সুশাসন-কোন পথে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন by বদিউল আলম মজুমদার

নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সংস্কার এবং নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অবশ্যই আইনের সংস্কার আবশ্যক। আইনের পরিপূর্ণ প্রয়োগ ছাড়া আইনের সংস্কার অর্থহীন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আইন মানার সংস্কৃতি আমাদের দেশে অনপুস্থিত, যার প্রকৃষ্ট প্রমাণ আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে নির্বাচনী আইনের প্রতি নগ্ন অবজ্ঞা প্রদর্শন,


যদিও আইনের যেখানে ইতি স্বৈরতন্ত্রের সেখানে শুরু


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। নাগরিক সমাজও বহুদিন থেকে এ দাবির পক্ষে সোচ্চার। বস্তুত সারাদেশে এ বিষয়ে একটি সর্বব্যাপী জনমতও বিরাজ করছে। কিন্তু কোন পথে কমিশনকে শক্তিশালী করা যায়? এর জন্য কী-ইবা করণীয়?
নির্বাচন কমিশন একটি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি নয়। তাই 'স্টেরয়েড ইনজেকশন' দিয়ে কিংবা অন্য কোনো ধরনের ওষুধ সেবন করিয়েও এটিকে দানবের মতো শক্তিশালী করা যাবে না। এ জন্য প্রয়োজন হবে কমিশনকে অধিকতর ক্ষমতা ও স্বাধীনতা প্রদান এবং এর প্রতি সংশিল্গষ্ট সবার সমীহ ও এর ক্ষমতার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শন।
আমাদের সংবিধানের ১১৯ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান, ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং সংসদীয় আসনগুলোতে সীমানা নির্ধারণ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এর সঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বও কমিশনকে দেওয়া বাঞ্ছনীয়, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে যা করা যেতে পারে। এ ছাড়াও নির্বাচনকালীন অযোগ্য থাকার কারণে কিংবা নির্বাচনের পর অযোগ্য হয়ে পড়লে এবং ভুল বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে নির্বাচিত হলে, নির্বাচন বা জাতীয়/স্থানীয় পরিষদের সদস্যপদ বাতিল করার ক্ষমতাও কমিশনকে দেওয়া আবশ্যক।
এসব ও সংশিল্গষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রে কমিশনকে ক্ষমতা প্রদানের জন্য অনেক আইনের সংস্কার প্রয়োজন হবে। সংশিল্গষ্ট আইনগুলো হলো : গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও); ভোটার তালিকা আইন, ২০১০; নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০১০; রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১; জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন, ২০০৪; নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ ইত্যাদি। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন বিধি। কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় সরকার আইনগুলোয়ও পরিবর্তন আনতে হবে। কমিশন সল্ফপ্রতি নির্বাচনী প্রচারণা ব্যয় (জনতহবিল) আইন, ২০১১ প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে, যাও বিবেচনার দাবি রাখে ।
আইন প্রণয়ন ও আইনের সংস্কার করলেই হবে না, আইন প্রয়োগের স্বাধীনতাও কমিশনের থাকতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা। সরকার ক্ষুব্ধ হলে আর্থিক বরাদ্দ সংকোচনের মাধ্যমে কমিশনের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। কমিশনারদের বেতন-ভাতা বন্ধ করার মাধ্যমে এর একটি নগ্ন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছিল গত চারদলীয় জোট সরকার, যার বিরুদ্ধে তাদের আদালতের আশ্রয় পর্যন্ত নিতে হয়েছিল। আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে তাই কমিশনের সব ব্যয়কে সরকারের সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায়যুক্ত করতে হবে এবং সে জন্য সংবিধানের একটি অনুচ্ছেদও সংশোধন করা আবশ্যক।
যুদ্ধের ক্ষেত্রে 'ম্যান বিহাইন্ড দ্য গান' বা বন্দুকের পেছনের ব্যক্তিটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি নির্বাচন পরিচালনার বেলায়ও আইনকানুন ও বিধিবিধান প্রয়োগকারী ব্যক্তির ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইন ও বিধিবিধানের সংস্কারই যথেষ্ট নয়, এর জন্য কারা কমিশনে নিয়োগ পেলেন তাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ ব্যাপারে আমাদের অতীত, বিশেষত নিকট অতীতের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত তিক্ত।
