সাত পরিযায়ী পাখির শেষ আশ্রয়স্থল বাংলাদেশ by এ বি এম সারওয়ার আলম
বাংলাদেশে ৪৩টি পরিবারের মোট ৩২০ জাতের পরিযায়ী পাখি বছরের বিভিন্ন সময় খাবার আর আশ্রয়ের সন্ধানে আসে। আর কিছু পাখি আছে, যারা এ দেশে আসে বাচ্চা ফোটানোর জন্য। কুড়া ঈগল ও সমচা এদের মধ্যে অন্যতম। বেশির ভাগ পাখি শীতে আমাদের দেশে আসে।
কিছু পাখি আছে, যারা গ্রীষ্মে বা বছরের অন্যান্য সময় আসে। চামুচঠুঁটো বাটান নামের একটি সৈকত পাখিকে একসময় নিয়মিত দেখা যেত ভোলা আর নোয়াখালীর উপকূলে। কিন্তু পাঁচ বছর ধরে পাখিটিকে এ এলাকায় আর তেমন দেখা যাচ্ছে না। এখন এর অন্যতম আবাসস্থল হলো সোনাদিয়া দ্বীপ। গবেষকদের ধারণা, পাখিটির বসবাস উপযোগী আবাস মেঘনা উপকূল থেকে প্রায় হারিয়ে গেছে। সোনাদিয়া দ্বীপ ধ্বংস হয়ে গেলে এই পাখি তার শেষ আবাসস্থল হারিয়ে ফেলবে। শুধু চামুচঠুঁটো বাটানই নয়, সৈকত পাখির অনেক প্রজাতিরই এখন একই অবস্থা।
বাংলাদেশে মোট ৭০০ জাতের পাখির মধ্যে অর্ধেকই পরিযায়ী। পরিযায়ী পাখি মানে এই নয় যে তারা আমাদের পাখি নয়। বছরের বড় একটা সময় এরা আমাদের দেশে কাটায়। হয়তো এসব পাখি নিয়ে আমরা কম জানি বলেই এদের নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আমাদের দেশে পরিযায়ী পাখির মধ্যে হাঁস আর সৈকত পাখির সংখ্যাই বেশি। মোট ৩২ জাতের হাঁসের মধ্যে মাত্র দুই জাতের হাঁস হলো দেশি আর বাকিগুলো পরিযায়ী। এর মধ্যে সবচেয়ে বিপন্ন হাঁসটির নাম বেয়ারের ভূতিহাঁস। গত বছর আরও দুটি দুর্লভ হাঁসের দেখা মিলেছে। এগুলো হলো বৈকাল তিলি হাঁস ও নাকতা হাঁস।
বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন পাখির বেশ কয়েকটি জাত আমাদের দেশে আসে। এই পাখিগুলো হলো চামুচঠুঁটো বাটান, ইউরেশীয় গুলিন্দা, এশীয় ডউইচার, নর্ডম্যান সবুজপা, বড় নট, কাঁকড়াভুক জিরিয়া, উত্তুরে টিটি, কালালেজ জৌরালি, ধলাপাক পানচিলসহ আরও অনেক প্রজাতি। এ ছাড়া ঝোপঝাড়েও পরিযায়ী অনেক দুর্লভ পাখি আছে এ দেশে। এ বছর এ গোত্রের দুটি নতুন পাখি পাওয়া গেছে। এর একটি হলো মেটে ঝাড় ফুটকি, অন্যটি পাশুয়ার ঝাড় ফুটকি।
এখন বিপন্ন পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল রক্ষা করা সবচেয়ে জরুরি। তা না পারলে, কয়েকটি প্রজাতির পাখি, শুধু যে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে তা নয় গোটা পৃথিবী থেকেই হারিয়ে যাবে, কারণ বাংলাদেশই ওসব পাখির শেষ আশ্রয়স্থল।
বেয়ারের ভূতিহাঁস (বেয়ারস পোচার্ড)
বিশ্বে পাঁচ হাজারের মতো পাখি টিকে আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারে আছে চার হাজারের মতো। গত তিন দশকে এর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমছে। ভারত উপমহাদেশের এ কয়েকটি অঞ্চল থেকে পাখিটি হারিয়ে গেলে গোটা বিশ্ব থেকেই হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
মরচে রং ভূতিহাঁস (ফেরোজেনাস পোচার্ড)
প্রায় এক লাখ ৫০ হাজারের মতো হাঁস এখন পৃথিবীতে টিকে আছে। এর মধ্যে ২০০১ সালে বাংলাদেশের টাংগুয়ার হাওরে দেখা গিয়েছিল প্রায় এক লাখ। গোটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একটা অংশ আমাদের হাওরে দেখা যায়।
চামুচঠুঁটো বাটান (স্পুন-বিলড স্যান্ডপাইপার)
