কমিশনে দলিলের নামে জালিয়াতি-১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা by আপেল মাহমুদ
কমিশনে দলিল রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে সাব-রেজিস্ট্রারদের সরেজমিন ঘটনাস্থলে যাওয়ার নিয়ম। কিন্তু বাস্তবে সাব-রেজিস্ট্রারদের পরিবর্তে অফিসের পিওন সেই দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ঢাকা রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্সে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রমাণপত্র এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার (ডিআর) মো. আবু তালিব খান কালের কণ্ঠকে বলেন, সাব-রেজিস্ট্রারের পরিবর্তে অফিসের পিওন কিংবা ক্লার্ক দিয়ে কমিশন করা হলে জালিয়াতির আশঙ্কা থাকে। তা ছাড়া আইন অনুযায়ী কোনো সাব-রেজিস্ট্রার নিজে দলিলদাতার ঠিকানায় সশরীরে কমিশনে না গিয়ে অন্য কোনো কর্মচারী পাঠাতে পারেন না। এ ধরনের কিছু ঘটলে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রয়েছে রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টে।
সম্প্রতি কমিশনে দলিল করার ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে। ভুয়া দাতা সাজিয়ে প্রায় ১৫ কোটি টাকা মূল্যের জমি অন্যের নামে লিখে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমির প্রকৃত মালিক এর প্রতিকার পাওয়ার জন্য নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক এবং ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার বরাবরে আবেদন করেছেন। আবেদন সূত্রে জানা যায়, এই জালিয়াতির সঙ্গে রেজিস্ট্রি অফিসের পিওন ও একজন দলিল লেখক সরাসরি জড়িত। তাঁদের যোগসাজশে জমির প্রকৃত মালিকের অনুপস্থিতিতে কেবল তাঁর ছবি ব্যবহার করে দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। দলিলের স্বাক্ষর এবং আঙুলের ছাপ অন্য ব্যক্তির। এ ক্ষেত্রে দলিল মুসাবিদাকারীর (যিনি দলিল লেখেন) নাম পর্যন্ত কারসাজি করা হয়। কমিশনে দলিল করার মাধ্যমে এই জালিয়াতি করা হয়েছে বলে রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১ মার্চ তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কমিশনে একটি আমমোক্তারনামা দলিল (নম্বর-৯৫৩) কমিশনে রেজিস্ট্রি করা হয়। ধানমণ্ডি থানাধীন শ্রীখণ্ড মৌজার বিভিন্ন দাগে ১২১ শতাংশ (প্রায় ৮০ কাঠা) জমির প্রকৃত মালিক বছিলা নিবাসী হাজি দীলগনির ছেলে হাজি মো. ইমাম হোসেন। একটি জালিয়াতচক্র ওই জমি আত্মসাৎ করার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন দেইলপাড়ার সাবিকুন নাহার স্বামী খান আখতারুজ্জামানকে গ্রহীতা সাজায়। দলিলের মুসাবিদাকারী হিসেবে নাম দেওয়া হয় তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক রজব আলীর। কালের কণ্ঠের কাছে তিনি ওই দলিল মুসাবিদা করার কথা অস্বীকার করে জানান, তাঁর নাম ব্যবহার করে জালিয়াতির ঘটনা ঘটানোর জন্য তিনি ৮ মে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর-৩৬৩) করেছেন। একই সঙ্গে রজব আলী নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের বরাবরে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন।
ঢাকা রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উল্লিখিত দলিলের মুসাবিদাকারী হিসেবে রজব আলীর নাম ব্যবহার করা হলেও কমিশনে দলিল করার জন্য যে আবেদনপত্র দেওয়া হয় সেখানে নাম ব্যবহার করা হয় দলিল লেখক (লাইসেন্স নম্বর-৯/২০০৮, তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস) ফয়জুর রহমানের। জমির মালিক হাজি ইমাম হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে বলেছেন, তিনিই ভুয়া দাতা সাজিয়ে তাঁর জমি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন, যার কারণে দলিলে অন্যজনের নাম দিয়ে নিজে পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কমিশনের আবেদনে নাম দেওয়ার কারণে তাঁর সে পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়। ফয়জুর রহমান তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দলিলে উল্লিখিত মুসাবিদাকারীই ওই দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন। নিজেকে বাঁচানোর জন্যই তা তিনি অস্বীকার করছেন। তবে কমিশনে দলিল করার ক্ষেত্রে জমির দাতা শনাক্ত করার দায়িত্ব সাব-রেজিস্ট্রারের। তাই এ ক্ষেত্রে তাঁকে (রজব আলী) দোষারোপ করা ঠিক নয়।