অতীতে আমাদের অনেক কমিশনারকে তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে অসম্মানজনকভাবে। এর মূল কারণ হলো, অতীতে অনেক দলীয় ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের কমিশনে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে কমিশনের নিরপেক্ষতা গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রসঙ্গত, সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিতদের পদত্যাগে বাধ্য করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ এর ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নাগরিকরা আস্থা হারিয়ে ফেলে, যা রাষ্ট্রকে ক্রমাগতভাবে দুর্বল করে ফেলে।
অনেকের নিশ্চয়ই গত জোট সরকারের আমলে বিচারপতি এমএ আজিজের এবং তার নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন কমিশনের কথা স্মরণ আছে। এমএ সায়ীদের অবসর গ্রহণের পর তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। নিয়োগের সময় বিচারপতি আজিজ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন এবং সংবিধানের ৯৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিনি ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়ার অযোগ্য। অনেকের আপত্তি সত্ত্বেও তাকে এ পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, পরবর্তী সময়ে তার নিয়োগের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয় এবং আদালত তার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেন।
বিচারপতি আজিজের নিয়োগের সময় অন্য দু'জন নির্বাচন কমিশনার_ সাবেক সচিব শফিউর রহমান ও সাবেক জেলা জজ মোহাম্মদ আলী ছিলেন আগের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। শফিউর রহমান ছিলেন জনতার মঞ্চখ্যাত সরকারি কর্মকর্তা, তাই তার নিয়োগও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। বিচারপতি আজিজের সঙ্গে এ দু'জন কমিশনারের দ্বন্দ্ব ছিল প্রতিনিয়ত। এমনকি একপর্যায়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এমএ আজিজ তার দুই সহকর্মীর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিলেন।
শফিউর রহমান ও মোহাম্মদ আলী ২০০৬ সালে অবসর গ্রহণের পর এম জাকারিয়াকে, যিনি এর আগে কমিশনের সচিব ছিলেন এবং যিনি ক্ষমতাসীন চারদলীয় জোটের প্রতি অনুগত বলে পরিচিত, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আরও নিয়োগ দেওয়া হয় বিচারপতি মাহফুজুর রহমান ও মোদাবি্বর হোসেনকে। মোদাবি্বর হোসেনের নিয়োগ ছিল অত্যন্ত বিতর্কিত, কারণ তিনি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ ছিল।
অনেকেরই স্মরণ আছে, বিচারপতি আজিজ ও তার সহকর্মীরা ভোটার তালিকা নিয়ে গুরুতর বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তালিকায় লাখ লাখ ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। আমরা 'সুজন_সুশাসনের জন্য নাগরিকে'র পক্ষ থেকে প্রায় আট কোটি নাম সংবলিত পুরো ভোটার তালিকার ডাটাবেজ তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দিয়েছিলাম, যার ফলে তালিকার মধ্যকার ভুল অতি সহজে ধরা পড়ে। পরবর্তী সময়ে ভোটার তালিকার বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায় এবং আদালত কমিশনকে নতুন করে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশানুযায়ী যে তালিকা তৈরি করা হয় তা নিয়েও বিতর্ক অব্যাহত থাকে। এ ছাড়াও প্রার্থীদের তথ্য প্রদান সম্পর্কিত আদালতের নির্দেশও কমিশন পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়। এসব দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ও প্রবল বিতর্কের মুখে পরবর্তী সময়ে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কমিশনের সব সদস্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
আমাদের বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য দু'জন কমিশনার ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারা পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত এবং তাদের মেয়াদ শেষ হবে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। শত প্রতিকূলতার মুখেও এ পর্যন্ত তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ছিলেন এবং নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার ও কমিশনকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সফলতাও অর্জন করেছেন। এসব সফলতা অব্যাহত রাখতে এবং সুদৃঢ় ও ভবিষ্যৎ নির্বাচনকে কলুষমুক্ত করতে হলে আগামীতে কমিশনে সৎ, যোগ্য এবং নির্ভীক ব্যক্তিদের নিয়োগ প্রদানের কোনো বিকল্প নেই। প্রাপ্তির ওপর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বহুলাংশে নির্ভর করে।