বিশ্বে প্রায় ২০০ জোড়া পাখি আছে বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবছর বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৫০টি পাখি দেখা যায়। ১৯৮৯ সালে মৌলভির চরে ২০২টি পাখি গণনা করা হয়, যা এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি পাখি দেখার রেকর্ড। মহা বিপন্ন এ পাখিকে বাঁচাতে বাংলাদেশের সোনাদিয়া দ্বীপকে রক্ষার কথা বলে আসছেন দেশি-বিদেশি গবেষকেরা।
কালালেজ জৌরালি (ব্ল্যাক-টেইল গডউইড)
পৃথিবীতে ছয় লাখ পাখি টিকে আছে। বাংলাদেশের সীমানায় প্রতিবছর গড়ে পাঁচ থেকে ১০ হাজার পাখি দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় টাংগুয়ার হাওর ও উপকূলীয় এলাকায়। পরিযায়নের সময় একনাগাড়ে এরা ছয় হাজার মাইল কোথাও না থেমে পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড করেছে।
নর্ডম্যানের সবুজ পা (নর্ডম্যানস গ্রিনসাঙ্ক)
পৃথিবীতে এই প্রজাতির মোট ৫০০টি পাখি আছে বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশের উপকূলে প্রতিবছর এই প্রজাতির ২০ থেকে ৩০টি পাখি দেখা যায়। এদের আবাসস্থল রক্ষা করা গেলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশই এদের শেষ আশ্রয়স্থল হতে পারে।
বড় নট (গ্রেট নট)
‘বড় নট’ নামে এ দেশে অপেক্ষাকৃত অচেনা এক সৈকত পাখি বিশ্বে সংকটাপন্ন ঘোষিত হয়েছে। প্রায় তিন লাখের মতো পাখি এখন গোটা পৃথিবীতে টিকে আছে। শীতে বাংলাদেশের উপকূল বিশেষ করে সোনাদিয়া দ্বীপ ও অন্যান্য নির্জন চরে এ পাখি দেখা যায়।
পালাসের কুড়া ঈগল (পালাসেস ফিশ ঈগল)
‘কুরা’ অথবা ‘কুর্রা’ নামে পরিচিত বাংলাদেশের বৃহত্তম ঈগল এখন বিশ্বের সংকটাপন্ন পাখি। প্রায় দুই হাজার ৫০০টি পাখি পৃথিবীতে আছে বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশের হাওরগুলোয় এর বড় একটা অংশ দেখা যায়। মাছ-শিকারি এ ঈগল শীতে হাওর অঞ্চলে বাসা বাঁধে। ছানা বড় হলে বর্ষায় হিমালয়ের বরফ-গলা হ্রদে চলে যায় এবং হাওরের পানি কমতে শুরু করলে আবার ফিরে আসে। এদের টিকে থাকার জন্য তিব্বতের হ্রদ যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন বাংলার হাওর।
পরিযায়ী পাখির গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল
বাংলাদেশে প্রায় ৩৯টি জায়গা আছে, যেখানে পরিযায়ী পাখিরা বিচরণ করে। এদের মধ্যে টাংগুয়ার হাওর, পাশুয়ার হাওর, হাকালুকি হাওর, বাইক্কা বিল, দমার চর, চর শাহজালাল, নিঝুম দ্বীপ, চর কুকরিমুকরি, বোদরমোকাম, সোনাদিয়া, পদ্মা ও যমুনার কয়েকটি চর খুবই মূল্যবান। বেশির ভাগ চর জবরদখল করা শুরু হয়েছে। হাওরগুলোও হুমকির মুখে আছে।
পরিযায়ী পাখি ও বাংলাদেশ
বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখি গণনা শুরু হয় ১৯৮৮ সাল থেকে। এই পাখিশুমারি হয় একেবারে ব্যক্তিপর্যায় থেকে। গত দুই যুগে পরিযায়ী পাখির ওপর যে গবেষণা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখি আসার হার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে।