জমির প্রকৃত মালিক হাজি ইমাম হোসেন অভিযোগ করেন, ৯৫৩ নম্বর আমমোক্তারনামা দলিলটি কমিশন করার জন্য তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পিওন সুনীলকে পাঠানো হয়। মূলত পিওন সুনীল জালিয়াতচক্রের হয়ে কাজ করেন। তিনি ভুয়া মালিককে জমির প্রকৃত মালিক হিসেবে শনাক্ত করে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করার কাজে সহায়তা করেন। দলিলে দাতা শনাক্তকারী হিসেবে হাবিবুর রহমানের নাম দেওয়া হলেও তাঁর কোনো পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে সুনীল বলেন, তিনি সাব-রেজিস্ট্রারের পক্ষে কমিশনে দলিলদাতাকে শনাক্তকরণ, তাঁর সম্মতি, সই-স্বাক্ষর এবং টিপসহি নেওয়ার কাজ করেছেন। তবে দলিলদাতা জমির প্রকৃত মালিক কি না সেটা সাব-রেজিস্ট্রার সাহেব জানেন। সাব-রেজিস্ট্রার নৃপেন্দ্র চন্দ্র নাথ বলেন, কমিশনে দলিল করার সবরকম নিয়ম-কানুন মেনেই ওই দলিলের রেজিস্ট্রিকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার মো. আবু তালিব খান জানান, যেকোনো ধরনের কমিশন দলিল রেজিস্ট্রি করার আগে কিছু নিয়ম-কানুন পালন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারকেই দলিলদাতার বাসভবন কিংবা দাপ্তরিক ঠিকানায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন কাজ শেষ করতে হবে। পিওন-ক্লার্ক পাঠিয়ে সে কাজ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। পিওন-ক্লার্ক পাঠালে তাঁরা যেকোনো পক্ষের হয়ে কাজ করতে পারেন। এতে জালিয়াতির বড় ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। হাজি ইমাম হোসেনের বিষয়টি তদন্ত করে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। এই জালিয়াতির সঙ্গে পিওন ও দলিল লেখক জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবেন।
জেলা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনো লোক অসুস্থ হলে, তিনি নিরাপত্তাহীনতার কারণে রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে না পারলে কিংবা পর্দানশীল নারীর ক্ষেত্রে কমিশনে দলিল রেজিস্ট্রি করা যায়। এ জন্য সরকার নির্ধারিত ফি দিতে হয়। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রাররা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজেরা কমিশনে না গিয়ে অফিসের পিওন কিংবা ক্লার্ক পাঠিয়ে এ কাজটি করে থাকেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাব-রেজিস্ট্রার বলেন, রেজিস্ট্রি আইনে সাব-রেজিস্ট্রারকে সরেজমিন গিয়ে কমিশনে দলিল সম্পাদন করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা পিওন-ক্লার্ক দিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে থাকেন। অনেক সময় তাঁরাই সাব-রেজিস্ট্রার সেজে দলিলের কাজ করে আসেন। এ কারণে অনেক সাব-রেজিস্ট্রারকেই খেসারত দিতে হয়েছে।
সম্প্রতি কমিশনে দলিল করার ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে। ভুয়া দাতা সাজিয়ে প্রায় ১৫ কোটি টাকা মূল্যের জমি অন্যের নামে লিখে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমির প্রকৃত মালিক এর প্রতিকার পাওয়ার জন্য নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক এবং ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার বরাবরে আবেদন করেছেন। আবেদন সূত্রে জানা যায়, এই জালিয়াতির সঙ্গে রেজিস্ট্রি অফিসের পিওন ও একজন দলিল লেখক সরাসরি জড়িত। তাঁদের যোগসাজশে জমির প্রকৃত মালিকের অনুপস্থিতিতে কেবল তাঁর ছবি ব্যবহার করে দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। দলিলের স্বাক্ষর এবং আঙুলের ছাপ অন্য ব্যক্তির। এ ক্ষেত্রে দলিল মুসাবিদাকারীর (যিনি দলিল লেখেন) নাম পর্যন্ত কারসাজি করা হয়। কমিশনে দলিল করার মাধ্যমে এই জালিয়াতি করা হয়েছে বলে রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১ মার্চ তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কমিশনে একটি আমমোক্তারনামা দলিল (নম্বর-৯৫৩) কমিশনে রেজিস্ট্রি করা হয়। ধানমণ্ডি থানাধীন শ্রীখণ্ড মৌজার বিভিন্ন দাগে ১২১ শতাংশ (প্রায় ৮০ কাঠা) জমির প্রকৃত মালিক বছিলা নিবাসী হাজি দীলগনির ছেলে হাজি মো. ইমাম হোসেন। একটি জালিয়াতচক্র ওই জমি আত্মসাৎ করার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন দেইলপাড়ার সাবিকুন নাহার স্বামী খান আখতারুজ্জামানকে গ্রহীতা সাজায়। দলিলের মুসাবিদাকারী হিসেবে নাম দেওয়া হয় তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক রজব আলীর। কালের কণ্ঠের কাছে তিনি ওই দলিল মুসাবিদা করার কথা অস্বীকার করে জানান, তাঁর নাম ব্যবহার করে জালিয়াতির ঘটনা ঘটানোর জন্য তিনি ৮ মে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর-৩৬৩) করেছেন। একই সঙ্গে রজব আলী নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের বরাবরে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন।
