্তর করেনি। মালিকানা বুঝে না পাওয়ায় সিটি করপোরেশন সড়ক দুটির সংস্কারকাজ করতে পারে না, এই কাজের দায়িত্ব সিডিএর ওপর বর্তায়।
এ ছাড়া সওজও এর দায়িত্ব অস্বীকার করেছে।
এই তিন পক্ষের ঠেলাঠেলিতে গত দুই বছরে সড়ক দুটির সংস্কারকাজ হয়নি।
নগর পুলিশের যানবাহন শাখার উপকমিশনার কুসুম দেওয়ান এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ এবং কালুরঘাট থেকে বহদ্দারহাট সড়কের অবস্থা খুবই করুণ। প্রতিদিন এই দুটি সড়কে তিন-চারটি বড় আকারের গাড়ি গর্তে পড়ে আটকে যাচ্ছে।’
কুসুম দেওয়ান বলেন, ‘এই দুটি সড়কের মালিকানা নিয়ে রশি টানাটানি চলছে। অথচ প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি দুটি সড়ক দিয়ে চলাচল করে। আমরা সিডিএ, সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সড়কগুলো সংস্কারের তাগিদ দিয়েছি। একটি সংস্থা অন্য সংস্থার ওপর দায় চাপাচ্ছে, যে কারণে অনেক দিন ধরে এই দুটি সড়কের কোনো সংস্কার হচ্ছে না।’
রাজধানী ঢাকা কিংবা অন্য জেলা থেকে ছেড়ে আসা বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের গাড়ি নগরের ষোলশহর থেকে অক্সিজেন হয়ে কুয়াইশ সড়ক দিয়ে কালুরঘাট সেতু পার হয়। অথচ সরেজমিনে দেখা গেছে, অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কের অবস্থা এতটাই খারাপ যে অক্সিজেন থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর এই সড়কটিকে পাকা সড়ক বলে মনেই হয় না। ওই অংশে পিচ ঢালাইয়ের কোনো চিহ্ন নেই। কাদামাটি ও ইটের টুকরোর ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। এই সড়কের পাশেই তৈরি হচ্ছে সিডিএর একটি আবাসিক প্রকল্প।
অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ পর্যন্ত সড়কের তামান্না আবাসিক এলাকাসংলগ্ন অংশে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
রাউজানের নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃষ্টি হলে কালুরঘাটের বাহার সিগন্যাল থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় চরম ভোগান্তির শিকার হই। অথচ সিটি করপোরেশন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির কোনো সংস্কার করছে না। শহরে প্রবেশের বিকল্প হিসেবে কুয়াইশ-অক্সিজেন সড়কটিরও বেহাল অবস্থা। আসলে আমাদের দুর্দশা দেখার কেউ নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘অক্সিজেন-কুয়াইশ এবং কালুরঘাট-বহদ্দারহাট সড়কের মালিকানা সিটি করপোরেশন ও সিডিএর। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মেরামতের দায়িত্ব আমরা কেন নেব?’
সিডিএর চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কালুরঘাট থেকে বাহার সিগন্যাল পর্যন্ত সড়কের উন্নয়নকাজ করছি। তবে বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে বহদ্দারহাট মোড় পর্যন্ত সড়কটি কার্পেটিং করতে সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করেছি। তারা সংস্কার করে দেবে বলে আমাকে জানিয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিডিএর চেয়ারম্যান বলেন, সড়কের সংস্কার বা মেরামত করা সিডিএর কাজ নয়। সিডিএ নতুন রাস্তা ও নালা-নর্দমা বানিয়ে দেয়। সংস্কার বা মেরামত করবে সিটি করপোরেশন। তেমনি অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ পর্যন্ত সড়কটি সিডিএ বানিয়ে দিয়ে সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে সিটি মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কুয়াইশ-অক্সিজেন ও বহদ্দারহাট-কালুরঘাট সড়ক দুটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নিজস্ব অর্থায়নে মেরামত করছে। আমার জানা মতে, বহদ্দারহাট-কালুরঘাট সড়কের মৌলভি পুকুর পাড় এলাকায় চউক কাজও শুরু করেছে।’
সিডিএ সড়ক দুটি চসিককে হস্তান্তর করেছে কি না, জানতে চাইলে আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘এখনো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। সিডিএ কাজ শেষ করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা সংস্কার করতে পারি। এর আগে আমাদের পক্ষে কোনো সংস্কারকাজ করা সম্ভব নয়।’
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন—এর কোনোটিই সড়ক দুটি সংস্কারের দায় স্বীকার করছে না।
সিডিএ বলছে, তারা সড়ক দুটি নির্মাণ করে সিটি করপোরেশনের কাছে মালিকানা হস্তান্তর করেছে। তাই সংস্কারকাজের দায় সিটি করপোরেশনকে নিতে হবে।
অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের দাবি, সিডিএ সড়ক দুটির মালিকানা তাদের কাছে হস্তান্তর করেনি। মালিকানা বুঝে না পাওয়ায় সিটি করপোরেশন সড়ক দুটির সংস্কারকাজ করতে পারে না, এই কাজের দায়িত্ব সিডিএর ওপর বর্তায়।
এ ছাড়া সওজও এর দায়িত্ব অস্বীকার করেছে।
এই তিন পক্ষের ঠেলাঠেলিতে গত দুই বছরে সড়ক দুটির সংস্কারকাজ হয়নি।
নগর পুলিশের যানবাহন শাখার উপকমিশনার কুসুম দেওয়ান এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ এবং কালুরঘাট থেকে বহদ্দারহাট সড়কের অবস্থা খুবই করুণ। প্রতিদিন এই দুটি সড়কে তিন-চারটি বড় আকারের গাড়ি গর্তে পড়ে আটকে যাচ্ছে।’
কুসুম দেওয়ান বলেন, ‘এই দুটি সড়কের মালিকানা নিয়ে রশি টানাটানি চলছে। অথচ প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি দুটি সড়ক দিয়ে চলাচল করে। আমরা সিডিএ, সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সড়কগুলো সংস্কারের তাগিদ দিয়েছি। একটি সংস্থা অন্য সংস্থার ওপর দায় চাপাচ্ছে, যে কারণে অনেক দিন ধরে এই দুটি সড়কের কোনো সংস্কার হচ্ছে না।’
রাজধানী ঢাকা কিংবা অন্য জেলা থেকে ছেড়ে আসা বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের গাড়ি নগরের ষোলশহর থেকে অক্সিজেন হয়ে কুয়াইশ সড়ক দিয়ে কালুরঘাট সেতু পার হয়। অথচ সরেজমিনে দেখা গেছে, অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কের অবস্থা এতটাই খারাপ যে অক্সিজেন থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর এই সড়কটিকে পাকা সড়ক বলে মনেই হয় না। ওই অংশে পিচ ঢালাইয়ের কোনো চিহ্ন নেই। কাদামাটি ও ইটের টুকরোর ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। এই সড়কের পাশেই তৈরি হচ্ছে সিডিএর একটি আবাসিক প্রকল্প।
অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ পর্যন্ত সড়কের তামান্না আবাসিক এলাকাসংলগ্ন অংশে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
রাউজানের নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃষ্টি হলে কালুরঘাটের বাহার সিগন্যাল থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় চরম ভোগান্তির শিকার হই। অথচ সিটি করপোরেশন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির কোনো সংস্কার করছে না। শহরে প্রবেশের বিকল্প হিসেবে কুয়াইশ-অক্সিজেন সড়কটিরও বেহাল অবস্থা। আসলে আমাদের দুর্দশা দেখার কেউ নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘অক্সিজেন-কুয়াইশ এবং কালুরঘাট-বহদ্দারহাট সড়কের মালিকানা সিটি করপোরেশন ও সিডিএর। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মেরামতের দায়িত্ব আমরা কেন নেব?’
সিডিএর চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কালুরঘাট থেকে বাহার সিগন্যাল পর্যন্ত সড়কের উন্নয়নকাজ করছি। তবে বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে বহদ্দারহাট মোড় পর্যন্ত সড়কটি কার্পেটিং করতে সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করেছি। তারা সংস্কার করে দেবে বলে আমাকে জানিয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিডিএর চেয়ারম্যান বলেন, সড়কের সংস্কার বা মেরামত করা সিডিএর কাজ নয়। সিডিএ নতুন রাস্তা ও নালা-নর্দমা বানিয়ে দেয়। সংস্কার বা মেরামত করবে সিটি করপোরেশন। তেমনি অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ পর্যন্ত সড়কটি সিডিএ বানিয়ে দিয়ে সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে সিটি মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কুয়াইশ-অক্সিজেন ও বহদ্দারহাট-কালুরঘাট সড়ক দুটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নিজস্ব অর্থায়নে মেরামত করছে। আমার জানা মতে, বহদ্দারহাট-কালুরঘাট সড়কের মৌলভি পুকুর পাড় এলাকায় চউক কাজও শুরু করেছে।’
সিডিএ সড়ক দুটি চসিককে হস্তান্তর করেছে কি না, জানতে চাইলে আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘এখনো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। সিডিএ কাজ শেষ করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা সংস্কার করতে পারি। এর আগে আমাদের পক্ষে কোনো সংস্কারকাজ করা সম্ভব নয়।’
No comments