ডাস্টবিনে নবজাতকের লাশ-এই অমানবিকতা বন্ধ হোক
পৃথিবীর সর্বত্রই কম-বেশি অপরাধ বিদ্যমান। অপরাধের বিরুদ্ধে দেশে দেশে রয়েছে সুস্পষ্ট আইন। তার পরও খুন, রাহাজানি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ থেকে কোনো দেশই পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি। কিন্তু আমাদের এই স্বপ্নের ছোট দেশটিতে প্রায়ই এমন সব অপরাধ দেখতে পাওয়া যায় যে গোটা মানব সমাজের বিবেক কেঁপে ওঠে।
বিচ্ছিন্ন হলেও এ ধরনের অপরাধ সমাজের অবক্ষয় কোন স্তরে নিয়ে গেছে, তা দেখে বিবেকবান মানুষ হতাশ হয়ে পড়েন, আতঙ্কিত হন। এমনি একটি অপরাধের ধরন আবারও দেখা গেল, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায়। যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে বুধবার পুলিশ চার নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই নবজাতকের হাত-পা ও শরীরের অন্যান্য অংশ ঠিক আছে। কিন্তু বাকি দুটো শরীরের পূর্ণতা আসেনি। অবশ্য অপরাধের স্থান ওই এলাকা কি না তা স্পষ্ট নয়, শুধু অপরাধের আলামত, অর্থাৎ শিশুদের লাশ সেখান থেকে পাওয়া গেছে। স্বভাবতই সন্দেহের দৃষ্টি পড়েছে প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ওপর। বিগত দিনেও দেখা গেছে ক্লিনিক থেকে নবজাতকের লাশ, রোগীর কেটে ফেলা হাত বা পা কোনো না কোনো দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রাইভেট হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ধারণাও সে রকমই, কোনো হাসপাতাল অথবা কোনো ক্লিনিক থেকে ওই নবজাতকদের লাশ ময়লার স্তূপে ফেলা হয়ে থাকতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত ওই চার নবজাতকের লাশ ফেলে রাখা সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি।
শুধু নৈতিকতার প্রশ্নই নয়, দেশের প্রচলিত আইনে ভ্রূণ হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ। দণ্ডবিধির ৩১২ ধারায় সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে, কাউকে গর্ভপাত করানো হলে এবং তিনি যদি সরল বিশ্বাসে সে গর্ভপাতে সম্মত হন, তাহলে গর্ভপাতের পেছনে থাকা অপরাধীর তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। দণ্ডবিধির ৩১৩ ধারায় বলা হয়েছে, যদি স্বাভাবিক গর্ভপাতের কাছাকাছি সময়ে, অর্থাৎ মায়ের পেটে সন্তান পূর্ণ শারীরিক গঠন পাওয়ার পর কাউকে গর্ভপাত করানো হয়, তাহলে ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। ভ্রূণ হত্যা নয়, যাত্রাবাড়ীতে পাওয়া দুর্ভাগা চার শিশুর লাশ যে বা যারা ফেলে গেছে, তারা সরাসরি মানবশিশু হত্যা করেছে। এ অপরাধের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আমরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানাই সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে। এ ধরনের অপরাধের কোনো শাস্তি না হলে অথবা তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেলে সমাজে অস্থিতিশীলতা বাড়বে, ওই পিশাচ শ্রেণী সমাজের মধ্যেই ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াবে এবং এ সমাজকে নানাভাবে কলুষিত করতে থাকবে। সেই সঙ্গে দেশবাসীরও এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতন ও সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
শুধু নৈতিকতার প্রশ্নই নয়, দেশের প্রচলিত আইনে ভ্রূণ হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ। দণ্ডবিধির ৩১২ ধারায় সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে, কাউকে গর্ভপাত করানো হলে এবং তিনি যদি সরল বিশ্বাসে সে গর্ভপাতে সম্মত হন, তাহলে গর্ভপাতের পেছনে থাকা অপরাধীর তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। দণ্ডবিধির ৩১৩ ধারায় বলা হয়েছে, যদি স্বাভাবিক গর্ভপাতের কাছাকাছি সময়ে, অর্থাৎ মায়ের পেটে সন্তান পূর্ণ শারীরিক গঠন পাওয়ার পর কাউকে গর্ভপাত করানো হয়, তাহলে ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। ভ্রূণ হত্যা নয়, যাত্রাবাড়ীতে পাওয়া দুর্ভাগা চার শিশুর লাশ যে বা যারা ফেলে গেছে, তারা সরাসরি মানবশিশু হত্যা করেছে। এ অপরাধের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আমরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানাই সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে। এ ধরনের অপরাধের কোনো শাস্তি না হলে অথবা তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেলে সমাজে অস্থিতিশীলতা বাড়বে, ওই পিশাচ শ্রেণী সমাজের মধ্যেই ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াবে এবং এ সমাজকে নানাভাবে কলুষিত করতে থাকবে। সেই সঙ্গে দেশবাসীরও এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতন ও সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
No comments