কমিশনে নিয়োগ পদ্ধতি, কমিশনারের সংখ্যা ও তাদের যোগ্যতা-অযোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণের লক্ষ্যে আমাদের সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে একটি আইন প্রণয়নের কথা বলা আছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সংবিধান রচনার প্রায় ৪০ বছর পরও আইনটি করা হয়নি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি এ লক্ষ্যে 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার (নিয়োগ পদ্ধতি) আইন' শিরোনামের একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে।
উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (আহ্বায়ক), সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্টের একজন বিচারক, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রস্তাব আইনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কমিটি প্রতিটি শূন্যপদের বিপরীতে তিনজনের একটি প্যানেল প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির কাছে প্রেরণ করবে। কার্য উপদেষ্টা কমিটি যথাযথ পরীক্ষা ও বিবেচনার পর যে চূড়ান্ত প্যানেল তৈরি করবে তা থেকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ প্রদান করবেন। প্রস্তাবিত পদ্ধতিটি সম্পর্কে আমরা একমত। তবে স্বচ্ছতার খাতিরে আমরা অনুসন্ধান কমিটি ও কার্য উপদেষ্টা কমিটির প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের নাম স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রকাশের সুপারিশ করছি। তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী কমিশন এ তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য। একই সঙ্গে আমরা সুপারিশ করছি অনুসন্ধান কমিটির বিবেচনার জন্য গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রার্থীর নাম আহ্বান করার। এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় 'ডিউ ডিলিজেন্স' প্রদর্শিত হবে। কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব পালনের এবং বিতর্কিত কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুগত ব্যক্তি ও ঋণখেলাপিদের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত না করার প্রস্তাবের সঙ্গে আমরা একমত।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সংস্কার এবং নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অবশ্যই আইনের সংস্কার আবশ্যক। আইনের পরিপূর্ণ প্রয়োগ ছাড়া আইনের সংস্কার অর্থহীন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আইন মানার সংস্কৃতি আমাদের দেশে অনপুস্থিত, যার প্রকৃষ্ট প্রমাণ আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে নির্বাচনী আইনের প্রতি নগ্ন অবজ্ঞা প্রদর্শন, যদিও আইনের যেখানে ইতি স্বৈরতন্ত্রের সেখানে শুরু। উদাহরণস্বরূপ, আরপিওর বিধান অনুযায়ী, দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা, দলের বৈদেশিক শাখার অবসান এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিলুপ্তি নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাজনৈতিক দলের বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। কিন্তু আমাদের বড় দলগুলো আইনের এ বিধানগুলো সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে। কমিশন এ ব্যাপারে দলগুলোকে তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন বিলুপ্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিলে উল্টো কমিশনকে তাদের চোখ রাঙানি খেতে হয়। কমিশনের বিরুদ্ধে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ তোলা হয়। তাই রাজনৈতিক দলগুলো এবং তাদের মনোনীত প্রার্থীরা আইন না মানলে ও সদাচরণ না করলে সংস্কারের সব প্রচেষ্টাই পণ্ডশ্রমে পরিণত হতে বাধ্য।
১৪.০৬.১১

ড. বদিউল আলম মজুমদার : সম্পাদক সুজন_ সুশাসনের জন্য নাগরিক
 

No comments

Powered by Blogger.