‘ওডেস্কে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ছে’
আউটসোর্সিংয়ের কাজে জড়িত বাংলাদেশের মুক্ত পেশাজীবীদের (ফ্রিল্যান্সার) সংখ্য বেশ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। আর তাইতে আউটসোর্সিং কাজ পাওয়ার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট (অনলাইন মার্কেটপ্লেস) ওডেস্কের (www.odesk.com) বিশেষ আয়োজনের প্রথমটি হয়েছে ঢাকায়।
১৬ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘কন্ট্রাক্টর অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ নামের এ আয়োজনে দেশের চার শতাধিক ফ্রিল্যান্সার অংশ নেন। এই সময় ঢাকায় এসেছিলেন ওডেস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট (মার্কেটপ্লেস অপারেশন) ম্যাট কুপার এবং কন্ট্রাক্টর (আন্তর্জাতিক বিপণন) মনিকা চুয়া। ১৭ মে প্রজন্ম ডট কমের সঙ্গে কথা হয়ম্যাট কুপার ও মনিকা চুয়ার সঙ্গে।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নুরুন্নবী চৌধুরী
ঢাকায় এটা তো আপনার দ্বিতীয় সফর।কেমন লাগছে?
ম্যাট কুপার: ভালো লাগছে। গতবছর ই-এশিয়া সম্মেলনে এসে অনেক বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে কথা বলেছি আর এবারও এক ঝাঁক ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে দারুণ কিছু সময় কাটিয়েছি। বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা ভালো করছে। ২০০৯ সালে ওডেস্কের পুরো কাজের ২ শতাংশ করত বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা, যা এখন বেড়ে ১২ শতাংশ হয়েছে।
আউটসোর্সিং বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন?
ম্যাট কুপার: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিং খাত থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা আয় করার সুযোগ আছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ-তরুণীরা ওডেস্কের মাধ্যমে কাজ করছেন। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা, কাজের প্রতি একাগ্রতা বাংলাদেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এখন কোন ধরনের কাজ বাংলাদেশিরা বেশি করছে?
ম্যাট কুপার: বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজ বেশি করছে। এর বাইরে সফটওয়্যার তৈরি, বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি, পিএইচপি ইত্যাদির কাজও করছে অনেক তরুণ। এসবে আয়ও করছে ভালো। আরও ভালো করার জন্য প্রয়োজন এ বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা।
বাংলাদেশি তরুণেরা আউটসোর্সিংয়ের জন্য পুরোপুরি তৈরি?
ম্যাট কুপার: বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের একটা বড় গুণ হচ্ছে যেকোনো কিছু দ্রুত আয়ত্তে নিয়ে নিতে পারে।স্বাধীন আর সম্মানজনক পেশা হিসেবে আউটসোর্সিং যখন বেশ পরিচিত তখন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা দ্রুত কাজ শেখার পাশাপাশি ভালো আয়ও করছে। এদিক দিয়ে বলা যায়, তরুণেরা তৈরিই আছে। তবে বেশ কিছু সমস্যা কাজের ক্ষেত্রে আছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার মনে হয়। বিদ্যুতের সমস্যাটা এ ক্ষেত্রে গুরুতর। পাশাপাশি ইন্টারনেট সুবিধা। ইন্টারনেটের গতি এখনো অনেক কম, যা আশঙ্কাজনক। এ সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে অথবা এ ব্যাপারে বিকল্প ভাবতে পারলে আউটসোর্সিংয়ে দারুণ করতে পারবে বাংলাদেশ।
‘কন্ট্রাক্টর অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ আয়োজন কেন?
মনিকা চুয়া: আসলে সেরা ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে একসঙ্গে সময় কাটানো আর তাঁদের নানা কথা জানার জন্য এ আয়োজন।
এ ছাড়া সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সার যারা অনেক সময় ধরে ভালো করছে তাদের সনদ দেওয়া হয়েছে।
কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি?
ম্যাট কুপার: বর্তমানে সারা বিশ্বেই স্মার্টফোন এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তিগত সুবিধা আর নানা বৈশিষ্ট্যের কারণে স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন্স (অ্যাপস) তৈরির কাজও বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে অ্যানড্রয়েড আর অ্যাপলের আইওএসের জন্য অ্যাপস তৈরির চাহিদা বেশি। আর এসইওর কাজ তো অনেকে করছেই।
এর পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিন বিপণন (এসইএম), ওয়েব গবেষণা, গ্রাহকসেবা, বিক্রয় ও বিপণন, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গণযোগাযোগ (পিআর), ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, লেখা ও অনুবাদসহ নানা ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশি মেধাবী উদ্ভাবনী শক্তির তরুণেরা এসব কাজ সহজেই করতে পারবে। তবে সবকিছুর সঙ্গে নিয়মিত ইংরেজি চর্চা আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে নিতে পারে।
প্রথম শহর হিসেবে ঢাকায় ‘কন্ট্রাক্টর অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ কেমন হলো?
মনিকা চুয়া: বেশ কয়েকটি শহরের মধ্যে ভোটে নির্বাচিত শহর হিসেবে প্রথম অনুষ্ঠান হয়েছে ঢাকায়। এ আয়োজনে বাংলাদেশি এক ঝাঁক তরুণ ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে আলোচনা, আড্ডায় দারুণ সময় কেটেছে।
আউটসোর্সিং বাজারে বাংলাদেশিদের আয়ের অবস্থা কেমন?