আশার কথা গত তিন বছরে পরিযায়ী পাখি গবেষণায় বড় সাফল্য এসেছে। আমরা প্রায় দুই হাজারের ওপর পাখিতে রিং দিতে পেরেছি। বাংলাদেশ এখন নিজস্ব রিং কোড পেয়েছে। আমরা পাখিতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে এর গতিপথ নির্ণয়ে সাফল্য পেয়েছি। আর সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে এ বছর—বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখির জন্য পতাকা (ফ্লাগ) পেয়েছে। পতাকার রং ডাবল হলুদ। এসব কাজের সমন্বয় করতে পারলেই আমরা জানতে পারব পরিযায়ী পাখির সত্যিকারের গতিপথ।
লেখক: বন্যপ্রাণী গবেষক
ছবি: রোনাল্ড হালদার, সায়েম, তৌহিদুর, কাজী আহম্মেদ ও লেখক
বাংলাদেশে মোট ৭০০ জাতের পাখির মধ্যে অর্ধেকই পরিযায়ী। পরিযায়ী পাখি মানে এই নয় যে তারা আমাদের পাখি নয়। বছরের বড় একটা সময় এরা আমাদের দেশে কাটায়। হয়তো এসব পাখি নিয়ে আমরা কম জানি বলেই এদের নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আমাদের দেশে পরিযায়ী পাখির মধ্যে হাঁস আর সৈকত পাখির সংখ্যাই বেশি। মোট ৩২ জাতের হাঁসের মধ্যে মাত্র দুই জাতের হাঁস হলো দেশি আর বাকিগুলো পরিযায়ী। এর মধ্যে সবচেয়ে বিপন্ন হাঁসটির নাম বেয়ারের ভূতিহাঁস। গত বছর আরও দুটি দুর্লভ হাঁসের দেখা মিলেছে। এগুলো হলো বৈকাল তিলি হাঁস ও নাকতা হাঁস।
বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন পাখির বেশ কয়েকটি জাত আমাদের দেশে আসে। এই পাখিগুলো হলো চামুচঠুঁটো বাটান, ইউরেশীয় গুলিন্দা, এশীয় ডউইচার, নর্ডম্যান সবুজপা, বড় নট, কাঁকড়াভুক জিরিয়া, উত্তুরে টিটি, কালালেজ জৌরালি, ধলাপাক পানচিলসহ আরও অনেক প্রজাতি। এ ছাড়া ঝোপঝাড়েও পরিযায়ী অনেক দুর্লভ পাখি আছে এ দেশে। এ বছর এ গোত্রের দুটি নতুন পাখি পাওয়া গেছে। এর একটি হলো মেটে ঝাড় ফুটকি, অন্যটি পাশুয়ার ঝাড় ফুটকি।
এখন বিপন্ন পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল রক্ষা করা সবচেয়ে জরুরি। তা না পারলে, কয়েকটি প্রজাতির পাখি, শুধু যে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে তা নয় গোটা পৃথিবী থেকেই হারিয়ে যাবে, কারণ বাংলাদেশই ওসব পাখির শেষ আশ্রয়স্থল।
বেয়ারের ভূতিহাঁস (বেয়ারস পোচার্ড)
বিশ্বে পাঁচ হাজারের মতো পাখি টিকে আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারে আছে চার হাজারের মতো। গত তিন দশকে এর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমছে। ভারত উপমহাদেশের এ কয়েকটি অঞ্চল থেকে পাখিটি হারিয়ে গেলে গোটা বিশ্ব থেকেই হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
মরচে রং ভূতিহাঁস (ফেরোজেনাস পোচার্ড)
প্রায় এক লাখ ৫০ হাজারের মতো হাঁস এখন পৃথিবীতে টিকে আছে। এর মধ্যে ২০০১ সালে বাংলাদেশের টাংগুয়ার হাওরে দেখা গিয়েছিল প্রায় এক লাখ। গোটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একটা অংশ আমাদের হাওরে দেখা যায়।
চামুচঠুঁটো বাটান (স্পুন-বিলড স্যান্ডপাইপার)
বিশ্বে প্রায় ২০০ জোড়া পাখি আছে বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবছর বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৫০টি পাখি দেখা যায়। ১৯৮৯ সালে মৌলভির চরে ২০২টি পাখি গণনা করা হয়, যা এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি পাখি দেখার রেকর্ড। মহা বিপন্ন এ পাখিকে বাঁচাতে বাংলাদেশের সোনাদিয়া দ্বীপকে রক্ষার কথা বলে আসছেন দেশি-বিদেশি গবেষকেরা।
কালালেজ জৌরালি (ব্ল্যাক-টেইল গডউইড)
