স্মরণ-ঘূর্ণিঝড় আইলা by বিশ্বজিৎ পাল বাবু
আইলা। একটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম। ২০০৯ সালের ২৫ মে এটি আঘাত হানে বাংলাদেশের উপকূলভাগে। এ ছাড়া ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাংশেও এটি হানা দেয়। আইলায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি অনুযায়ী সে রকম কোনো বৈদেশিক সাহায্যও মেলেনি।
আইলার আঘাতে খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে প্রাণ হারায় ১২১ জন এবং আহত হয় প্রায় ৮০০ জন।
পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, আইলার প্রভাবে ভেঙে যায় প্রায় ৭১১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। এতে প্রায় দুই লাখ একর কৃষিজমি লোনা পানিতে তলিয়ে যায়। কাজ হারায় ৭৩ হাজার কৃষক ও কৃষিমজুর। জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে ৫৮ হাজার গবাদিপশু মারা যায়। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পর থেকে অতিরিক্ত লবণাক্ততায় এলাকাগুলোর গাছপালা মরতে শুরু করে ও বিরানভূমিতে পরিণত হয়। কমপক্ষে তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। দুই লাখ ৪৩ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। পরপর দুই মৌসুম কৃষিকাজ না হওয়ায় আট লাখ টন খাদ্য ঘাটতির সৃষ্টি হয়।
আইলার প্রভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, কলকাতা ও দক্ষিণ চবি্বশ পরগনা জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। মারা যায় ১৪৯ জন। অন্তত ১১০টি বেড়িবাঁধ ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরছাড়া হয় দেড় লাখ মানুষ। ১২৫ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘূর্ণিঝড় আইলা হলো উত্তর ভারত মহাসাগরে জন্ম নেওয়া একটি ঘূর্ণিঝড়। ২০০৯ সালের ২১ মে ভারতের কলকাতা থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড়টি জন্ম নেয়। আইলার নামকরণ করেন আবহাওয়াবিদরা। আইলা শব্দের অর্থ হলো ডলফিন বা শুশুক জাতীয় জলচর প্রাণী। নামটি এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য নির্ধারণ করেন জাতিসংঘের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আবহাওয়াবিদদের সংস্থা 'ইউএন এস্কেপ'-এর বিজ্ঞানীরা। আইলা প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় নিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। তবে পরে বাতাসের বেগ ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হয়ে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি সিডরের তুলনায় কম হয়েছে।
আইলার পর দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অন্য যেকোনো দুর্যোগের তুলনায় আইলার ক্ষতি বেশি ও দীর্ঘমেয়াদি। কিন্তু নানা কারণে তা সবচেয়ে কম আলোচিত হচ্ছে। এখন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আইলা 'হারিয়ে যাওয়া দুর্যোগে' পরিণত হয়েছে। সরকারের উচিত তা সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া।
আইলাপরবর্তী সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আশানুরূপ সহযোগিতা পায়নি সরকার। আইলা আঘাত হানার চার মাস পর সরকারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে সাত হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে দাতাদের কাছ থেকে তেমন কোনো সাড়া মেলেনি। আইলার পর উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো মিলে প্রায় ২০০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে। আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক সেতু ও বেড়িবাঁধ এখনো সম্পূর্ণ ঠিক করা যায়নি। ফলে নোনাপানির অনুপ্রবেশ জনজীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, আইলার প্রভাবে ভেঙে যায় প্রায় ৭১১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। এতে প্রায় দুই লাখ একর কৃষিজমি লোনা পানিতে তলিয়ে যায়। কাজ হারায় ৭৩ হাজার কৃষক ও কৃষিমজুর। জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে ৫৮ হাজার গবাদিপশু মারা যায়। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পর থেকে অতিরিক্ত লবণাক্ততায় এলাকাগুলোর গাছপালা মরতে শুরু করে ও বিরানভূমিতে পরিণত হয়। কমপক্ষে তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। দুই লাখ ৪৩ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। পরপর দুই মৌসুম কৃষিকাজ না হওয়ায় আট লাখ টন খাদ্য ঘাটতির সৃষ্টি হয়।
আইলার প্রভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, কলকাতা ও দক্ষিণ চবি্বশ পরগনা জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। মারা যায় ১৪৯ জন। অন্তত ১১০টি বেড়িবাঁধ ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরছাড়া হয় দেড় লাখ মানুষ। ১২৫ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘূর্ণিঝড় আইলা হলো উত্তর ভারত মহাসাগরে জন্ম নেওয়া একটি ঘূর্ণিঝড়। ২০০৯ সালের ২১ মে ভারতের কলকাতা থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড়টি জন্ম নেয়। আইলার নামকরণ করেন আবহাওয়াবিদরা। আইলা শব্দের অর্থ হলো ডলফিন বা শুশুক জাতীয় জলচর প্রাণী। নামটি এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য নির্ধারণ করেন জাতিসংঘের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আবহাওয়াবিদদের সংস্থা 'ইউএন এস্কেপ'-এর বিজ্ঞানীরা। আইলা প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় নিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। তবে পরে বাতাসের বেগ ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হয়ে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি সিডরের তুলনায় কম হয়েছে।
আইলার পর দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অন্য যেকোনো দুর্যোগের তুলনায় আইলার ক্ষতি বেশি ও দীর্ঘমেয়াদি। কিন্তু নানা কারণে তা সবচেয়ে কম আলোচিত হচ্ছে। এখন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আইলা 'হারিয়ে যাওয়া দুর্যোগে' পরিণত হয়েছে। সরকারের উচিত তা সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া।
আইলাপরবর্তী সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আশানুরূপ সহযোগিতা পায়নি সরকার। আইলা আঘাত হানার চার মাস পর সরকারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে সাত হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে দাতাদের কাছ থেকে তেমন কোনো সাড়া মেলেনি। আইলার পর উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো মিলে প্রায় ২০০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে। আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক সেতু ও বেড়িবাঁধ এখনো সম্পূর্ণ ঠিক করা যায়নি। ফলে নোনাপানির অনুপ্রবেশ জনজীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
No comments