ম্যাট কুপার: আউটসোর্সিং কাজে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিল্যান্সাররা ঘণ্টায় আয় করছে ন্যূনতম ১৫ থেকে ২০ ডলার, বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা করছে ৫ থেকে ১০ ডলার। তবে অনলাইনে লেনদেনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পেপ্যাল সুবিধা। বাংলাদেশে পে-পালের মাধ্যমে লেনদেরে সুবিধা থাকাটা খুব জরুরি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। খুব শিগগিরই গ্লোবাল ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে ওডেস্ক তাদের পেমেন্ট পদ্ধতি চালু করবে বলে আমরা আশাবাদী। আর এটি করা গেলে অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে বড় বাধা দূর হয়ে যাবে।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ওডেস্কের কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
ম্যাট কুপার: অনলাইন লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। এটি বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের অনেক সাহায্য করবে। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।
ঢাকায় এটা তো আপনার দ্বিতীয় সফর।কেমন লাগছে?
ম্যাট কুপার: ভালো লাগছে। গতবছর ই-এশিয়া সম্মেলনে এসে অনেক বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে কথা বলেছি আর এবারও এক ঝাঁক ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে দারুণ কিছু সময় কাটিয়েছি। বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা ভালো করছে। ২০০৯ সালে ওডেস্কের পুরো কাজের ২ শতাংশ করত বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা, যা এখন বেড়ে ১২ শতাংশ হয়েছে।
আউটসোর্সিং বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন?
ম্যাট কুপার: বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিং খাত থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা আয় করার সুযোগ আছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ-তরুণীরা ওডেস্কের মাধ্যমে কাজ করছেন। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা, কাজের প্রতি একাগ্রতা বাংলাদেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এখন কোন ধরনের কাজ বাংলাদেশিরা বেশি করছে?
ম্যাট কুপার: বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজ বেশি করছে। এর বাইরে সফটওয়্যার তৈরি, বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি, পিএইচপি ইত্যাদির কাজও করছে অনেক তরুণ। এসবে আয়ও করছে ভালো। আরও ভালো করার জন্য প্রয়োজন এ বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা।
বাংলাদেশি তরুণেরা আউটসোর্সিংয়ের জন্য পুরোপুরি তৈরি?
ম্যাট কুপার: বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের একটা বড় গুণ হচ্ছে যেকোনো কিছু দ্রুত আয়ত্তে নিয়ে নিতে পারে।স্বাধীন আর সম্মানজনক পেশা হিসেবে আউটসোর্সিং যখন বেশ পরিচিত তখন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা দ্রুত কাজ শেখার পাশাপাশি ভালো আয়ও করছে। এদিক দিয়ে বলা যায়, তরুণেরা তৈরিই আছে। তবে বেশ কিছু সমস্যা কাজের ক্ষেত্রে আছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার মনে হয়। বিদ্যুতের সমস্যাটা এ ক্ষেত্রে গুরুতর। পাশাপাশি ইন্টারনেট সুবিধা। ইন্টারনেটের গতি এখনো অনেক কম, যা আশঙ্কাজনক। এ সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে অথবা এ ব্যাপারে বিকল্প ভাবতে পারলে আউটসোর্সিংয়ে দারুণ করতে পারবে বাংলাদেশ।
‘কন্ট্রাক্টর অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ আয়োজন কেন?
মনিকা চুয়া: আসলে সেরা ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে একসঙ্গে সময় কাটানো আর তাঁদের নানা কথা জানার জন্য এ আয়োজন।
এ ছাড়া সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সার যারা অনেক সময় ধরে ভালো করছে তাদের সনদ দেওয়া হয়েছে।
কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি?
ম্যাট কুপার: বর্তমানে সারা বিশ্বেই স্মার্টফোন এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তিগত সুবিধা আর নানা বৈশিষ্ট্যের কারণে স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন্স (অ্যাপস) তৈরির কাজও বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে অ্যানড্রয়েড আর অ্যাপলের আইওএসের জন্য অ্যাপস তৈরির চাহিদা বেশি। আর এসইওর কাজ তো অনেকে করছেই।
এর পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিন বিপণন (এসইএম), ওয়েব গবেষণা, গ্রাহকসেবা, বিক্রয় ও বিপণন, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গণযোগাযোগ (পিআর), ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, লেখা ও অনুবাদসহ নানা ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশি মেধাবী উদ্ভাবনী শক্তির তরুণেরা এসব কাজ সহজেই করতে পারবে। তবে সবকিছুর সঙ্গে নিয়মিত ইংরেজি চর্চা আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে নিতে পারে।
প্রথম শহর হিসেবে ঢাকায় ‘কন্ট্রাক্টর অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ কেমন হলো?
মনিকা চুয়া: বেশ কয়েকটি শহরের মধ্যে ভোটে নির্বাচিত শহর হিসেবে প্রথম অনুষ্ঠান হয়েছে ঢাকায়। এ আয়োজনে বাংলাদেশি এক ঝাঁক তরুণ ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে আলোচনা, আড্ডায় দারুণ সময় কেটেছে।
আউটসোর্সিং বাজারে বাংলাদেশিদের আয়ের অবস্থা কেমন?
ম্যাট কুপার: আউটসোর্সিং কাজে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিল্যান্সাররা ঘণ্টায় আয় করছে ন্যূনতম ১৫ থেকে ২০ ডলার, বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা করছে ৫ থেকে ১০ ডলার। তবে অনলাইনে লেনদেনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পেপ্যাল সুবিধা। বাংলাদেশে পে-পালের মাধ্যমে লেনদেরে সুবিধা থাকাটা খুব জরুরি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। খুব শিগগিরই গ্লোবাল ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে ওডেস্ক তাদের পেমেন্ট পদ্ধতি চালু করবে বলে আমরা আশাবাদী। আর এটি করা গেলে অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে বড় বাধা দূর হয়ে যাবে।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ওডেস্কের কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
ম্যাট কুপার: অনলাইন লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। এটি বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের অনেক সাহায্য করবে। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।
No comments