পৃথিবীতে ছয় লাখ পাখি টিকে আছে। বাংলাদেশের সীমানায় প্রতিবছর গড়ে পাঁচ থেকে ১০ হাজার পাখি দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় টাংগুয়ার হাওর ও উপকূলীয় এলাকায়। পরিযায়নের সময় একনাগাড়ে এরা ছয় হাজার মাইল কোথাও না থেমে পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড করেছে।
নর্ডম্যানের সবুজ পা (নর্ডম্যানস গ্রিনসাঙ্ক)
পৃথিবীতে এই প্রজাতির মোট ৫০০টি পাখি আছে বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশের উপকূলে প্রতিবছর এই প্রজাতির ২০ থেকে ৩০টি পাখি দেখা যায়। এদের আবাসস্থল রক্ষা করা গেলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশই এদের শেষ আশ্রয়স্থল হতে পারে।
বড় নট (গ্রেট নট)
‘বড় নট’ নামে এ দেশে অপেক্ষাকৃত অচেনা এক সৈকত পাখি বিশ্বে সংকটাপন্ন ঘোষিত হয়েছে। প্রায় তিন লাখের মতো পাখি এখন গোটা পৃথিবীতে টিকে আছে। শীতে বাংলাদেশের উপকূল বিশেষ করে সোনাদিয়া দ্বীপ ও অন্যান্য নির্জন চরে এ পাখি দেখা যায়।
পালাসের কুড়া ঈগল (পালাসেস ফিশ ঈগল)
‘কুরা’ অথবা ‘কুর্রা’ নামে পরিচিত বাংলাদেশের বৃহত্তম ঈগল এখন বিশ্বের সংকটাপন্ন পাখি। প্রায় দুই হাজার ৫০০টি পাখি পৃথিবীতে আছে বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশের হাওরগুলোয় এর বড় একটা অংশ দেখা যায়। মাছ-শিকারি এ ঈগল শীতে হাওর অঞ্চলে বাসা বাঁধে। ছানা বড় হলে বর্ষায় হিমালয়ের বরফ-গলা হ্রদে চলে যায় এবং হাওরের পানি কমতে শুরু করলে আবার ফিরে আসে। এদের টিকে থাকার জন্য তিব্বতের হ্রদ যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন বাংলার হাওর।
পরিযায়ী পাখির গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল
বাংলাদেশে প্রায় ৩৯টি জায়গা আছে, যেখানে পরিযায়ী পাখিরা বিচরণ করে। এদের মধ্যে টাংগুয়ার হাওর, পাশুয়ার হাওর, হাকালুকি হাওর, বাইক্কা বিল, দমার চর, চর শাহজালাল, নিঝুম দ্বীপ, চর কুকরিমুকরি, বোদরমোকাম, সোনাদিয়া, পদ্মা ও যমুনার কয়েকটি চর খুবই মূল্যবান। বেশির ভাগ চর জবরদখল করা শুরু হয়েছে। হাওরগুলোও হুমকির মুখে আছে।
পরিযায়ী পাখি ও বাংলাদেশ
বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখি গণনা শুরু হয় ১৯৮৮ সাল থেকে। এই পাখিশুমারি হয় একেবারে ব্যক্তিপর্যায় থেকে। গত দুই যুগে পরিযায়ী পাখির ওপর যে গবেষণা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখি আসার হার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে।
আশার কথা গত তিন বছরে পরিযায়ী পাখি গবেষণায় বড় সাফল্য এসেছে। আমরা প্রায় দুই হাজারের ওপর পাখিতে রিং দিতে পেরেছি। বাংলাদেশ এখন নিজস্ব রিং কোড পেয়েছে। আমরা পাখিতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে এর গতিপথ নির্ণয়ে সাফল্য পেয়েছি। আর সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে এ বছর—বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখির জন্য পতাকা (ফ্লাগ) পেয়েছে। পতাকার রং ডাবল হলুদ। এসব কাজের সমন্বয় করতে পারলেই আমরা জানতে পারব পরিযায়ী পাখির সত্যিকারের গতিপথ।
লেখক: বন্যপ্রাণী গবেষক
ছবি: রোনাল্ড হালদার, সায়েম, তৌহিদুর, কাজী আহম্মেদ ও লেখক
No comments