ঢাকা রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উল্লিখিত দলিলের মুসাবিদাকারী হিসেবে রজব আলীর নাম ব্যবহার করা হলেও কমিশনে দলিল করার জন্য যে আবেদনপত্র দেওয়া হয় সেখানে নাম ব্যবহার করা হয় দলিল লেখক (লাইসেন্স নম্বর-৯/২০০৮, তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস) ফয়জুর রহমানের। জমির মালিক হাজি ইমাম হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে বলেছেন, তিনিই ভুয়া দাতা সাজিয়ে তাঁর জমি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন, যার কারণে দলিলে অন্যজনের নাম দিয়ে নিজে পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কমিশনের আবেদনে নাম দেওয়ার কারণে তাঁর সে পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়। ফয়জুর রহমান তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দলিলে উল্লিখিত মুসাবিদাকারীই ওই দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন। নিজেকে বাঁচানোর জন্যই তা তিনি অস্বীকার করছেন। তবে কমিশনে দলিল করার ক্ষেত্রে জমির দাতা শনাক্ত করার দায়িত্ব সাব-রেজিস্ট্রারের। তাই এ ক্ষেত্রে তাঁকে (রজব আলী) দোষারোপ করা ঠিক নয়।
জমির প্রকৃত মালিক হাজি ইমাম হোসেন অভিযোগ করেন, ৯৫৩ নম্বর আমমোক্তারনামা দলিলটি কমিশন করার জন্য তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পিওন সুনীলকে পাঠানো হয়। মূলত পিওন সুনীল জালিয়াতচক্রের হয়ে কাজ করেন। তিনি ভুয়া মালিককে জমির প্রকৃত মালিক হিসেবে শনাক্ত করে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করার কাজে সহায়তা করেন। দলিলে দাতা শনাক্তকারী হিসেবে হাবিবুর রহমানের নাম দেওয়া হলেও তাঁর কোনো পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে সুনীল বলেন, তিনি সাব-রেজিস্ট্রারের পক্ষে কমিশনে দলিলদাতাকে শনাক্তকরণ, তাঁর সম্মতি, সই-স্বাক্ষর এবং টিপসহি নেওয়ার কাজ করেছেন। তবে দলিলদাতা জমির প্রকৃত মালিক কি না সেটা সাব-রেজিস্ট্রার সাহেব জানেন। সাব-রেজিস্ট্রার নৃপেন্দ্র চন্দ্র নাথ বলেন, কমিশনে দলিল করার সবরকম নিয়ম-কানুন মেনেই ওই দলিলের রেজিস্ট্রিকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার মো. আবু তালিব খান জানান, যেকোনো ধরনের কমিশন দলিল রেজিস্ট্রি করার আগে কিছু নিয়ম-কানুন পালন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারকেই দলিলদাতার বাসভবন কিংবা দাপ্তরিক ঠিকানায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন কাজ শেষ করতে হবে। পিওন-ক্লার্ক পাঠিয়ে সে কাজ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। পিওন-ক্লার্ক পাঠালে তাঁরা যেকোনো পক্ষের হয়ে কাজ করতে পারেন। এতে জালিয়াতির বড় ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। হাজি ইমাম হোসেনের বিষয়টি তদন্ত করে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। এই জালিয়াতির সঙ্গে পিওন ও দলিল লেখক জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবেন।
জেলা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনো লোক অসুস্থ হলে, তিনি নিরাপত্তাহীনতার কারণে রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে না পারলে কিংবা পর্দানশীল নারীর ক্ষেত্রে কমিশনে দলিল রেজিস্ট্রি করা যায়। এ জন্য সরকার নির্ধারিত ফি দিতে হয়। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রাররা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজেরা কমিশনে না গিয়ে অফিসের পিওন কিংবা ক্লার্ক পাঠিয়ে এ কাজটি করে থাকেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাব-রেজিস্ট্রার বলেন, রেজিস্ট্রি আইনে সাব-রেজিস্ট্রারকে সরেজমিন গিয়ে কমিশনে দলিল সম্পাদন করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা পিওন-ক্লার্ক দিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে থাকেন। অনেক সময় তাঁরাই সাব-রেজিস্ট্রার সেজে দলিলের কাজ করে আসেন। এ কারণে অনেক সাব-রেজিস্ট্রারকেই খেসারত দিতে হয়েছে।
No comments